god's greatest creation is human and human's greatest creation is football আজকে রাত্রে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়াটার ফাইনালে প্যারিস সেইন্ট জারমেইন এর সাথে বার্সেলোনার খেলা আছে । তাই আজকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সম্পর্কে লিখবো।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ হলো একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা যা প্রতি বছর জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় । ইউরোপের সেরা ঘরোয়া লীগের চ্যাম্পিয়ন টিমগুলো সরাসরি গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পায় । তাছাড়াও স্প্যানিশ , ইংলিশ , জার্মান , ইতালিয়ান লীগের পয়েন্ট টেবিলের প্রথম ৩ দলই গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহন করতে পারে ।
তাছাড়া এসব লীগের ৪ স্থানের দল এবং অন্যান্য লীগের রানার্স আপ দল গুলো একটি নক আউট রাউন্ডের পর গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহনের যোগ্যতা লাভ করে ।
১৯৯২ সাল থেকে প্রচলিত এই প্রতিযোগিতা পূর্বে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স কাপ বা শুধু চ্যাম্পিয়ন্স কাপ নামে প্রচলিত ছিল । এই চ্যাম্পিয়ন্স কাপ ১৯৫৫ সাল থেকে এই চ্যাম্পিয়ন্স কাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে সফল দল হলো রিয়াল মাদ্রিদ । প্রথম ৫ টি আসরেই তারা বিজয়ী হয় ।
যদিও সর্বশেষ তারা ২০০১ সালে এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় । এই প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংলিশ ক্লাব চেলসি । ২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ এরিনায় বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব লাভ করে । উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
১। ১৯৯২ সালের পর থেকে ( উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নাম হওয়ার পর) কোনো ক্লাব পর পর দুই বছর এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী হতে পারে নি ।
২। একমাত্র ইন্টার মিলান ১৯৬৫ সালে নিজেদের স্টেডিয়ামে ফাইনালে বিজয়ী হতে পেরেছে । গত মৌসুমে বায়ার্ন সেই রেকর্ডের খুব কাছে যাওয়া সত্তেও ভাঙতে পারে নি ।
৩। আর্সেনালের লেহমান হলেন প্রথম খেলোয়াড় যিনি চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে লাল কার্ড দেখেন ( ২০০৫-০৬) ।
৪। এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশী ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রিয়াল মাদ্রিদের ।
৫। ১৯৯২ এর পর থেকে সবকটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে অংশগ্রহকারি একমাত্র ক্লাব হল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ।
৬।
জাপ ভ্যান প্রাগ এবং মাইকেল ভ্যান প্রাগ প্রথম পিতা পুত্র যারা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছেন । ( আয়াক্সের হয়ে)
৭। লিভারপুল , আয়াক্স , ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড , এ সি মিলান দুইবার অপরাজিত থেকে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী হয়।
৮। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে পিএসভি সবচেয়ে কম ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ জয় করে ।
৯। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নক আউট পর্যায়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড বায়ার্ন মিউনিখের । ২০১১-১২ মৌসুমে তারা বাসেলকে ৭-০ গোলে পরাজিত করে।
১০। নতিংহাম ফরেস্ট একমাত্র ক্লাব যারা নিজেদের ঘরোয়া লীগ একবারও না জিতা সত্ত্বেও ২ বার চ্যাম্পিয়ন্স কাপ জিতেছে ।
১১। ২০০৫-০৬ মৌসুমে আর্সেনাল টানা ১০ ম্যাচ গোল না খাওয়ার রেকর্ড করে ।
১২। ১৯৯২ এর পর থেকে একমাত্র চ্যাম্পিয়ন দল চেলসি যারা পরবর্তী মৌসুমে গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে।
১৩।
২০০০ , ২০০৩ এবং ২০০৮ সালের ফাইনালগুলীতে একই দেশের দুইটি ক্লাব খেলেছে । দেশগুলো যথাক্রমে স্পেইন , ইটালি এবং ইংল্যান্ড।
১৪। সবচেয়ে বেশী চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ম্যাচ খেলার রেকর্ড রায়ান গিগস এবং রাউলের ।
১৫।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক স্প্যানিশ ফুটবলার রাউল,
১৬। জার্ড মুলার এবং লিওনেল মেসি সবচেয়ে বেশি বার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের টপ স্কোরার হয়েছেন ।
১৭। একই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দুইটি হ্যাট্রিক করার রেকর্ড লিওনেল মেসির ।
১৮।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সবচেয়ে বয়স্ক গোল স্কোরার হলেন রায়ান গিগস।
১৯। রিয়াল মাদ্রিদের ফ্রান্সিসকো গেনটো সর্বোচ্চ ৬ বার চ্যাম্পিয়ন্স কাপ জিতেছেন।
২০। মাইকেল বালাক একমাত্র খেলোয়ার যিনি ৪ টি ভিন্ন ক্লাবের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়াটার ফাইনাল খেলেছেন ।
২১। জোসে মরিনহ একমাত্র কোচ যিনি ৪ টি ভিন্ন ক্লাব কে সেমি ফাইনালে নিয়ে গেছেন।
২২। রিয়াল মাদ্রিদ সর্বোচ্চ ৯ বার এই প্রতিযোগিতায় জয়ী দল । এ সি মিলান ৭ বার এবং বার্সেলোনা ৪ বার এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল ।
আশা করি এইবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল খেলবে বার্সা এবং রিয়াল । এবং রিয়াল কে হারিয়ে বার্সা তাদের ৫ম চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ট্রফি জিতবে।
visca el barcelona....... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।