জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধরে গুরুতর আহত ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ মারা গেছেন। আজ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান।
ছাত্রলীগের হাতে আহত জুবায়ের আহমেদ হাসপাতালে মারা গেছেন। -একুশে টি.ভি ,ইসলামিক টি.ভি,প্রথম আলো...
না কী সাধারণ ছাত্রদের হাতে ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আহমেদ নিহত। ..দেশ টি.ভি, টিভি চ্যানেল গুলা জনগনকে হুদায় দোলাচলে রাইকা দিছে।
প্রথম আলোর সংবাদটা পড়ে দেখেন........
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আজ মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র আশিকুর রহমানকে আটক করেছে।
জুবায়েরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। তাঁর বাবার নাম তোফায়েল আহমেদ। জুবায়ের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিনের অনুসারী ছিলেন। তবে গত এক বছর ধরে তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
জুবায়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র হলেও তিনি ঢাকা থেকে যাওয়া আসা করতেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার দুপুরে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর চূড়ান্ত পর্বের শেষ পরীক্ষায় অংশ নেন জুবায়ের। পরীক্ষা শেষে বিভাগের সামনে থেকে জুবায়েরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ রফিক-জব্বার ও মীর মশাররফ হোসেন হলের ১২-১৩ জন ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে ডেকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাঁরা জুবায়েরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পেছনে নিয়ে রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পেটান।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মারধরকারীদের মধ্যে দুজন তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জুবায়ের আহত হয়েছে এমন দাবি করে তাঁরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চলে আসেন। জুবায়েরের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউতে) রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১০টার দিকে জুবায়েরকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আজ সকালে তিনি মারা যান।
ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক সামিরা বলেন, ‘অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জুবায়েরের মাল্টি অরগান ফেইলর হওয়ায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
’
গতকাল রাতে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক সোহেল জানিয়েছিলেন, জুবায়েরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কবিরুল বাসার বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে একজনকে আটকও করা হয়েছে।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান একজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশটা কোথায় এসে পড়ল?বুঝতে পারছি না!!এখানে কারো জীবনের ২মিনিটের নিরাপত্বা নাই। আর যাদের আটক করা হয়েছে তাদের আদো বিচার করা হবে কিনা আল্লাহ মালুম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপাইন কি গুমাইতেছে ?আড় ষবাই চুপ কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।