আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেংটা বেলা -টু- বুইড়া বেলা ১২ তম পর্ব

https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 এই অনন্য লুল কাহিনিগুলানের অবতারনা হইছিলো আমি যহন কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি (মানে পড়ার চেষ্টা করি ) আমার আর আমার লগের কিছু পোলাপাইনের জ্বালায় বেশীরভাগ স্যার ই কিছু করতে পারতো না। বাংলা ক্লাস : ম্যাডাম মাশাআল্লাহ আল্লায় দিলে পুরা বুবিতার লাহান কাটিং । ঠোটে রক্তের লাহান লাল কইরা লিবেসটিক ডইলা যহন কেলাসে এন্ট্রি মারতো আমরা তো মাছুম বাইচ্চা , গাছের পশু পক্ষি ও মনে লয় কইতো "আয় হায় !!!" মন চাইতো মেডামের ঠোটের চিপায় এসকিডেন করি। খাল ডেরাইভিং লাইসেন্স নাই দেইখা সাহস করি না হেয়কেলাসে হান্দায়া ই কইতো চটি বইখানা কারা কারা এনেছো? ( নাটকের বই) আমি : ম্যাডাম কাইলকা নীলক্ষেত গেছিলাম ২ ডা আনছি। ম্যাডাম: ২ টা কেন ? আমি: ম্যাডাম ইস্টরি বালা পাইচি তাই লয়া আইছি ( ম্যাডাম মনে করছিলো আমি সিলেবাস ছাড়াও আরেকটা বই কিনছি, বেক্কল বেডি আপচুচ..আপচুচ ) ইংলিশ : এই ক্লাশ লইতো এক কাঠ মোল্লা হুজুর।

স্যার বিষয়ের চাইতে বেশি গেজাইতো ঈমান আমল আর জান্নাত লইয়া। আর আমরা মনে মনে কইতাম আমাগো মতো মাছুম , নাদান পোলাপাইনের মুখের দিকে চাইলে আল্লাহ কইবো এইগুলারে ডাইরক্ট জান্নাতের টিকেট দে, রাস্তায় খাওনের লাইগা হুরপরি হোটেলের সামনে বিরতি ও ফিরি। এইডিরে দোজখে পাডায়া আমি দোজখের মাইনষেরে আজাব দিতাম চাই না। তাই আমরা ও এইসব লইয়া টেনসন না খায়া মুনমুন ময়ুরির ফটুক লইয়া কেলাসে গুরুগম্ভির টক শোর আয়োজন করতাম আর বিশ্লেষন করতাম বাংলা ছবির নায়িকা গো ফেস কাটিং , মান্জা কাটিং আরো কতো বংচং। এর মধ্যে কয়ডা আতেল আছিলো যেইগুলান চশমাডা পাছায় ভালো কইরা ডইলা মুইছা চইখ্যে দিয়া নাক উচাইয়া কইতো, "এই তোরা ব্রাড পিটের &^%$# ছবিটা দেখেছিস" আমরা ব্রাড পিট না চিনলেও হের পিঠ চিনতে ভুল করতাম না, আমরা কই পলি , নাসরিনের সয় সম্পত্তি লইয়া বাত করতাছি আর শালা তুই আইছস পাল যুগের বাল লইয়া.. স্যারের নাম দিছিলাম আমি কুলুখ আজিজ ।

কারন কেলাসে আয়া মাইয়াগো সামনে খারায়া জাফর উল্লাহ শরাফতের লাহান মাইক মাইরা কইতো কার কার সথে কুলুখ নাই কও ? আমার কাছ থাইকা লইয়া যাও। আর মাইয়ারা তো এমুন খুশি হইও যে কোনদিন কুলুখ শর্ট পরলে আমাগো চেয়ে হেরাই মনে লয় বেশি দু:খু পাইতো, ১ এক জনের বুকে বেদনা উঠে এমুন অবস্থা। পারলে হেগো রুমাল ছিড়া আমাগো মুতনের তেনা বানাইয়া গিফট দেয় এমুন সিচুয়েশন । রাগে দু:খে ১ দিন ১ কইলাম স্যার কুলুখ লাগবো কেন? টয়লেটের ওয়াল আছেনা? স্যার কয় তাইলে আগে কিং ব্র‌্যান্ড সিমেন্ট দিয়া যায়গা মতো প্লাস্টার করাইয়া লইচ নাইলে জীবনে আর বাপ ডাক হুনন লাগবো না। ঐদিনের পর থাইক্কা আমরা বীরের লাহান বুক উচাইয়া কুলুখ আনি যেনো দৌড় খেলায় ফাস্টু হয়া পুরস্কার আনতে যাইতাছি।

