আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিকনিকে গিয়ে আমি যা যা দেখলাম ও শিখলাম

পড়েছে আকাল - কাকের শ্রাদ্ধে ঘি ঢাল। ব্রাত্যজনে তুমি রেস্টিকটেড, সোনাগাছীর জন্য আনলিমিটেড। শৈশবের গুরু গভ্মীর কিশোরেরা কিভাবে যেন বড় হয়ে আড্ডারু হয়ে উঠে! ১৮+একযুগ বয়স হয়ে গেলো: চা-পান, সিগারেট, পানীয়,নারী এমনকি বই ও-কোন নেশাই আমার কাছে ঘেঁষতে পারলনা। এ নিয়ে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার পাশাপাশি কম কথা শুনতে হয়নি। তাতে আমি যায় আসেনা কিছুই।

৯টা-৯টা অফিস করি, মাঝে মাঝে কমবেশী হয়। এর মাঝে পিকনিকের ঘ্রান নাকে লাগল। আনন্দে মন খলবল করে উঠল। বলা হয়নি, আমার একটা নেশাই এখন তীব্র- সেটা মানুষ। মানুষের মাঝে থাকা, মানুষকে বিভিন্ন এ্যাংগেলে দেখে নিজেকেও যাচাই করে নেয়া।

মানুষের পাশে দাঁড়ান-নিজেকে মাপা। খুব বড় নেশা। আড্ডা না মারতে পারলে ঘুম হয়না আমার অথচ আগে আড্ডা জিনিসটা কি তাই জান্তাম না ------- পিকনিকে গিয়ে আমি যা যা দেখলাম ও শিখলাম: ১। বাচ্চারা পৃথিবীর সেরা বিস্ময়- জাহিদুল হাসান, শিপু ভাই, নিমচাঁদ ভাই এর বাচ্চার পাশাপাশি আরো কিছু বাচ্চা এসেছিল। ওদের জন্য আলাদা ভাবে বিস্কুট দৌড় খেলা ছিল।

২। অর্গানাইজার হলে মেলা কিছু মিস করতে হয়। - শিপু ভাই ও জিশান ভাই যেমনটা করেছেন। ৩। বয়স বাড়লেও আড্ডার রোগটা সারেনা- আশকারির বাবা, মোঃ মোজাম ও উনার দোস্ত আমাদের মাঝে অবলীলায় মিশে গেলেন।

৪। গানের ঘ্রান পেলে কিছু মানুষ আউলা হয়ে যায়- নিমচাঁদ ভাই- এরিক ক্লাপটন থেকে হাল ফ্যাশানের বাংলা সবগানেই উনাকে পাওয়া গেল। অনেক অনেক ভাল মানের গান সমঝদার মানুষ। পানকৌড়ি ভাইয়ের চোখ লাল নয়। গলার রগফুলিয়ে যখন উনি সব গানেই লিডিং করেণ দেখে অবাকই হতে হয়।

শাহেদ ভাইয়ের গীটার তুখোড় হুল্লোরের মাঝেও বাজে, কানে বাজে। ৫। হারমোনিকায় মধুমাখা স্লো পয়নজন ছড়ান আছে- গাঁয়ের লোম খাড়া হয়ে যায়- নষ্টকবি সমীপে। ৬। বন পাইলে সবাই একটু ভাবুক হয়ে যায়- গুরুজী, অন্তরা মিতু, রুমকি, নীল_পরীর মত তূখোড় মানুষেরাও কেমন যানি উদাস হয়ে যান।

৭। কন্ডাক্টর হলে জীবনে খাওয়া -পড়া নিয়া চিন্তা নাই আমার। ৮। শরীর খারাপ থাকলেও নিজেরে ধরে রাখা যায়না আড্ডার ঘ্রানে- আবদুল্লাহ আল মনসুর ভাই। ৯।

নোমান নমি, রিয়েল রিফাত, নিশাচর ভবঘুরে, স্বর্নমৃগ, সুমন, ধুসর ধ্রুব, ছোটমির্জা ১৮+ এক্সপার্ট হলেও সাদা মনের মানুষ। ১০। পরিবার নিয়ে আউটিং এ আসার মজাই আলাদা- নীরব দর্শক, অথৈ সাগর, শিপুভাই, জাহিদুল হাসান, নিমচাঁদ ভাই, আশকারি তা আবারও বুঝেছে। ১১। সাংগাঠনিক মানুষেররা অটো বের হয়ে আসে- আরিফ রায়হান মাহী (কয়েকটা ইভেন্ড), নীল পরী+পানকৌড়ি (কফি মেকিং), নিমচাঁদ ভাই+জাহিদুল হাসান (ক্রিকেটার+অ্যাম্পায়ার)।

-------------------------- এখুন ঘুমামু অনকের কথাই বলা হলনা। ভাল থাকবেন। আমার একটা ছবি দিয়ে শেষ করি আজকে: ছবি কার্টেসি: ব্লগার স্বর্নমৃগ-এ্য পারফেক্ট ওয়েস্টার্ন কাউবয়। উৎসর্গ: নিমচাঁদ ভাইয়ের ছেলেটার নাম -মাহিন। লম্বা চওড়া ছেলে।

আমি ওর সাথে আড্ডা মারছি। ছেলেটা উনার প্রান। ওর জন্য অনেক অনেক ভালবাসা। ----------- অ:ট: ছাইরাছ হেলাল ভাইয়ের ভাবীর জন্য ত্যাগ ও তা চেপে যাওয়া পুরা পিকনিকের সেরা ফ্লাশব্যাক  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।