বাস্তবতার ভার্শন ২.৭.১২ এ আছি। নিয়মিত আপডেট হচ্ছি। রাত গভীর হচ্ছে। দিনের বেলায় সময় গড়াতে গড়াতে মধ্যদুপুরে সূর্য প্রখর আলো দেয়; কোলাহল বাড়ে। রাতের বেলায় এমনটা হয় না।
রাত যত গভীর হয় আকাশ সেই কালোই থেকে যায়। তবে চারদিকে শুনশান নীরবতা বাড়ে।
নিয়ন বাতির ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে। সোনারঙা আলোতে সেই বৃষ্টির ফোঁটা দেখে মনে হচ্ছে আকাশ থেকে সোনা ঝরে পড়ছে।
নিশিকন্যাদের আনাগোনা বাড়ছে। এদিক সেদিক তাকাচ্ছে, আমার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। কাছে আসবে কি আসবে না বুঝতে পারছে না যেনো। নিশিকন্যাদের পাশাপাশি এলাকা দেখাশোনা করার গুরু দায়িত্বে নিয়োজিত সমাজ সেবকরাও বেড়িয়ে আসছে। একটি বাইকে তিনজন করে।
কতক্ষণ নিশিকন্যাদের পাশে বাইক দিয়ে রাউন্ড দিয়ে নিজ নিজ এলাকা দেখাশোনা করতে চলে গেলো। আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টির পানির সঙ্গে কাদা পানির দোলা দিয়ে গেলো।
রাত যে শুধু অন্ধকারই তা না। কালো মানেই যে মন্দ, তা না। রাতের ফুল হাস্নাহেনার মৃদু গন্ধ মাতিয়ে তুললো।
সেই সাথে মেঘের ফাক থেকে অর্ধেক চাঁদটাও স্বমহিমায় বেড়িয়ে এলো। রাতের আলোর দেখা পেয়ে, রাতের ফুলের ঘ্রাণ পেয়ে রাতের পাখিগুলোও ডান ঝাপ্টে উঠলো।
রাতের সৌন্দর্য্য দেখাতেই আমার সুখ। আমি অপলক চেয়ে আছি রাতের আকাশের দিকে। খোপ বাঁধা ছোপ ছোপ মেঘ।
মাঝাকাশে চাঁদের আলো। রাতের আধারের বুকে উড়ে চলেছে একটি পাখি। বাতাসে ভেসে আসছে হাস্নাহেনার মাতাল গন্ধ। খারাপের মাঝেও ভালো থাকে, ভালোকে খুঁজে নিতে হয়, খারাপকে নয়। খারাপ সস্তা জিনিস, সবসময়ই পাওয়া যায়।
ভালকিছু দামী অনুভূতি। না হলে ভাল কিছুর প্রতি মানুষের এতো আকাঙ্ক্ষা থাকতো না।
আব্বাকে কবরে শুইয়ে দেওয়ার পর থেকেই আমি একলা হয়ে পড়েছি। মাথার উপর থেকে ছায়া চলে গিয়েছে। দিনের আলোয় ছায়ার বড় প্রয়োজন ছিলো।
রাতের বেলায় সেরকম প্রয়োজন নেই। রাত পরম মমতায় মানুষকে আবছা চাদরে ঢেকে রাখে।
দিনের আলোর জন্য প্রস্তুতি নিতে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। বাসার সবার ছায়ার এখনো বড্ড প্রয়োজন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।