আর কুলুখের তবারক দেওনের দায়িত্ব আছিলো আমার । যাউকগা একদিন আমাগো এক দোস্তে ৫-৬ ডা ময়ুরির কোলজ কাট ফটুক আনছে কেলাসে আর আমরাও দেহনের লাইগা হিস্টোরিয়া রোগির লাহান ফাল পারতাছি। এমুন সময় ঐ কাঠ মোল্লা আমারে কয়,ঐ চেয়ারম্যান খাড়া আমি তো ইজি কামে বিজি তহন। আমি রাইগা কই চুটকি পুলকায় তোর? ডিস্টাব দিছ না। লগের দোস্তে কয় আরে বেডা আমি না কুলুখ আজিজ ডাকে।

স্যারে আমার হাতের ফটুক গুলান লইয়া কই এইসব কি? কার ছবি? আমি খাড়ার উফরে দাত কেলাইয়া কই, স্যার এইডা আমার চাচতো বইন নাম ডলি,আমরিকা থাহে, হের ভিতরে বিরাট প্রতিভা, স্যারে কয় কেলাসের পর দেহা করিছ আমার লগে। আমি তো ডরে শেষ। মনে মনে কই আইজাকা বাইচ্চা গেলে আর এইকামে নাই, পরে আবার কই না আছি, বাট আরেকটু কম দেখমু। কেলাস শেষে গেলাম হের কাছে। স্যার আমার হাতে একটা ৫ পাতার লাম্বা চিডি দিয়া কয় এই ল ১০০ টেকা ,এই চিডি ডা আজকে তোর বইনেরে পোস্ট করবি।

আমিও বালা মাইনসের মতো টেকা লইয়া আইয়া পরলাম। বাইরে আইতেই বেবাক দোস্তে জিগায় কিরে ডলা কেমুন খাইলি? আমি কাহিনি কইতেই সবাই কয় চিডি খোল, দেখ পেরেম পত্র লিখছে নি বুইড়া। খুইলা দেহি স্যার লিখছে, মা, পত্রের শুরুতে আমার দোয়া নিও। তোমার ভ্রাতা চেয়ারম্যান আমার অতীব স্নেহের ছাত্র । তাহার নিকট হইতে তোমার কয়েক খানা ছবি হস্তগত করিয়াছি।

ছবিতে স্বল্প বসনা হওয়ার দরুন তোমার স্বৌন্দর্য কিন্চিত হ্রাস পাইয়াছে। ইসলামে পর্দার বিধান রহিয়াছে.....................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................আরও মেলা আলিবাবা ৪০ চোরের কিচ্ছা কাহিনি । আজ আর নয় মা, তোমার নিজের খেয়াল রাখিও। ইতি তোমার পিত্রিতূল্য এম এ আজিজ তারিখ ...... খত খানা পইড়া আমরা তব্দা খাইতে বাধ্য হইলাম। যাউকগা অহনে ১০০ টেকার সতকার তো করতে হইবো,বেবাকতে মিইল্যা পুরি, সিংগারা খাইয়া শাড়ি পরা কয়ডা ময়ুরির ছবি কিইন্যা লইয়া গিয়া স্যার রে কইলাম স্যার আফায় অহনে এরুম ডেরেস পড়ে।

স্যারে কয় যাক আল্লায় মাইয়াডার বালা করুক। আমরা ও পেডের ভিতরের স্যারের টেকায় কিনা ফিরি খাওনের ঢেক তুইল্লা কই আমিন, ছুম্মা আমিন। বি,দ: উপরের লেখাটা মজা করে লিখা। ব্যাক্তগত ভাবে আমি বোনদের অনুরোধ করবো আপনারা পর্দা মেনে চলুন। ফ্রেন্ডস আপনাদের যদি আমার লেখা ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টস করতে ভুলবেন না।

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৪ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.