মানবাধিকার কর্মী বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত রাখুন
Click This Link
৭ই জানুয়ারি ২০১২(২৪ পৌষ ১৪১৮ বাংলা) ২০ তম জাতীয় টিকাদিসের ১ম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। কোন অবস্থাতেই আপনার শিশুকে টিকা খাওয়াতে ভুলবেন না যেন! সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আপনার নিকটস্থ সকল টিকা কেন্দ্র, হাসপাতাল, বিশেষ স্থাপনা, ও ষ্টেশনগোলোতে টিকা খাওয়ানো হবে।
* থেকে ৫৯ মাস (প্রায় ৫ বছর) বয়সী সকল শিশুকে ২ ফুটা পলিও টিকা খাওয়ানো হবে। কোন অবস্থাতেই এক ফুটা নয়।
* যে সকল শিশুর বয়স ৬মাস থেকে ১১মাসের মধ্যে তাদেরকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
* যে সকল শিশুর বয়স ১২থেকে ৫৯মাসের মধ্যে তাদেরকে একটি করে লাল রঙের উচ্চ্য ক্ষমতা সম্পন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
=============================================
Click This Link
পোলিও (পোলিও মাইলাইটিস) এর কারণ, রোগজীবানুর নাম, লক্ষণ, ভয়াবহতা ও প্রতিরোধ
কারণ
--------
আক্রান্ত শিশুর মল দ্বারা দূষিত পানি খেলে বা আক্রান্ত শিশুর সংস্পর্শে এলে এই রোগ হতে পারে।
জীবানুর নাম:
পোলিও ভাইরাস (Polio virus)
EPI eight Diseases5.jpg
ছবি: পোলিও
Click This Link
তথ্যসূত্র: প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পৃষ্ঠা:৩৩, ফ্লিপচার্ট, এপ্রিল-১৯৯২,
বাংলাদেশ পপুলেশন এন্ড হেলথ কনসোর্টিয়াম।
লক্ষণ
১-৩ দিন:
শিশুর সর্দি, কাশি এবং সামান্য জ্বর হয়।
১-৫ দিন:
মাথা ব্যাথা করে, ঘাড় শক্ত হয়ে যায়
জ্বর থাকে
শিশুর হাত অথবা পা অবশ হয়ে যায়
শিশু দাঁড়াতে চায় না
উঁচু করে ধরলে আক্রান্ত পায়ের পাতা ঝুলে পড়ে
দাঁড়া করাতে চাইলে শিশু কান্নাকাটি করে এবং নাড়াচড়া করতে পারে না
শিশুর আক্রান্ত অঙ্গ ক্রমশ দুর্বল হয় এবং পরে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
ভয়াবহতা
শিশুর এক বা একাধিক অঙ্গ অবশ হয়ে য়ায়। ফলে আক্রান্ত অঙ্গ দিয়ে স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না । আক্রান্ত অঙ্গের মাংসপেশী চিকন হয়ে যায় । শ্বাস প্রশ্বাসের পেশী অবশ হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে শিশু মারাও যেতে পারে।
প্রতিরোধ
এক মাস পর তিন ডোজ এবং হামের টিকা দেওয়ার সময় আরো একবার অর্থাৎ মোট চার বার পোলিও টিকা শিশুর এক বছর বয়সের ভিতরে খাওয়ানো হলে তা শিশুর দেহে পোলিও রোগ প্রতিরোধ করে।
প্রথম ডোজ দেয়ার সবচেয়ে ভালো সময় শিশুর ৬ সপ্তাহ বয়স। যদি কোন শিশু ক্লিনিক বা হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে তাহলে তাকে জম্মের পর পরই এক ডোজ পোলিও টিকা দিতে হবে। এটাকে অতিরিক্ত ডোজ বলে গণ্য করতে হবে। এবং শিশুর ৬ সপ্তাহ বয়সে থেকে নিয়মিত চার ডোজের সিডিউল শুরু করতে হবে।
( মাননীয় মডারেটর, জাতীয় স্বার্থে পোষ্টটি ষ্টিকি করার জন্য অনুরুধ করছি।
ধন্যবাদ ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।