আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে মসজিদে নামাজির অভাব নেই, আবার অফিসে ঘুষখোরেরও অভাব নেই ! !

মাতৃগর্ভে শিশুর প্রথম পদাঘাত মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ আর কিছু থাক বা না থাক। বাংলাদেশে অন্তত দুইটি জিনিসের অভাব নেই। এক : নামাজি এবং দুই : ঘুষখোর। মসজিদের অযুখানায় লাইন দিয়ে অযু করতে হয়। অযু শেষে জামায়াত শুরুর একটু আগে মুসল্লির ভীড়ে মসজিদের ভিতর প্রবেশই করা যায় না।

ভালো কথা বটে- মসজিদ ভরা মুসল্লি। আর শুক্রুবার জুমা’র নামাজের দিনে একেবারে অন্য রকম। শহরের বহু মসজিদের সামনের হাইরোডগুলোও বন্ধ করে বসতে দেয়া হয় মুসল্লিদের। তিন তলা-চার তলা মসজিদেও মুসল্লিদের দুই রাকাত নামাজ পড়ার জায়গা হয় না। গাড়ি চলাচল করে এঁকে বেঁকে অন্য কোন অলি গলির পথে।

এক দিক থেকে ভাবতে ভালো লাগে। মুসলমান প্রধান দেশের মানুষ মসজিদমুখী হবে এটাই কামনা। কিন্তু দুঃখ একটাই এতো মানুষ মসজিদে তবুও খারাপ মানুষের অভাব নেই দেশে। ঘুষখোর দিয়ে দেশটা যেন ঠাসাঠাসি। কোন সরকারী অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না।

এমন কি অনেক ঘুষখোরকে বলতে শোনা যায়- যা দিবেন দেন জামাত ধরতে হবে। অবিশ্বাস্য যে মানুষটি জামায়াতের সাথে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত সেও ঘুষকে নিজের প্রাপ্য মনে করে। কোন লজ্জাও করে না ঘুষ চাইতে। একজন বেনামাজি ঘুষখোরের চেয়ে নামাজি ঘুষখোর অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কেননা- বেনামাজির খোদা ভীতি সৃষ্টি হলে ঘুষ খাওয়া ছেড়েও দিতে পারে।

কিন্তু নামাজির সে সম্ভাবনাটুকুও থাকে না। কারণ- ওর আল্লাহ সম্পর্কে ভয় কেটে গেছে। আর নামাজিরা যে কোন অন্যায়ের সাথে জড়িত হলে তা সমাজে খুব বেশি মারত্নক প্রভাব পড়ে। ধর্ম-কর্ম সম্পর্কে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারনা সৃষ্টি হয়। মসজিদে আগত এতো নামাজি মানুষের অর্ধেকও যদি ভালো মানুষ হতো তবে কি আমাদের সমাজটা এতো অস্থির আর মানুষের জন্য কষ্টদায়ক হতো ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.