আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। সেলিব্রেটিদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। সে সাথে বাড়ছে তাদের প্রতি আক্রমণ। এ সব আক্রমণকারীরা অভিযোগ করছেন যে, সেলিব্রেটিরা তাদের ঘোরাচ্ছেন।
অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে সরে আসছেন।
ইদানিং এটি লাইভ টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গিয়ে ঠেকেছে। সর্বশেষ বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনে বাংলালায়ন মিউজিক কল অনুষ্ঠানে এ রকম এক আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় আরজে নীরব। এখন তিনি ভিডিও জকি হিসাবে বাংলাভিশনের অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন।
স¤প্রতি তাকে আক্রমণ করে এক তরুণী বলছেন, ‘তুই আর কত মেয়ের জীবন নষ্ট করবি।
ভাল হয়ে যা (গালি)। ’ ওই অনুষ্ঠানে গান করতে এসেছিলেন হালের তরুণদের জনপ্রিয় শিল্পী ন্যান্সি। ঘটনার পরপরই এ ভিডিওটি আপলোড করা হয় ইউটিউবে। দেখছেন অনেকে।
ইউটিউব থেকে এটি এখন ছড়িয়ে পড়ছে সামহয়্যারইনব্লগ ও ফেসবুকে।
সেখানে গতকাল বিকালে এ প্রতিবেদন তৈরীর সময় পর্যন্ত দেখেছেন প্রায় একহাজার জন। মন্তব্য করেছেন অনেকে। এর আগে আরটিভি’র একটি লাইভ অনুষ্ঠানে এ রকম আক্রমণের শিকার হন শিল্পী আঁখি আলমগীর।
এটিও ইউটিউবে রয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে ইউটিউবে থাকলে এটি প্রত্যাহার করা হয়নি।
দু বছর আগে এটি দু’জন আলাদা ভাবে আপলোড করেন। একজনেরটা দেখেছেন ১০ হাজারের কিছু বেশি দর্শক। আরেকজনেরটা প্রায় দশ হাজার। বছরখানেক আগে রিপোস্ট করা এর আরেকটি ভিডিও ক্লিপটি দেখেছেন আরো তিন হাজারের মত দর্শক।
তবে এ ধরণের সঙ্কট যে বাড়ছে, তা নিয়ে ডিজিটাল দুনিয়াতে নানান কিসিমের আলাপ হচ্ছে।
তবে এটাকে কেউ মেনে নিতে পারছে না। কারণ হিসাবে তারা বলছেন, একজন মানুষের ব্যাক্তিজীবনে অনেক সমস্যা সঙ্কট থাকতেই পারে। কিন্তু সেটাকে একেবারেই লাইভ অনুষ্ঠানে নিয়ে আসা সঙ্গত নয়।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রযোজক বলছেন, সেলিব্রেটিদের সবারই কম বেশি নারী বা পুরুষ ঘটিত সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বিষয়টাকে ব্যাক্তিগত পর্যায় থেকে লাইভ অনুষ্ঠানে আনাটা সঙ্গত বলে আমি মনে করি না।
কারণ আমরা যে সব অনুষ্ঠান করি, সে সব পরিবারের সবাই মিলে দেখে থাকেন। সেখানে এ ধরণের আচরণ দর্শকদের তরফে কাম্য হতে পারে না।
নীরবের বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক, ব্লগ ও ইউটিউবে নানান জন নানা মত দিয়েছেন। সামহয়্যারইনব্লগে এটি গতকাল সর্বশেষ পোস্ট করেছেন বড় ভাই নামে একজন ব্লগার। তিনি এর শিরোনাম দিয়েছেন, ‘নীরবের সেই ঐতিহাসিক ভিডিও’।
এ ব্লগে ইউটিউব থেকে ধার করা ভিডিও ক্লিপটি দেখে ব্লগার কর্ণেল সামুরাই লিখেছেন, ‘ডিজুস কট খাইছে দেখি। ’ ব্লগার ১১ স্টার লিখেছেন, ‘সব ডিজুস (গালি) লুচ্চা, ওদের মুখোশ খুলে দেয়া দরকার। শুধুমাত্র ডিজুস মাইয়াগুলা ওটা বুঝলো না। অসুবিধা কি নিজের সর্বনাশ নিজেই যদি কেউ করার ব্যবস্থা করে দেয় তাতে আমাদের কি?’ তার পরের অংশ প্রকাশ যোগ্য নয়।
ব্লগার হেডস্যার বলেছেন, ‘(নীরবের) সেই জ্বলন্ত আগুণে ঘি ঢেলেছেন ন্যান্সি।
যেই হাসি দিছে...’।
সহচর বলেছেন, ‘ভরা বাজারে ইজ্জত লইয়া টান দিল। ইজ্জতের টায়ার পুড়ে পাঁচার। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।