তে ম ন খা রা প ন য় আফগানিস্তানের এক গ্রামীণ এলাকা। খুব ভোরে একদল মার্কিন সেনা ধরে নিয়ে গেল হাজি শাহজাদাকে। তিক্ততায় ভরা বিচিত্র এক ভ্রমণের মধ্য দিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলো কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারে। সেখানে বিনা বিচারে কেটে গেল তাঁর ১০টি বছর।
এখন অবশ্য নিজ গ্রামে ফিরেছেন হাজি শাহজাদা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রচণ্ড ঘৃণা তাঁর মনজুড়ে। একই সঙ্গে রয়েছে প্রচণ্ড ক্ষোভ। শাহজাদা বলেন, একবার সুযোগ পেলে এই নিষ্ঠুরতার বদলা নেবেন।
একই অভিজ্ঞতা আফগান নাগরিক আখতার মোহাম্মদেরও। তিনিও কিউবার কুখ্যাত মার্কিন কারাগারে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন।
এখন মনে-প্রাণে মার্কিনবিদ্বেষী। তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া বেশ জটিল। আখতার চান না মার্কিন সেনারা এখনই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাক। তাঁর আশঙ্কা, মার্কিন সেনারা চলে গেলে ক্ষমতালোভী যুদ্ধবাজ আফগান নেতারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হবেন।
২০০১ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর নেতৃত্বে জোট বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এভাবে অনেক আফগান নাগরিককে গুয়ানতানামোয় পাঠানো হয়।
তাদের সবারই রয়েছে নির্যাতনের নারকীয় অভিজ্ঞতা।
উল্লিখিত দুই আফগানকে মার্কিন সেনারা গ্রেপ্তার করে সন্দেহভাজন তালেবান জঙ্গি হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে নয়-এগারোর সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানের তালেবান শাসককে উৎখাত করে ইঙ্গো-মার্কিন জোট।
শাহজাদা ও আখতারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তবে ক্ষতি যা হয়েছে তা অপূরণীয়।
মার্কিন সেনাদের সন্দেহের রোষানলে পুড়ে এক দিকে যেমন তাঁদের অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে, তেমনি জীবন থেকে ঝরে গেছে অমূল্য কয়েকটি বছর।
কান্দাহারের বাসিন্দা শাহজাদা এখন ৫০ বছরের প্রৌঢ়। তিনি বলেন, ‘সেদিন আমার বাড়ির শিশুরা ঘুমাচ্ছিল। ঘরে পর্দানসীন নারীরা ছিল। এর মধ্যেই একদল মার্কিন সেনা এসে আমাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে গেল।
টানা কয়েক বছর কারাভোগ করার পর এক চিঠিতে জানানো হলো, আমি নির্দোষ। এই চিঠি দিয়ে আমি এখন কী করব?’
শাহজাদা বলেন, ‘আমি যদি সে রকম সুযোগ পাই, তাহলে বদলা নেব। শাস্তি দেব ওই মার্কিনদের। ’
সূত্র : প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।