আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেংটা বেলা -টু- বুইড়া বেলা ৬ ষ্ঠ পর্ব

https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 ঘটনার সময় আমি পড়ি কেলাস সিক্সে। নয়া নয়া হাই ইসকুলে উঠছি তাই ভাব ও ব্যাপক। কথা বার্তা, চলাফেরা সব চেন্জ কইরা ফালাইসি। কেউ ২ বার ডাক না দিলে কথা কই না। জুনিয়র পোলাপাইনের লগে আর খেলি ও না।

খালি জুনিয়র মাইয়াগো লগে হালকা বাত চিত হয় আর কি । ভাতেরে কই রাইছ, স্যান্ডেল বাদ দিয়া সু , ইন করা ছাড়া প্যান্ট পড়ি না। । মাঝে মাঝে বইনের পাওয়ার ছারা চশমা চুরি কইরা লইয়া যাই স্কুলে। কে্উ জিগাইলে কই পাওয়ার ১০,৫ আর হুদাই একটু পর পর শার্ট দিয়া চশমাডা মুছি।

আর পোলাপাইন আমার দিকে তাকাইয়া মনে মনে ভাবে আহারে আমার চইখ আল্লাহ যে কেন নস্ট করলো না। লুংগি পড়লেও ইন কইরা পড়ি। পারলে তো পানজাবী ও ইন কইরা পড়ি এমন অবস্থা। যাই হোক আমার একটা প্রিয় প্যান্ট আছিলো সাদা রংয়ের। এমন ও বহুত দিন গেছে যখন ঐ প্যান্ট টা হালকা ভিজা থাকা সত্বেও ঐটারে ইস্তারী কইরা পড়ছি কিন্তু অন্য প্যান্ট পড়ি নাই।

এমন কি আম্মার মাইর ও খাইছি। এমন না যে প্যান্ট আর নাই। কিন্তু কেন জানি ঐডাই ভালো লাগতো। তেনা না প্যাচাইয়া কাহিনী তে আসি। একদিন আমার এক মাইয়া বান্ধবি আমারে হের জন্মদিনের দাওয়াত দিলো।

দাওয়াত পাইলে যে আমার কেমুন খুশ লাগে আফনেরা তো জানেন ই আমি আম্মারে কইলাম কি গিফট দিমু? আম্মা কয় একটা পুতুল কিন্না দেই। আমি কই পুতুলের চুল যেন বাব কাট হয়। আম্মা কয় কেন? আমি কইলাম পলির চুল ও তো বব কাট। আমার বইনে চামের উপর কয় ইসকুলে কি পড়তে যাস না মাইয়াগো চুল দেখতে যাস? আমি কইলাম তোর চুল বাচাইতে চাইলে ভাগ। যাক আম্মা আমারে লইয়া গিয়া একটা পুতুল কিনলো।

আমার যদিও লাইক হয় নাই ( আমি চাইছিলাম বব কাট আর গালে তিল ওয়ালা, কিন্তু আম্মারে শরমে তিলের কথা কইতে পারি নাই। ) দাওয়াতের সময় আমার আফার কাছে গিয়া কইলাম আফা তোর মেকাপ দিয়া আমারে একটু সাজাইয়া দিবি? হে কয় কেন? বিয়া করতে যাইতাছো ভাই? রাগে আইয়া নিজী গালে তিব্বট স্নো আর পাউডার দিয়া হমানে ডল্লাম। মাথায় দিলাম আম্মার গন্ধরাজ কেশ তেল। আম্মা কয় করছ কি? ভালো তেল দে। আমি কইলাম অফ যাও, এইডার গেরান ভালা।

আমার সাদা প্যান্ট টা পরতে গিয়া দেহি নিচ দিয়া জায়গা বরাবর ছিড়া। বুঝলাম বইনের অভিশাপ লাগছে। কারন একটু আগে হের লেডিস ঘড়ি চুরি কইরা পকেট এ রাখছি। বাইরে গিয়া পরমু বইলা। আম্মারে গিয়া কইলাম সিলাইয়া দেও।

আম্মা কয় পারুম না। ভালো প্যান্ট পড়,আমি তো রাজি না। আম্মা মানে না তো মানেই না। আমার বইনরে কইলাম তুই সিলাইয়া দে। হেও রাজি না।

হে ঘড়ি খোজায় ব্যাস্ত। কইলাম কালকে তোরে আচার কিন্না দিমু। বইনে রাজি হইলো। কুনোমতে সিলাইয়া দিলো। হেও ভালা পারেনা।

