স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার পাঁচ দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন। এই সফরে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ভারতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ঢাকা ও দিল্লির কূটনীতিক সূত্রগুলো এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ভারত সফর করবেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। গত মাসে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দিল্লি সফর করেন।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ভারতের পল্লী উন্নয়ন, পানীয় জল ও পয়োনিষ্কাশনমন্ত্রী জয়রাম রমেশের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এসব বৈঠকের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, মতিয়া চৌধুরী আগামী মাসের শুরুতে ভারত সফরে যেতে পারেন। ওডিশায় কৃষিবিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে তাঁর যোগদানের কথা রয়েছে।
তবে তিনি যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে। সংগত কারণেই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ সে দেশের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।
খালেদা জিয়ার দিল্লি সফরের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদিও দিল্লির কূটনীতিক সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে, অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে সফর আয়োজনের লক্ষ্যে একাধিক খসড়া সময়সূচি নিয়ে কাজ চলছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত মাসে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের দিল্লি সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথমত, এরশাদের ওপর দিল্লির বিশেষ প্রভাব রয়েছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ রয়েছে।
বিগত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক নিয়ে ভারতের কোনো সুখস্মৃতি নেই। বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান হতে পারে বলে ভারতের আশঙ্কা রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের নেতাদের ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।