জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার শরীর মুবারক-এর একখানা টুকরা মুবারক। ’
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিলের আয়োজন করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সারাবিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম সকল সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে-
উনার জীবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার বিছাল শরীফ দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্বের সকল মহিলাগণের সাইয়্যিদাহ, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিতা মাতা, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত স্নেহময়ী কন্যা এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম উনার চার কন্যার একজন। মূলত তিনি আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্যতমা।
তাই সকল মুসলমানগণ তো অবশ্যই, অমুসলিমদের জন্যও ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতিক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে। ” (সূরা শূরা : আয়াত শরীফ ২৩)
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত দান করেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভ করার জন্য।
আর আমার হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। ”
হাদীছ শরীফ-এ আরো উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার (দেহ মুবারক-এরই) একখানা টুকরা মুবারক। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো। ” (বুখারী, মুসলিম)
অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাগণের সাইয়্যিদাহ।
সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পরে মাত্র ছয় মাস যমীনে ছিলেন।
তিনি হিজরী ১১ সনের ৩রা রমাদ্বান শরীফ রোজ সোমবার শরীফ বাদ আছর বিছাল শরীফ লাভ করেন। উনার জানাযার নামায হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি পড়ান। উনার মাযার শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে অবস্থিত।
মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণে অনেকেই উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে।
তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোন আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কী করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করা ও বিছাল শরীফ-এর দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা।
সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এর দিন হচ্ছে ৩রা রমাদ্বান শরীফ, অর্থাৎ আজ। এ উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের পক্ষ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিলের আয়োজন করে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এছাড়া সমস্ত অমুসলিম সরকারদেরও উচিত, তাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ। ঠানের সিলেবাসে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। কারণ,সকল অমুসলিমদের জন্যও কর্তব্য হলো, উনার জীবনী মুবারক পড়ে কামিয়াবী হাছিলের কোশেশ করা।
মূলকথা হলো- সুমহান ৩রা রমাদ্বান শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান বিছাল শরীফ-এর দিন। সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য দায়িত্ব-ও কর্তব্য হচ্ছে- এ উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিলের আয়োজন করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা। আর সরকারের জন্য দায়িত ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার জীবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার বিছাল শরীফ দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস পালন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।