আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেংটা বেলা -টু- বুইড়া বেলা পর্ব ৪

https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 এইডা হইলো আমার কেলাস ৪ ( ফোর) এর ঘটনা। আমাগো এলাকায় একটা ছোট হোটেল আছিলো যেইখানে ভাগ্যক্রমে আমার আব্বার একটা বাইক্কা একা্উন্ট ছিলো। আমার খাদ্যাভ্যাসতো আফনেরা জানেন ই। আমি মাঝে মাঝে ঐ খানে যাইতাম পরোটা আনতে। আমারে হোটেল এর কাক্কু চিনত তাই গেলেই যা চাইতাম দিয়া খাতায় লিখে রাখত।

এই চান্সে আমি আমার সাংগো পাংগ মিইল্যা আব্বার নাম ভাংগাইয়া খাইতাম। একদিন ইস্কুল থাইক্যা বাসায় আইতাছি লগে আমার ক্লাসের এক সুন্দরী মাইয়া নাম ডেইজি। আমি হোটেল এর সামনে আইতেই কইলাম এই শুনো তুমি কিছু খাবে? কয় "না'" কইলাম 'খাও না টেকা দেওন লাগবো না, এইটা আমার আব্বার দোকান"। ও কয় তাইলে খামু। আমি ও গিয়া ভাব ধইরা কইলাম ঐ কাক্কু আমাগোরে সিংগারা , পেয়াজু, আর বুট দেন।

ঐ বেডা ও দিলো পেলেট ভইরা। মাইয়া দেহি বিরাট খুশি। এমুন খাওন খাইছিলো যে ওর বাপের কমছে কম ৩ পট চাইল বাইচ্চা গেছিলো শিউর। যাক খাওয়া শেষে মাইয়া কয় চা খাওয়াইবা ? আমি তো মনে মনে কই আমারে চাইলে আমারে খাওয়াইয়া দিমু । যাই হোক আমি চা এর অর্ডার দিলাম ২ কাপ ( যদিও আমি চা খাই না।

ভাব দেহানোর লাইগ্যা খামু)। যেই মাত্র চায়ে সুরুত কইরা এক চুমুক দিছি আব্বা আইয়া হাজির। কয় কিরে তুই এইখানে কি করছ? আমি তো পুরাই ঠাডা খাইয়া গেলাম। ডেইজি কয় আংকেল ও আমাকে অনেক কিছু খাওআইছে। কইয়া একটা ভেটকি মারলো।

আর আমি মনে মনে কই বিনিময়ে শালি তুই আমারে বাশ খাওয়াইলি? আব্বা ক্য় এই লাইগাই তো কই মাস শেষে বিল বেশি আসে কেন ? আব্বা ঐ মাইয়ারে কয় আম্মু তুমি খাও। আর আমার কানে ধইরা উঠাইয়া লটকাইয়া লইয়া চল্ল। আমি কই আব্বা আমার বই। ঐ মাইয়া কয় তুমি যাও আমি খাওয়া শেষে বই লইয়া আমু নে। বুঝেন আমার মান ইজ্জত লইয়া হাডুডু খেইল্লা দিল আব্বা।

বাসায় আইয়া আব্বা আম্মারে ডাইকা আমারে কাহিনি কইলো। আম্মা তো বিশ্ষাষ যায় না। কয় এই পোলা ঘরে যে খাওন খায় বাইরে গিয়া তো আর খাওনের কথা না। আব্বা কয় তোমার পোলা খালি খাদক ই না। সে তো বিরাট মজনু ।

মাইয়া লইয়া হোটেল এ ডেটিং করে। আর গিলে। আমার বইন এ চান্স পাইয়া কয় আব্বা তাইলে আইজা থাইক্কা ওর নাম "খাদক মজনু'" আমি কইলাম গেলি নাইলে খাইয়া লামু কইলাম। বইনে কয় কেন পেট এহনো ভরে নাই ? আমি দিলাম কাইন্দা। এমুন সময় আমার নায়িকা ডেইজি আমার বই গুলা লইয়া হাজির।

আমার আম্মারে বইগুলা দিয়া আমারে কয় "এই শুনো কালকে কি আবার আমারে খাওয়াইবা? " আমি তো মনে মনে কই শালি আমার নিজের খাওন ই তো বন তোরে কি খাওয়ামু। যাহোক ঐদিনের পর থেকে আমার দোকান এ খাওনের উপর ১৪৪ ধারা জারী হইছিলো। দোকান এ কিছু আনতে গেলে আব্বা স্লিপ দিয়া দিতো। ভি.জি, এফ স্টাইল আর কি। আর দোকানের কাক্কু মজা কইরা জিগাইতো "বাবু তুমার বান্ধবিরে দেহি না ।

হে কই?" বুঝেন অবস্থা ...... সাথে থাকুন। আপনাদের মতামত জানাবেন প্লিজ। আপনাদের ভালো লাগলে আরো লিখব। যারা আমার লেখা আগের পর্ব গুলা পরতে চান নিচের লিন্কে ক্লিক করুন । ১ম পর্ব ২য় পর্ব ৩য় পর্ব সবাইকে নববর্ষে র শুভেচ্ছা ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.