এখন শুনবেন আবহাওয়া সংবাদ পড়ে শুনাচ্ছেন আবহাওয়াবিদ- আশা মনি - আজ সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে ৫.১ ডিগ্রি সে.সি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সমুদ্রউপকূল বর্তী চট্টগ্রাম ১২.৩ ডিগ্রি সে.সি.। গত সাত দিন যাবৎ একটানা সূর্যের অনুপস্থিতির কারণে শীত জেঁকে বসেছে। আগামী কাল সূর্য দেখা দিতে পারে। সেই সাথে আগামী চব্বিশ ঘন্টায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
পৌষ মাসের প্রথম দিন থেকেই কড়া শীত শুরু। কোন পূর্বাভাস ছাড়া হঠাৎ করেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে শৈত্যপ্রবাহ। জন জীবন মারাত্নক ভাবে বিঘ্নিত। রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর মেডিক্যাল গুলোর সাথে তালমিলিয়ে প্রতিদিন বাড়ছে বিভিন্ন মেডিক্যালে নিউমোনিয়া ও রোটা ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া সহ শীতের রোগীর সংখ্যা। বাস ষ্টেশন, রেল ষ্টেশন, মার্কেটের সামনে খোলা জায়গায়, কুয়াশার মধ্যে কুকুরের সাথে জুবুথুবু হয়ে শুয়ে আছে শতশত ভাসমান মানুষ।
হিম হয়ে জমে যাচ্ছে তাদের শরীরের রক্ত। মেডিক্যালে মেডিক্যালে বিকল যন্ত্রপাতি। সারা দেশে রোগীদের দুর্ভোগ। গ্রামের মেডিক্যালে রয়েছে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি। এব্যাপারে কথা বলতেও মানুষের মুখে শীতে খিল লেগে যায়।
এখন তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৪.৪ ডিগ্রি সে.সি।
আজো সূর্যের অনুপস্থিতিতেই শুরু হল দিন। লেপ ছেড়ে কে শীতের সাথে লাড়াই করতে চায়। রোগ সময় বুঝেছে। বুঝেনি আয়েসি ঢংয়ের মানুষ গুলো।
ডাক্তার নেই। যন্ত্র অচল। কর্মকর্তার কথার শেষ নেই। শুধু কথা থাকে না অসহায় মানুষ গুলোর। প্রতি উত্তর কিংবা, কেন? প্রশ্ন করার সাহস নেই মুমুর্ষ রোগীর সাথে আসা অসুস্থ , ক্ষমতাহীন মানুষের।
করেই বা কি লাভ। তাদের কথাই ঠিক এবং সর্বোচ্চ। ঠান্ডা পানিতে ক্ষেতে কাজ করতে নেমে অসুস্ত হয়ে পড়ছে। পেটের দায়ে শীতে ভোরের কুয়াশা ভেঙ্গে শুরু হয় অনাহারিদের জীবন। শীত নিবারনের নেই গরম কাপড়।
দিনেরপর দিন অনাহারে অসুস্থ হলে নেই কোন চিকিৎসা। তাদের অভিযোগের শেষ নেই, অথচ তাদের অভিযোগ শোনার কেউ নেই। কিংবা নেই কোন অভিযোগ বাক্স।
কোন অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সে.সি থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সে.সি তামাত্রা হলে, মাঝারি শৈত্যবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সে.সি হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সে হিসাবে দেশজুড়ে চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
এখনো কোন সাহায্য পায়নি নিরিহ ভাসমান জনগণ। তারাও এ দেশের মানুষ। তাদের রক্তও ঝরছে এদেশের মাটিতে। বারান্দায়, ফ্লোরে, গেটে পড়ে আছে রোগী আর লাশ।
আবহাওয়ার কোন উন্নতি নেই।
ক্রমেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ঘন কুয়াশা আর চিনচিনে বাতাসে তাপমাত্রা নেমে এসেছে সর্বনিম্ন ৪ এ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেশের কোথাও ১০ এর উপরে উঠেনি। আজও দেশের কোথাও সুর্য দেখা যায়নি। গুঁড়ি গুঁড়ি কুয়াশা পড়াতে মানুষের অবস্থা আরো ভয়াবহ।
সহায় সম্বলহীনদের সীমাহিন দুর্দশা।
বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া। তাপমাত্রা ক্রমেই নিচের দিকে নামছে। সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন খুব কাছাকাছি। পার্থক্য যা থাকা উচিৎ তার চেয়ে অনেক কম।
গত দশ দিনে ব্যবধান আরো অনেক কমে গেছে তাই শীত বেশী অনুভূত হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে মানুষের মন। মানবতা। গরীব অসহায় মানুষের কোন ভরসা নেই। নেই আবহাওয়াবিদদের উপরও মানুষের কোন আস্থা।
গরমের দিনে যখন বলে কাল বৃষ্টি হতে পারে অথচ সেদিন উঠে কাঠফাটা রুদ্র। যখন বলে আকাশ পরিষ্কার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, তখন নামে মুষল ধারে বৃষ্টি। মানুষও এগুলো শুনতে শুনতে অভ্যস্থ হয়ে গেছে। তাই উল্টো পথে চলে। যখন বলে বৃষ্টি হবে না, তখন সবাই ছাতা আর রেইনকোর্ট নিয়ে বের হয়।
যখন বলে বৃষ্টি হবে, তখন রেইনকোর্ট আর ছাতা ফেলে এক কাপড়ে ছুটে অফিসে কিংবা যার যার গন্তব্যে। জানে আজ গরমে অতিষ্ঠ হতে হবে। কারণ আগেই জানা, বিপরীত ঘোষণা।
আজও সূর্যহারা মানুষ। জীবন যাত্রা নেমে এসেছে চরম সীমায়।
আজ আবহাওয়াবিদদের ঘোষণা - আজ দেশের কোথাও সূর্য দেখা যায়নি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.১ আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৪। আগামী কাল সূর্য দেখা দিতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, সেই সাথে আগামী চব্বিশ ঘন্টায় কমে আসতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।