আমি সকল ধর্মের উদ্ধে উঠে মানবতাকে আলিঙ্গন করতে চাই। রাজনীতি বলতে এখন মানুষ বোঝে নোংরামি আর বাটপারী। এখন আর মানুষ এর মাঝে কোন ভাল ধারণা জন্মায় না রাজনীতি সম্পর্কে। কিভাবে জন্মাবে? রাজনীতিবিদরা তা হতে দিলে না। আজ মানুষ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করে শুধুই একজন সরকারের প্রয়োজন বলে।
আজ ভোট দিতে হয় বলেই সাধারণ মানুষ ভোট দেয়। কিন্তু যেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি তারা নেতা-নেত্রী দের কাছ থেকে পায় সেটা পাওয়ার আশা খুব কম মানুষ ই করে থাকে।
আজ যে জন্য লেখতে বসলাম তার কারণ হল কয়েক দিনের রাজনৈতিক তাণ্ডব। রাজনীতির নোংরা নীতিতে বিশ্বাসী রাজনীতিবিদেরা তাদের পোষা কুকুর আজ সাধারণ মানুষের উপর লেলিয়ে দিচ্ছে। কয়দিন হল পত্রিকার প্রথম পাতার সংবাদ হয়ে দারিয়েছে।
কুয়েটে, বুয়েটে, জবিতে ছাত্রদের উপর আওয়ামীলীগ এর পোষা কুত্তা যারা কিনা ছাত্র লীগ নামে পরিচিত তাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মার খেয়ে আহত হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। আমার প্রশ্ন ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ লেলিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য কি প্রধানমন্ত্রীর? এতে করে কি অর্জন হচ্ছে? এতে কি তাদের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে? ছাত্র লীগ এর নাম এর আগে ছাত্র হওয়ার কি কোন অধিকার রাখে?
একই প্রশ্ন আমি বিরোধী দলের নিকটও করছি। আপনেরা এখন সমালোচনা করলেও যখন দলে আসেন তখন কেনো একই নীতি পালন করেন? ছাত্র শিবির/দলের আগে ছাত্র লাগানোর অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? আপনেরা এভাবে কি অর্জন করেন?
আমি জানি এর উত্তর আপনাদের কাছে চাওয়া বৃথা। তবে আমি মনে করি ছাত্র লীগ/দল/শিবির এদের আগে ছাত্র শব্দটি উঠিয়ে সেখানে কুত্তা লাগানো উচিৎ।
কারণ তারা তাদের ছাত্রত্তের মর্যাদা রাখেনি, তাই তাদের অধিকারও নেই।
এবার আসি সরকারের এম পির কথায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি করতে গিয়ে হাতে নাতে খেল ধরা। আর এর পরের ঘটনা সবার জানা। আর টিভির সাংবাদিক আহত একজন সম্মানিত সাংসদের হাতে মার খেয়ে।
তার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি একজন নারীর গা এ হাত তুললেন কোন সাহসে? আপনে দুর্নীতিতে ধরা খেলেন এতে কি আপনার লজ্জা লাগছে? নাকি লজ্জাহীন? আপনাকে দুর্নীতির সাহস এর যোগানদাতা কে?
আশা করি এইসব সংস্কৃতি বিলুপ্ত হবে। এই দেশের মানুষ আর কোনো আওয়ামীলীগ, বি এন পি, জামাত চায় না। তারা চায় সৎ ও যোগ্য লোক। কিন্তু কেউ মুখ ফুটে বলার সাহস করে না। তবে এই সাহস না করা মানে এই না কোনদিন তারা মাথা চারা দিয়ে উঠবে না।
যেদিন জেগে উঠবে এদেশের জনগণ সেদিন আর সময় থাকবে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।