যাক আমি বগলে গিফট লইয়া যাত্রা করলাম। গিয়া দেখি আমার ক্লাসের অনেক মাইয়া আইছে। আমি ভাবে গিফট আর টেবিল এ রাখি না কারন আমার বান্ধবিরে দেখাইতে হইবো না যে আমি গিফট আনছি ? ও আইলে এমন ভাবে গিফট টা টেবিল এ রাখলাম যেনো আমি একলাই গিফট আনছি। কেক কাটার সময় ঠেইল্লা মাইয়ার লগে খারাইলাম যাতে ছবিতে থাকি। পারলে মাইয়ার বাপ মারে ঠেলা মারি এমন অবস্থা।

যাক কেক কাটা শেষে সবাই বইয়া গেলাম। একটু পরে মিউজিক আরম্ভ হইলে মাইয়াগো লগে নাইচ শুরু করলাম। নাইচ শেষে খাওনের পালা। আমার প্রিয় মুহুর্ত। নগদে বইয়া পরলাম।

যেইনা আল্লাহর নাম লইয়া খাওন ইস্টারট দিছি দেহি আমার বিপরিতে বওয়া মাইয়ারা ফিকফিকাইয়া হাসে। আমি কই আগে খাইয়া লই পরে কাহিনি বুঝুম নে। হেগো হাসি দেহি থামেই না। আমি তো মনে মনে কই যাক আমার মাথার কেশতেল, হাতের লেডিস ঘড়ি, পাউডার এর টেকা উসুল। খাওয়া শেষে আমার বান্ধবিরে জিগাই কি পলি ওরা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে কেনো? মাইয়া কয় তুমি যে কি না? তুমি ছিড়া প্যান্ট পরে আসছো কেন? আমি হাত জায়গা মতো নিয়া দেখি আমার প্যান্টের বেড়িবাধ খুইল্লা গেসে।

তার মানে এতখ্খন সবাই মিল্লা ফিরি তে আমার নান্টু ঘটক রে দেখছে ...নিশ্চয় বেরেক ড্যান্স মারাইতে গিয়ে এই আকামডা হইছে। ভাইবা আমার অবস্থা তখন কেরাসিন। শরমে কইলাম আমি আসি পলি। পরে দেখা হবে। আর মাইয়ারা কি হাসি।

মনে হয় যেন সবগুলির বিয়া লাগছে। বাসায় আইয়া নগদে বইনের পিডে বওয়াইয়া দিলাম ২ কিল। আর যায় কই। বইন ও জান দিয়া আম্মাগো কইয়া দিল গইর আর চিক্কুর ( আব্বা বাসায় আছিলো না নাইলে আব্বাগো কইয়া ও কানতো , আমরে ডাবল মাইর খাওয়ানোর লাইগা) আম্মা দউরাইয়া আইলো। আমি কইলাম হে কি প্যান্ট সিলাইছে যে ঐখানে গিয়া আমার প্রেস্টিজের খতনা কইরা দিছে ? আম্মা গেলো গা।

আমি তো কই বাইচ্ছা গেছি। মাইর খামু না। একটু পর একটা লুংগি দিয়া কয় প্যান্ট খুইলা দে। আমি তো মনে মনে খুশি। মনে করছি সিলাইয়া দিবো ভালো কইরা।

আর আমার ফাজিল বইনে অহনো চিক্কুর দিয়া কানতেসে আর কইতাছে ওরে মারলা না কেন ? ওমা আম্মা দেখি এক হাতে একটা লাইটার লইয়া আইছে। আমার প্যান্টা লইয়া ঠাস কইরা দিলো আগুন লাগাইয়া। আমার মনে হইলো আগুন আমার প্যান্টে না আগুন লাগাইছে আমার বুকে। হা্য়রে আমার এখন কি হবেরে কইয়া মাডিতে কাডা মুরগীর মতো গইর শুরু করলাম। যে আমার বইন এ কানতাছিলো হে চউখের পানি না মুইছাই হাসা শুরু করলো।

আর আমার কান্দনে পুরা আকাশ বাতাস ভারী হইয়া গেলো। গাছের পশু পাখির ভাষা আমি বুঝি না বাট আমি শিউর তারাও ঐদিন আমরা দু:খে কানছিলো। আর আমিও বুঝলাম এইভাবেই বাংলাদেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষ গুলা হারাইয়া যায়। আমার লেখা এই সিরিজের বাকি পর্ব গুলো পড়তে চাইলে ক্লিক করুন নিচের লিন্কে। এগুলো আমার জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব কাহিনি ।

আপনাদের মতামত জানালে খুশী হবো। ১ম পর্ব ২য় পর্ব ৩য় পর্ব পর্ব ৪ ৫ ম পর্ব ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.