বিচ্যুত যৌবনে জোছনা আমায় করেছে উম্মাদ
সিলেটে শুরু হয়েছে নতুন এক কালচার সেটার নাম আগ্নি সংযোগ কালচার। এই কালচার সিলেটের রাজনীততে আগে ছিলো না। সিলেটে সবসময় শান্তিপূর্ন সহবস্থানের রাজনীতিই ছিলো। অতীতে দেখেছি, ছাত্রলীগ-শিবির-ছাত্রদল মারামারি হলে মুরুব্বী শ্রেনীর নেতারা বসে আপসে মীমাংসা করে ফেলতেন। একে অন্যকে ক্ষতি পূরনের আশ্বাস দিতেন বা ক্ষতি ভাগাভাগি করে নিতেন।
কিন্তু ইদানিং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বাহিনী এসবের থোড়াই কেয়ার করছে। বরং সিলেট কে সাম্প্রদায়িক ও অশান্ত বানানোর চেস্টায় লিপ্ত হয়ে গেছে। গৌড় গোবিন্দের পতনের পর শাহজালাল যে সিলেটকে শান্তি, সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক বানিয়েছিলেন সেই সিলেট কে আজ অশান্ত করার পাঁয়তারা চলছে।
আজ ছাত্রলীগের জঙ্গী নেতা পিযুস, পাঙ্গাস, রনজিত, জগদীশ রা যেভাবে সিলেটের মানুষের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, ঘর-দুয়াড় জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এটা খুব একটা শুভ লক্ষন হবে বলে মনে হচ্ছে না।
গৌর গোবিন্দের প্রেতাত্মারা সেদিন এম সি কলেজ ছাত্রাবাস জ্বালিয়ে দিলো। আজ মানুষের বাসা-বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলো। এগুলোর ভবিষ্যৎ কি??
সিলেটে এ পর্যন্ত জামায়াত-শিবির কে কোন মারামারিতে বিশেষ জড়াতে দেখা যায়নি। বিএনপি কেও না। তারা হয়তো সিলেটের শান্তি-সৌহার্দের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন।
কিন্তু ছাত্রলীগ কি সেই সম্প্রীতির প্রতি শ্র্দ্ধা দেখাচ্ছে। তারা গত কাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখলো। তার আগে তারা সিলেটের প্রায় সাংবাদিক পেটালো। যেটার জন্য মেয়র কামরান প্রকাশ্যে সকল সাংবাদিকের কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আজ মানুষের বাসায় আগুন ধরিয়ে দিলো।
এর আগে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরালো।
গত পরশু মাননীয় অর্থ মন্ত্রী বলেছেন, হলমার্কের চার হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি নিয়ে যারা কথা বলেন তারা সব "রাবিশ" তার আগে বলেছেন বেগম জিয়া সন্ত্রাসের নেত্রী। আসলে ঠিক বুঝতে পারছিনা যারা আগুন দিয়ে মানউষের বাড়িতে তান্ডব লিলা করে, হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে মানুষকে খুন করে তারা সন্ত্রাসী না, না যারা মার খায় তারা সন্ত্রাসী। জনাব মুহিত যাকে সিলেটের লোকজন টাল মুহিত বলে ডাকে। যিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে নিজের প্রতিক "নৌকায়" ভোট না দিয়ে "বৈঠায়" ভোট দিয়েছিলেন তার উল্লেখিত মাতাল উক্তির পর সিলেটে ছাত্রলীগের জংগী তৎপড়তা বেড়েই চলছে।
রাজনীতিতে মতভেদ থাকতেই পারে। আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুরই সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু মানুষ খুন করে, মানুষের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে নিজেদের সন্ত্রাসী চেহারা দেখানো সম্ভব কিন্তু শান্তি-সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।
শান্ত সিলেটে আগুন সংস্কৃতি চালু করে অশান্ত ও সাম্প্রদায়িক বানানোর যে চক্রান্ত চলছে তার জন্য নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। কারন সিলেট ছাত্রলীগের সব বড় বড় নেতা বিশেষ করে হিরন, ফরহাদ যাদের সাথে এক সংগে চলা ফেরা করেছি তারা অতটা নৃশংস নন খুব ভালো করেই জানি।
তাহলে ছাত্রলীগ কার কথায় চলছে বা এই সব ধংস্স লীলা, তান্ডব চালাচ্ছে কার ইশারায়।
পাদটিকা:
ক্লাস থ্রী কিংবা ফোর এ পড়েছিলাম।
" আগুন নিয়ে খেলা করোনা"
সিলেটের সকল শান্তি প্রিয় মানুষকে সশ্রদ্ধ সালাম ও আগুন নিয়ে যারা খেলছে তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ রইলো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।