আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চেতনা ৭১

একটা সময় এমন ছিল যে, মানুষ ধরম বলতেই অজ্ঞান ছিল. এখনো যে নেই তা বলব না. তবে আগের মত এত অন্ধ না. সে যাই হোক, ওই একসময়ের ধরমের প্রতি মানুষের দুরবলতা এতোই বেশি ছিল যে, অনেক অপরাধী ধরমের দুহাই দিয়ে বেচে যাবার চেশ্টা করেছে.বদলে ফেলেছিল নিজেদের লেবাস. হয়ে গেলো ধারমিক, করতে চাইল নিজেদের সাত খুন মাফ. কারন তাদের কুটিল বুদ্ধিতে মাথা নুইেয়ছে সাধারন ধরমভীরু মানুষ. কিন্তু পাপে বাপকেও ছাড়ে না,এক সময় মানুষ ঠিকই ধরে ফেলল তাদের ভন্ডামি.কেনোনা একসময় মানুষ কিছু না বুঝে ধরম পালন করলেও এখন বুঝে শুনেই করে.আর তাই আজকাল ধরম দিয়ে নিজের পাপ ঢাকার চেষ্টা করা বৃথা. কিন্তু এখন যুগ পালটে গেছে,এক সময়ের ঘুনে ধরা সমাজে উঠেছে উম্মাদনার টান. আর তাই ভন্ডদের ভন্ডামির স্টাইলও হয়ে গেছে ভিন্ন. সে কারনে এখন নিজের পাপকে বাচাতে প্রয়োজোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হওয়া আওয়ামিলীগ নেতা.আর সেটাই হতে পারে একমাত্র হাতিয়ার. কারন সবার সামনে খুন করলেও সেটা নিয়ে বলার সাহস কারো থাকবে না.কারন ইনি এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী.আর ৪২ বছরের আগের ইতিহাস তো ইতিহাসই. তার ভন্ডামী আমার মত মুরখের পক্ষে তো বটেই লাখ লাখ শিক্ষিতের পক্ষেও ধরা সম্ভব না. কুটি কুটি মানুষ ধরমের লেবাসধারিদের মুখোশ উম্মোচন করলেও ইনাদের মুখোশ কেউ খুলতে পারবে না. কারন ইনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী.লাখ জনতা লেবাসধারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও হবে না চেতনাধারীদের বিরুদ্ধে. কেউ কেউ সাহস দেখিয়ে ইনাদের সোচ্চার হলে সেই সাহসীরা হয়ে যাবে দেশদ্রোহী. কারন ইনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী. আর কেউ কেউ একটু কম সাহস দেখিয়ে বলবে আগে হোক ফেমাস (!) লেবাসধারীদের বিচার আর পরে না হয় হবে নটরিয়াস চেতনাধারীদের বিচার.কেননা দেশদ্রোহী ট্যাগ তো আর কেউ খেতে চান না.তাই লাখ জনতা ফেমাস লেবাসধারীদের বিচার করেই ক্ষান্ত দিবে.আর এর মাঝেই চেতনাধারীরা হয়ে উঠবে আরো বড় মহান আদরশের সেনানী.তারা হয়ে যাবে শ্রমমন্ত্রী,সরাষট্রমন্ত্রী এমনকি আইন প্রতিমন্রী্ত.বোকা জনতাকে বোকা বানানো কত সহজ. তারা বোকা থাকুক সারাজীবন. পরে আবার চেতনাধারীদের ভন্ডামী আরো কয়েক বছর পর ফাস হয়ে আবারো লাখ জনতা বেরিবে আসবে.তবে তখন তো আর কোন সমস্যা নাই.কবরের আযাবের কাছে জনতার আযাব মানিয়ে নেয়া খুব একটা কঠিন হবে না. তাই লেবাসধারীদের প্রতি একটা সাজেসন, আর দেরি না করে তোরা চেতনাধারী হয়ে যা.তখন ব্লগাররা লেখবে না কোন ব্লগ, ফেসবুকার রা লেখবে না কোন নোট. মুক্তমনা আর মানববাদীরা তখন বলবে, “ক্যাপিটাল পানিশম্যান্ট ইজ আ পারট আব ইসলামিক ব্লাসফেমী ল , ইটজ শুড নট অ্যাপ্লাই টু এনি পারসন ইভেন মাই ফাদার’স কিলার”. সুতরাং তারাও তোর পক্ষে না থাকলেও খুব একটা বিপক্ষে থাকবে না. It is my simple suggestion. Now choice is yours.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।