২০১২ সালে বিশ্বে ইমিগ্রেশন ক্ষেত্রে সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে। ইমিগ্রেশনের সাম্প্রতিক নীতিমালা বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বিশ্বের বিভিনন দেশে শ্রমবাজার বিশেষ করে ইউরোপের দরোজা বন্ধ করে দিবে। ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় এই মৌলকি পরিবর্তনের পেছনে অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার চেয়ে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক বাস্বতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ ও ব্যাবসায়ী নেতাদের মতে, বর্তমান বাস্তবতায় উচ্চ র্পযায়রে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী ছাড়া কোনও দেশের সরকারই এখন অদক্ষ অভিবাসী কর্মী নেওয়ার ঝূঁকি নেবে না। আগামী বছরগুলোতে মাইগ্রেশনের জন্য দক্ষ ও শিক্ষিত লোকের পাশাপাশি শারীরিক সক্ষমতা সম্পন্ন লোকের বেশি প্রয়োজন হবে।
যা বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য হবে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নিজ দেশের জনগণের চাকরি সংরক্ষণসহ বাসস্থান, স্বাস্থ্য এবং যাতায়ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ইইউভুক্ত দেশগুলোর সরকার বিশেষ করে যুক্তরাজ্য সরকার তাদের জনাগণের ক্রমর্বধমান চাপের মুখে রয়েছে। বর্তমান রক্ষণশীল ব্রিটিশ সরকার এ প্রতিশ্রুতিতে ক্ষমতায় আসে যে তারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর ভূমিকা নেবে। অভিবাসন আজকের দিনে যুক্তরাজ্যে সরকার এবং রাজনৈতিক দলের একটি রাজনৈতিক ইশতেহার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ নিজেদের জনগণের বেকারত্ব দূরীকরণে অভিবাসনের ওপর নানান বিধিনিষেধ আরোপ করছে।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনয়িনভুক্ত অন্যান্য দেশ যেমেন ফ্রান্স ও জার্মানির মত দেশ বাংলাদশেসহ ইউনয়িন বহির্ভূত অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বাংলাদেশি এছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে একই ধরনের বিধি-নিষেধের সম্মুক্ষীন হতে পারে। তবে কিছু দেশ যেমন যুক্তরাজ্য এখনও বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশ থেকে লোক নিচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে দুর্বল কূটনীতি ও যথোপুক্ত প্রশিক্ষণ আর মানবসমদ উন্নয়ণে র্ব্যথতয় বাংলাদেশ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদেশে চাকরির বাজার রক্ষায় মজবুত ও কার্যকরী কূটনতৈতিক পদক্ষপে না নিলে ২০১২ সালে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে বিরাট ধাক্কা খেতে পারে।
কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিদেশিদের অনূসৃত অভিবাসন নীতি বিশেষ করে শারীরিক সক্ষমতার মানদণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে নজর দিতে হবে।
ইইউ’র ব্যাবসায়ী নেতারা চান তাদের অভিবাসী কর্মদের শুধুমাত্র দক্ষ হলেই চলবে না, তাদরেকে একইসঙ্গে হতে হবে স্বাস্থ্যবান, চটপট, এবং সুরুচসিম্পন্ন। ২০১২ সালে রেমিটেন্স প্রবাহ ধরে রাখতে বাংলাদেশ সরকারকে এই বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এখনই তৎপর হতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।