বেপোয়া মানুষ ======================
ওয়াশিংটন টাইমসে বাংলাদেশবিরোধী নিবন্ধ লেখার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি তারই সাবেক উপদেষ্টা ও আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মহমুদুর রহমানের টেলিফোনে তীব্র বিষোদগার নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জনরোষের ভয়ে বিএনপি নেতারা লেখা আড়াল করার অপচেষ্টা করলেও ফাঁস হয়ে গেছে নিবন্ধ নিয়ে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির প্রতি মাহমুদুর রহমানের ক্ষোভের আসল চেহারা। খালেদা জিয়ার লেখায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে তথ্য বিকৃতি, দেশের বিরুদ্ধে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ চাওয়া নিয়ে মাহমুদুর রহমানের তীব্র সমালোচনামূলক টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়ে গেছে। বিএনপির এক নেতাকে টেলিফোন করে মাহমুদুর রহমান তাদের নেত্রীর নিবন্ধ লেখার বিষয়ে আসল তথ্য জানতে চান। ওই নেতাকে তিনি প্রশ্ন করেন ম্যাডামের কথিত চিঠির বুদ্ধিটা কার? বিদেশীদের কাছে এভাবে দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ চাওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির ওই নেতাকে তিনি বলেন, ‘মানুষ অনেকভাবে সুইসাইড করে।
কিন্তু এভাবে বারেবারে সুইসাইড করার নজির নাই। ওই লেখার ইংরেজীগুলা কার? এত জ্ঞানী কে? আর যেসব তথ্য দিয়ে উনি (খালেদা জিয়া) শুরু করেছেন তাঁর প্রথম লাইনেই বলেছেন যে, আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারে না কি আমেরিকা সাপোর্ট দিয়েছে। ম্যাডাম এভাবে তাঁর লেখা শুরু করেছেন। এভাবে তথ্য বিকৃতিতে হতাশা প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, এভাবে তথ্য বিকৃতি হতাশাজনক। আমরা দূর থেকে দেখে যাচ্ছি তাছাড়া আর উপায় নাই।
বুঝলেন?’ এরপর ওই নেতাকে বলেন, ‘খোঁজ নেন তো। কষ্ট লাগে হাজার হলেও আপনাদের ওয়েল উইশার আমি। কষ্ট লাগে আর কি। আপনারা যা করতেছেন দেখতেছি আরকি। শুভ্র নামে এক সাংবাদিকের সঙ্গে টেলিফোন আলাপ করেন মাহমুদুর রহমান।
মাহমুদুর রহমান তাকে বলেন, ‘শুভ্র, ম্যাডাম একটি চিঠি লিখেছেন। কোথাকার কোন ওয়াশিংটন টাইমসে, ওয়াশিংটন পোস্ট না কিন্তু, যেখানে ম্যাডামের একটা চিঠি ছাপা হইছে। সে (খালেদা জিয়া) চিঠিতে কাকুতিমিনতি করেছেন বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের জন্য। আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের কাছে কাকুতিমিনতি করেছেন। আজকে সম্ভবত আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ তো আজ ম্যাডাম ও বিএনপিকে শোওয়াইয়া ফেলবে। আওয়ামী লীগ তো কমই করতাছে। আজ যদি শেখ হাসিনা এভাবে নিবন্ধ লিখত তাহলে আমার পত্রিকায় সাত কলামের হেডলাইন করতাম। ’ ম্যাডামের ইংরেজী লেখার দক্ষতার বিষয়ে ওই সাংবাদিকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এ থেকে আমাদের বলত, আমি ইংরেজীতে অত ভাল না। বাংলা লিখতে পারি।
তার পরেও যতটুকু ইংরেজী জানি ওর থেকে ভালো লিখতে পারতাম। ’ দ্বিতীয়ত তিনি বলেছেন, ‘ম্যাডাম তার ফার্স্ট ত্রি লাইনেই পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছেন। শি ইজ ডেড। তিনি তো পলিটিক্যালি ডেড হয়ে গেছেন। নিবন্ধের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান শুভ্রকে আরও বলেন, মতামত পাতায় চিঠিপত্র কলামে লেখার জন্য উনাকে কে বলেছে? এটা করলে আমেরিকা খুশি হবে ভেবেছে।
উনার জনগণের প্রতি আর আস্থা নাই। শুভ্র জামায়াত বিএনপি জোট প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, বিএনপি তো মাঠ ছেড়ে দিয়েছে জামায়াতকে। জামায়াতের এখন জয় জয়কার। পাবলিক বলে, ‘দল আছে দুইটা- আওয়ামী লীগ আর জামায়াত। ’ শুভ্র প্রশ্ন করেন, ম্যাডামের কথিত চিঠি কেন বলছেন? উত্তরে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘কথিত চিঠি কারণ ওই ইংরেজীতো উনি লিখেন নাই।
কেউ লিখে দিয়েছে। এসব করে কি পারবেন আমেরিকার সাপোর্ট পেতে? বিএনপির গলায় দড়ি দেয়ার সময় আসছে। একজন গৃহবধূকে (খালেদা) তিন তিনবার জনগণ প্রধানমন্ত্রী বানাইসে। ভুলে যাওয়া ঠিক না, এখন বিদেশীদের উপর নির্ভরশীল হচ্ছেন তিনি। এটা ঠিক না।
জনগণের কাছেই আসতে হবে। বিদেশীদের কাছে যাওয়ার বুদ্ধিটা কে দিয়েছে তাকে? ‘আন্দোলনে বিএনপি নেতাদের মাঠে না নামার কথা উল্লেখ করে গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতাকারী বিতর্কিত এই সম্পাদক বলেন, মানুষের কী ঠেকা পড়েছে যে এক চোরকে নামাইয়া আর এক চোরকে ক্ষমতায় আনবে? কী কারণে আনবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।