আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Warrior (2011)|| ওয়ারিয়র: মুভি রিভিউ

^^^^^^^^^ ওয়ারিয়র, যে মুভিটি আপনারে 'রকি'র কথা মনে করিয়ে দিবে, 'মিলিয়ন ডলার বেবি'র কথা মনে করিয়ে দিবে, 'সিনডেরেলা ম্যান' এর কথা মনে করিয়ে দিবে, 'দ্যা রেসলার'র কথা মনে করিয়ে দিবে অথবা ২০১০ এর 'দ্যা ফাইটার' এর কথা। সবগুলো মুভিতেই মুভির মূল চরিত্র ফাইট করে। লড়াই করে নিজের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য, খ্যাতির জন্য, ভালবাসার জন্য। ওয়ারিয়র একটি পারিবারিক ভ্রামা, যেটার ভিত্তি মিক্সড মার্শাল আর্ট, শেষ হয় ভালবাসা দিয়ে যেখানে শেষ সংলাপটি "আই লাভ ইউ, স্পয়েলার "। পরিচালক ও অন্যতম লেখক গেভিন ও'কনর এর পুরনো খ্যাতি আছে মানুষের আবেগকে নাড়া দেওয়ার।

পরিচালনা, স্ক্রিনপ্লে এতটাই সাবলীল মনে হবে ওয়ারিয়র কোন বায়োগ্রাফি মুভি। ফাইটিং সিন গুলো পরিচালক আর ক্রুরা ফুটিয়ে তুলেছেন খুব বাস্তবভাবে। ছবির কাহিনী এগিয়েছে দুই ভাই ব্রেন্ডান কনলন আর টমি কনলন (যথাক্রমে ব্রিটিশ অভিনেতা জোয়েল এডগারটন আর অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা টম হার্ডি ) এর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে। আর তাদের মদ্যপ বাবা প্যাডি কনলন, যিনি ছিলেন এককালের খ্যাতিমান ফাইটিং কোচ। বাবা-ছেলেদের দীর্ঘদিনের বিচ্ছেদ, তাদের পরিবারের কাহিনী চলতে থাকে রিং এর বাইরে আর রিংয়ে।

মুভির কাহিনীকাররা সাধারণ নিয়মে আমেরিকান সমসাময়িক সামাজিক-অর্থনৈতিক চিত্র অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ইরাক যুদ্ধ, যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক মন্দা, সমাজে টিকে থাকার চেষ্টা- সবই রয়েছে ওয়ারিয়র মুভিতে। দুই সন্তানের জনক, হাইস্কুল ফিজিক্স টিচার ব্রেন্ডানের হার না মানা চরিত্র আর ওয়ার হিরো টমির বিস্মৃত-একরোখা জীবনকে সমান্তরালে চিত্রায়িত করেছেন পরিচালক। জীবনের প্রয়োজনে দুই ভাই আলাদা আলাদাভাবে ফাইটিং এ জড়িয়ে পড়ে, একজন প্রফেসনাল কোচ হিসেবে পায় তার বাবাকে অন্যজন পুরনো বন্ধুকে। একজনের আছে পাওয়ার পাঞ্চ, অন্যজনের শক্তি তার ট্যাকনিকেল ফিটনেস।

সর্বোচ্চ পর্যায়ে একে একে দুই ভাই নিজেদের গেমে সফল হয়। সিনেমায় যেরকম হয়, একসময় দুই ভাই রিংয়ে একে অপরের মুখোমুখি হয় যেখানে হার না মানা মানে মৃত্যু অথবা হার না মানা মানে বিজয়। রকি যেখানে দর্শকদের রিয়েলিস্টিক ফাইট দেখাতে ব্যর্থ সেখানে ওয়ারিয়র সফল। মিলিয়ন ডলার বেবি ট্র্যাজিক মুভি, ওয়ারিয়র শেষ পর্যন্ত হ্যাপি ফ্যামিলি মুভি। দ্যা ফাইটার দেখে যদি আপনার মনে দীর্ঘদিনের জন্য দাগ কাটে তবে সে দাগের ছায়া আরো গাড় করবে ওয়ারিয়র।

ওয়ারিয়র সম্বন্ধে বলতে হয়, আমার দেখা ২০১১ সালের সেরা মুভি। রেটিং ৮.৫/১০ PG-১৩ : এটা মেইনলি ভায়োলেশন আর ল্যাংগুয়েজ এর জন্য।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।