২৩ মার্চ, বিশ্ব আবহাওয়া দিবস। ১৯৫০ সালের এই দিনে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা গঠন করা হয়। পরের বছর এটি জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে দিনটিকে বিশ্ব আবহাওয়া দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বর্তমানে ১৮৯টি দেশ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সদস্য। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৮৯টি সদস্য রাষ্ট্র দিবসটি পালন করে।
১৯৫১ সাল থেকে সারাবিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে টালমাটাল অবস্থা। সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলবর্তী দেশগুলো বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও বেড়েছে।
এসব সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই প্রতিবছর এই দিবসটি মূলত পালন করা হয়।
পটভূমি:
অর্থশালী-অর্থলোভী দেশ আর সম্প্রদায়গোষ্ঠীর ভাবনাহীন আর দায়িত্বহীন কর্মধারা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে শোষণ করেছে, যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি এই সমগ্র পৃথিবীর আবহাওয়া-পরিবর্তন। এর কোনো প্রতিকার সম্ভবত আজ আর নেই। তবে আমরা চাইলে এর ক্ষতির পরিমাণটা কিছুটা কমিয়ে আনতে পারি। আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগেও এই অবস্থাটি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিলো।
বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ উপেক্ষা করে আর্থিক শক্তিশালী দেশগুলো তাদের ব্যবসায়িক লাভের জন্য আপনার/আমার/আমাদের সকলের এই পৃথিবীকে ঠেলে দিয়েছে আবহাওয়া দুর্যোগের মুখে। বাংলাদেশের অবস্থা এক্ষেত্রে আরও করুণ। যে যেখানে সুযোগ পাচ্ছে সেখানেই ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠছে। এই অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের ধারণা ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে সেটি কিছুটা হলেও সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আসুন আমাদের আগামী প্রজন্মকে সুস্থ্য-সুন্দর একটি পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিতে আবহাওয়াকে দূষিত করা থেকে বিরত হই বা যারা এই ধরনের কাজ দিনের পর দিন করে চলেছে সে বিষয়ে সকলে জোটবদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করি।
সাথে থাকুন অনলাইন বাংলাদেশের
ফেইসবুকঃ https://www.facebook.com/online.bangladesh.org ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।