একটু আগে বাড়ি ফিরলাম। সব ঝামেলা চুকে। দরোজায় দাঁড়িয়ে পিছন ফিরে দ্যাখি, এ-কী! আমার সমস্ত শরীর যেনো পুড়ে যাচ্ছে শারদীয় জোছনায়, তীব্র আলোয়। কোনো পৌরাণিখ বিশ্বাস বা ভাবাদর্শ পোষণ, লালন, সংরক্ষণ কি রাষ্ট্রের দায়িত্ব? রাষ্ট্র যদি কোনো ভাবাদর্শ চালিয়ে দেয় তার অধিবাসীদের ওপর, তাহলে তা হবে ভাবাদর্শগত স্বৈরাচার। সব ধরনের ভাবাদর্শই সন্দেহজনক ও পীড়নমূলকই নয়, সেগুলো মানুষকে করে রাখে অন্ধ, তার মননশীলতাকে ব্যাহত করে তাকে বিকশিত হতে দেয় না। ... পৌরাণিক ভাবাদর্শের যদিও কোনো ভূমিকা নেই মানুষের জীবনে, তবু তা আজও শক্তিমান হয়ে আছে রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোর পাহারায়। জ্ঞানীর জ্ঞানের থেকে রাষ্ট্রের কাছে বেশি মূল্যবান হয়ে আছে অন্ধের ভুল বিশ্বাস। আজকের বিজ্ঞানের যুগেও পৌরাণিক বিশ্বাসগুলোকে প্রবল করে তোলা হচ্ছে, মাতিয়ে তোলা হচ্ছে, মানুষকে পৌরাণিক বিশ্বাস দিয়ে; পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, অসামান্য বৈজ্ঞানিক আবিস্কারগুলোই ব্যবহৃত হচ্ছে পৌরাণিক বিশ্বাসগুলো প্রচারে। পৌরাণিক বিশ্বাসগুলোর পক্ষে যেকোনো অসত্য প্রচার করা যায়, এবং প্রচার করা হচ্ছে নিয়মিত, কিন্তু চরম সত্যও বলা যায় না, যা বিরুদ্ধে যায় পৌরাণিক বিশ্বাসের। :: হুমায়ুন আজাদ, ধর্মানুভূতির উপকথা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।