ধারণা জিনিষটা পরিস্থিতি-নির্ভর। একথা বিজ্ঞানের বেলায় সর্বৈব সত্য না হলেও সমাজ ও রাজনীতির বেলায় খুবই সত্য। না হয় অপরাপর দেশের রাজনীতিতে যা সত্য তা আমাদের বেলায়ও সত্য হত, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি।
আমাদের রাজনীতিতে নীতি, সততা, দুরদর্শিতার কথা বলা হলেও, যিনি বলছেন তাকে এ পাল্লায় মাপা যাবে না। এ পাল্লা দিয়ে মাপতে হবে অন্যদের।
যিনি বলছেন, তিনি সর্বদাই মাপামাপির উর্দ্ধে। যেমন ফখরুদ্দীন ও তার সরকার। তাদের যে কে ম্যান্ডেট দিয়েছে, আল্লায় মালুম। এসবের জন্য তাদের জবাবদিহিতা করতে হবে না।
ফলে ধারণা করা যেতেই পারে যে, সব সরকার জবাবদিহিতার আওতায় পড়লেও এ সরকারের জন্য তা জবুরি নয়।
কারণ তারা জাতির ত্রাতা হিসেবে নাজেল হয়েছেন। ত্রাতাদের আবার জবাবদিহিতা কিসের? অতএব আবারো বলছি, ধারণা জিনিষটা পরিস্থিতি-নির্ভর। যদি তা না হত তাহলে আমরা বলতে পারতাম এদেরও অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে।
এতসব যেহেতু করা যাচ্ছে না, অতএব বুদ্ধি নামক জিনিষটার প্রয়োগ অন্যত্র করা গেলেও আমাদের রাজনীতিতে তা করা যাবে না। এ জন্য একটি মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান দরকার।
যারা রাজনীতিতে নামবেন তাদের বুদ্ধ্যংক (বুদ্ধি+অংক) মাপবে সেই প্রতিষ্ঠান। যদি দেখা যায়, কারোর বুদ্ধ্যংক পাঁচের নীচে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান তাদের রাজনীতি করার সনদ দেবে। এর বেশি হলে বেশিওলাদের পাছায় কিছুতেই গ্রহনযোগ্য নয় বলে সিল মেরে দেবে। বর্তমান সরকারকেও একটা সনদ দেয়া যেতে পারে। বলগা পাঠক (ব্লগের পাঠক) প্রস্তাবটি ভেবে দেখতে পারেন।
নোট: বুদ্ধ্যংকের চেয়ে চাটাংক (পদলেহনের দক্ষতা পরিমাপক) আরো বেশি কার্যকর পরিমাপক হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।