জিএসপি সুবিধা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের গণমাধ্যম, রাজনীতির মঞ্চ এবং ব্যবসায়ী মহলে নানামুখী আলোচনা চলছে। কিন্তু এসব আলোচনার কোনো কোনোটি থেকে মনে হয় জিএসপি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা না থাকার কারণে এটি নিয়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় এবং ভিত্তিহীন মন্তব্য করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। জিএসপি বুঝতে হলে প্রথমে বোঝা উচিত এমএফএন (মোস্ট ফেভার্ড নেশন)-এর ধারণা, কারণ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (বিবাস) এই ধারণাটি থেকে জিএসপির সৃষ্টি।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার একটি সাধারণ নিয়ম আছে, সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর প্রতিটি তাদের বাণিজ্যে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে সমভাবে বিবেচনা করবে, অর্থাত্ কোনো দেশ অন্য একটিকে আলাদাভাবে বিশেষ কোনো বাণিজ্য বা শুল্কসুবিধা দিতে পারবে না, যদি সেই সুবিধা সবার জন্য প্রযোজ্য না করা হয়। বিবাস-এর এ নীতিমালাটির অধীনেই এমএফএন বা সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের ধারণা।
তবে বিশেষ বিবেচনায় কোনো দেশের জন্য এই ধারাটিকে শিথিল করার কিংবা এটি থেকে ছাড় দেওয়ার আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিকেই বলা হয় জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স বা জিএসপি। এই নীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো কিছু নির্দিষ্ট উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো বিশেষ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিদানহীনভাবে শুল্কমুক্ত বা শুল্কহ্রাস সুবিধা দিয়ে থাকে। মূলত সত্তরের দশক থেকে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো পশ্চাত্পদ দেশগুলোর রপ্তানি বাড়ানোর জন্য এই সুবিধা দিয়ে আসছে, যাতে রপ্তানিকারক দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে। তবে একটা কথা বুঝতে হবে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে যে পণ্যটি রপ্তানি করতে সক্ষমতা দান করা হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই পণ্যটির উত্পাদন ব্যয় হয়তো আমদানিকারক উন্নত দেশে বেশি পড়বে, ফলে তাদের নিজস্ব ভোক্তাদের সেটি বেশি দামে কিনতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৪ সাল থেকে জিএসপি সুবিধা বহাল করেছে বিভিন্ন দেশ ও পণ্যের ক্ষেত্রে।
এটি বছর বছর পর্যালোচনা করে নবায়ন করা হয়, সে সময় বিভিন্ন কারণে ও যুক্তিতে এই সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্য ও দেশের তালিকায় রদবদল করা হয়। যেমন ২০১২ সালে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার কারণে জিব্রালটা, তুরস্কসহ আরও দুটি দেশের জন্য জিএসপি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে নতুন করে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেনেগাল ও দক্ষিণ সুদানকে। আবার আর্জেন্টিনার সুবিধা বাতিল করা হয়েছে, কারণ দেশটি মার্কিন নাগরিকদের পক্ষে দেওয়া সালিসি রায় বাস্তবায়নে বিশ্বস্ততার পরিচয় দেয়নি। ২০১১ সালে পেশকৃত কিছু তদন্ত ২০১২ সালে নিষ্পত্তি করা হয়েছে, যেমন শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে, শ্রম অধিকারসংক্রান্ত দুটি আবেদন গৃহীত হয়েছে ইরাক ও ফিজির ক্ষেত্রে।
একই বিষয়ের ওপর তদন্ত অব্যাহত ছিল বাংলাদেশ, নাইজার, ফিলিপাইন, উজবেকিস্তান ও জর্জিয়ার ক্ষেত্রে। এই তদন্তের ওপর ভিত্তি করেই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল করা হয়।
এখানে একটা কথা উল্লেখ করা দরকার, যেসব পূর্বশর্তের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা দিয়ে থাকে, সেসব পর্যালোচনা করে দেখলে বোঝা যায় সুবিধাটি কেবল অর্থনৈতিক সহায়তা প্রকল্প নয়, সে দেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলনও বটে। সে কারণে রাশিয়া বা ভেনেজুয়েলার মতো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জিএসপি সুবিধা পায়। তবে এই সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি দেশটির নিজ স্বার্থ যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সে বিষয়েও রাখা হয়েছে সুস্পষ্ট নীতির সংস্থান।
যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, কিংবা এই সুবিধা দেশটির অর্থনৈতিক স্বার্থে দেওয়া হচ্ছে কি না—এসব বিষয় নিশ্চিত করেই জিএসপি সুবিধার বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হয়। এমনকি সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের বাজারে মার্কিন পণ্যের যৌক্তিক এবং ন্যায্য প্রবেশাধিকার আছে কি না, মার্কিন নাগরিকের সম্পদ বা ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করার বিরুদ্ধে সুরক্ষা কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ রক্ষা অধিকার আইন বলবত্ আছে কি না—এসবও বিবেচনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনে যেসব দেশকে জিএসপি সুবিধা দেওয়া নিষিদ্ধ, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: অন্যান্য শিল্পায়িত দেশ, কমিউনিস্ট বা আন্তর্জাতিক কমিউনিজম কর্তৃক পরিচালিত দেশ; যদি না তারা বিবাস এবং আইএমএফের সদস্য হয়, অন্য দেশের পণ্য আমদানি বন্ধ করার জন্য যে দেশ কোনো বিশেষ দেশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র বা গোপন চুক্তি করে, যে দেশ মার্কিন নাগরিকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে, যে দেশ কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি ব্যক্তি বা সংগঠনকে প্রশ্রয় বা মদদ দান করে কিংবা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত ব্যবস্থাকে সমর্থন না করে ইত্যাদি। এ ছাড়া বাধ্যতামূলক পূর্বশর্ত হচ্ছে যে সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য দেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার (যথা ট্রেড ইউনিয়ন, নিম্নতম আয়সহ উপযুক্ত কর্মপরিবেশ, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, স্বাস্থ্যসেবা) প্রদানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিকৃষ্টতম শিশুশ্রম বন্ধের জন্য তাদের অঙ্গীকার পূরণ করা। এসব পূর্বশর্ত পরিপালনক্ষম যেসব দেশের মাথাপিছু আয় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের কম, সেসব দেশকেই জিএসপি সুবিধা দেওয়া হয়।
এসব শর্ত ঠিক থাকলে দেখা হয় নির্দিষ্ট পণ্যটির অন্যূন ৩৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন রপ্তানিকারক দেশটিতে হয় কি না এবং পণ্যটির শুল্কমুক্ত প্রবেশ যুক্তরাষ্ট্রের উত্পাদনকারী এবং শ্রমিকদের স্বার্থহানি ঘটাচ্ছে কি না। জিএসপি ছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন নামে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু বাণিজ্যসুবিধা ব্যবস্থা রয়েছে আফ্রিকা, আন্দিজ অঞ্চল (বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু) এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য। কেবল জিএসপির অধীনেই যুক্তরাষ্ট্র ১৭০টি দেশ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়ে থাকে।
তবে পণ্যের তালিকা বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জিএসপি অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক। কারণ, এখানে অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যই অন্তর্ভুক্ত।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য তালিকা থেকে প্রতীয়মান হয় যে স্বল্পোন্নত দেশে সহজে উত্পাদনযোগ্য পণ্যের চেয়ে দেশটি তাদের অভ্যন্তরীণভাবে উত্পাদিত পণ্যের বাজারের কথা বেশি বিবেচনা করে, তাই পোশাক, কাচ, ইস্পাত ইত্যাদি পণ্যকে তাদের জিএসপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। সে কারণেই বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধাবঞ্চিত।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের পর বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে এর ফলে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে ধস নামবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৈরি পোশাকশিল্প। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির সিংহভাগ অংশই তৈরি পোশাক এবং এটি জিএসপি সুবিধাবহির্ভূত একটা পণ্য। ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ছিল ২৪২৯ কোটি ডলার, যার মধ্যে তৈরি পোশাক থেকে আসে ১৯০৯ কোটি ডলার অর্থাত্ প্রায় ৭৯ শতাংশ।
