এরশাদ সাহেব মরহুম জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াকে দুটি বাড়ী দিয়েছেন, একটিতে থাকার জন্যে আরেকটির আয় দিয়ে চলার জন্যে, কারণ জিয়া তখন খালেদার জন্যে ভাঙ্গা চুটকেস রেখে গিয়েছিল!! এরশাদ সাহেবের তখন বোধদয় হয়নি যে, খালেদা সেনানিবাস এর ভেতরে থেকে রাজনীতি করবেন! এটা বুঝলে তখন তিনি খালেদাকে নিশ্চই সেনানিবাসের বাড়ী দিতেন না। কারণ সেনানিবাসের মধ্যে একটা রাজনৈতিক দলের প্রধানের বাড়ী হওয়া ও ওখানে বসে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা একটা জাতীর জন্য খুবই লজ্জা ও বিতর্কের বিষয়! ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া পিলখানায় নিহত সেনা অফিসারদের পরিবারের প্রতি অনেক সহানুভূতির প্রলাপ করেছেন। তার বিন্দুমাত্র প্রলাপ ও যদি তিনি মন থেকে করে থাকেন তাহলে এখনই সময় তার পরিচয় বহন করা! এবং সেই সাথে খালেদা জিয়া নিন্দুকের মুখও বন্ধ করার সুযোগ গ্রহন করতে পারে!! বর্তমান প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়া এ বিষয়ে মুখ না খুললেও তার দলের অনেক নেতাকর্মি.....এই বিষয়টাকে পুজি করে আন্দোলনে যাওয়ার ডাক দিয়েছে।
তবে খালেদা জিয়া এ বিষয়ে এখোনো কোন প্রতিক্রিয়া না করা মনে হচ্ছে শুভ লক্ষন। প্ররিন্থিতিতে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়া অচিরেই সেনানিবাসের বাড়ী নিহত সেনা অফিসারদের পরিবারের জন্য দান করার মাধ্যমে তার সহানুভুতি যে সত্যি, লোক দেখানো না, সেটা প্রমান করবেন! এবং নিন্দুকের মুখ বন্ধ করার জন্য সময়োপযোগি সুযোগ গ্রহণ করবেন। এতে করে খালেদার প্রতি সেনাবাহিণীর কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে।
নিহত সেনা অফিসারদের পরিবার এখন খালেদা জিয়ার সহানুভুতির দিকে তাকিয়ে আছেন! সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেওয়া সহানুভুতির আশ্বাস কতটুকু পালন করেন??
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।