আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈদেশিক ঋন ও বাংলাদেশ

একটা পত্রিকার একটা প্রবন্ধের কিছু অংশ: বর্তমানে আমাদের পরিশোধযোগ্য বিদেশী ঋনের পরিমান ২১ বিলিয়ন ডলার মানে এক লাখ ছিয়াত্তর হাজার চারশত কোটি টাকা (১ ডলার = ৮৪ টাকা)। আশির দশকে আমরা যেসব বৈদেশিক ঋন নিয়েছিলাম এখনো তা শোধ করে যাচ্ছি! আজ যে শিশুটি জন্ম নিল সে প্রায় ১১০০০ টাকা ঋনের বোঝা মাথায় নিয়েই জন্মাল। ১৯৭৩- ৭৪ সালে আমরা ৯ মিলিয়ন ডলার সুদ আর ৯ মিলিয়ন ডলার আসল শোধ করেছিলাম আর ২০০৯- ২০১০ সালে সুদ পরিশোধ করেছি ১৯০ মিলিয়ন ডলার আসল ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার, প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা যা আমাদের শিক্ষা আর স্বাস্হ্য খাতে এক বছরের বাজেটের সমান!! সরকার যে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের জন্য বিদেশ থেকে ঋন নেয় তা কি আমাদের জিজ্ঞাসা করে করে? ৯৭- ৯৮ সালে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের খরচ ছিল ৪৬ কোটি টাকা আর ২০১১ সালে সেটা বেড়ে গিয়ে দাড়িয়েছে ১৮১ কোটি টাকা! এর মধ্যে কিন্তু গন ভবন, নিরাপত্তার খরচ প্রটোকল এসবের খরচ নেই। '৭৫ সালে আশুগন্জ সার কারখানা বানাতে ৪১০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়, শোনা যায় তার মধ্যে কমিশন বানিজ্যই হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের! অর্থাৎ মূল খরচের চাইতে কিছু মানুষের বানিজ্যই বেশী হয়েছে! তার পরেও আমরা বৈদেশিক দাতা খুজে বেড়াই, কোন ঋনের চুক্তি সইয়ের দৃশ্য টিভিতে দেখানো হয়, তারা গর্ব ভরে দেখান। টিআইবি একটা হিসাব দিয়েছিল দেশে শুধু দুর্নীতি সহায়ক মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারলে বৈদেশিক ঋন ছাড়াই আমরা বছরে ২ টা বংগবন্ধু সেতু বানাতে পারি, কোন বিদেশী ঋনের প্রয়োজন নেই। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশ ঋন শোধ করার জন্য আরো ঋন নেয়, কিন্তু তাদের কর্তাব্যাক্তিদের শান শওকত দেখলে...।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।