একই বছর মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাত্ ১১৩৭ কোটি ডলার এসেছে ইইউভুক্ত দেশ থেকে, আর ২৪ শতাংশ অর্থাত্ ৪৫৩ কোটি ডলার আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আগেই বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে পাঁচ হাজারের বেশি পণ্য আমদানি করে জিএসপির আওতায়, অথচ এই সুবিধায় বাংলাদেশ পায় মাত্র তিন কোটি ৫০ লাখ ডলারের শুল্কমুক্ত রপ্তানি। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে যেসব পণ্যের ওপর জিএসপি সুবিধা পায় সেগুলোর মধ্যে আছে তামাক, প্লাস্টিকসামগ্রী, চীনামাটির তৈজস ও ক্রীড়া সরঞ্জাম। এখানে একটা তথ্য উল্লেখ করা উচিত যে ২০১০ ও ২০১২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত রপ্তানিকারক দেশের প্রথম ২০টি দেশের মধ্যেও বাংলাদেশ নেই, অথচ সেখানে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং এমনকি পাকিস্তানও আছে।
অতএব যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধা প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের মারাত্মক কোনো ক্ষতি হবে না।
তবে ইইউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে, তাহলে সত্যিকার বিপর্যয় নেমে আসতে পারে আমাদের ওপর। তার জন্য এখন থেকেই নিদানমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে দেশের কর্মপরিবেশ এবং শ্রম অধিকারসংক্রান্ত অভিযোগ এবং ঘাটতিগুলো দূর করা যায়। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে সে দেশের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন জোট এএফএল-সিআইও বাংলাদেশের শ্রম অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যর্থতা সম্পর্কে অভিযোগ পেশ করেছিল ২০০৭ সালে। বিষয়টিকে আমরা তখন থেকেই যদি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আজ জিএসপি বাতিলের কোনো অজুহাত পেত না। আমরা জানি এই সুবিধাটি বাতিলের ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি বেশি না হলেও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
এমন আশা করাও উচিত হবে না যে ইইউ যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরবে না।
বাংলাদেশে এই জিএসপি সুবিধা বাতিল নিয়ে যখন নানামুখী আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর ২ জুলাই ২০১৩ তারিখের সংস্করণে মন্তব্য করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে বাংলাদেশকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। রানা প্লাজায় সহস্রাধিক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অর্থনৈতিক এবং নৈতিক যৌক্তিকতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা পোশাক খাতের জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, জিএসপিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে পোশাকের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করে ওয়াশিংটন উন্নয়নশীল বিশ্বের শ্রমিকদের আরও সাহায্য করতে পারত।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যদি আরও সহজে পোশাক রপ্তানি করতে পারে, তারা দ্রুত শিল্পায়নে অগ্রগতি লাভ করতে পারবে। সরকারের ব্যর্থতার জন্য দেশের প্রগতিকে শ্লথ করে দিলে শাস্তিটা দেশকেই দেওয়া হয় এবং পুরস্কৃত করা হয় এএফএল-সিআইওর পশ্চাত্পদ দর্শনকে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের কাছে শুনানির সময় এই সংগঠনটিই বাংলাদেশের শ্রমব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের আগের অসন্তোষে অবিচল ছিল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় বাজার ধরে রাখা এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরও বড় রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঢোকার জন্য অবশ্যকরণীয় কাজগুলো সমাধা করতে হবে যথাশিগগির সম্ভব। মনে রাখতে হবে, দারিদ্র্য হ্রাস, পোশাকশিল্পে শিশুশ্রম বন্ধ এবং কারখানার মানোন্নয়ন এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সন্তোষজনক।
বাকি কিছু পূর্বশর্ত পূরণ করা গেলে এবং অন্য কোনো পররাষ্ট্র-রাজনৈতিক বাধা না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের হূত সুবিধা পুনর্বহাল করা সহজতর হবে।
ফারুক মঈনউদ্দীন: লেখক ও ব্যাংকার। fmainuddin@hotmail.com।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।