জোর হোক শুধু গলার আওয়াজ, গায়ের জোরটা তোলাই থাকুক অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসার বদলে, মীমাংসিত বিষয়গুলো ক্রমশ অমীমাংসিত হয়ে যাচ্ছে।
আগে যে কথা বললে চিন্তা করতে হতোনা, এখন তার জন্য ক্ষমা চাইতে হচ্ছে।
সেই নাস্তিক - হুমায়ুন আজাদের সব কথা সত্য হচ্ছে দিনে দিনে।
রাজাকারের ফাঁসির দাবী যখন তুঙ্গে, তখন রাজাকারনামা লেখার জন্য আনিসুল হককে ক্ষমা চাইতে হচ্ছে।
আমি বলছি - আপনি কেন ক্ষমা চাইলেন?
আমি বলছি না যে - আমাকে ক্ষমা করবেন, কারণ আমি আপনাকে সত্য বলার নিরাপত্তা দিতে পারছি না।
আমরা জানি ক্ষমা না চাইলে হয়ত তার কপালে থাকবে অকালমৃত্যু।
সেভাবে মরার চেয়ে আনিসুল হকের বেঁচে থাকা জরুরী।
আমরা আনিসুল হকের ক্ষমা দিয়ে সমস্যা ম্যানেজ করছি।
অথচ একটি সন্ত্রাসীদের মুখপাত্র পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
এরকম গণমাধ্যমগুলো সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে যা খুশি করছে, আমরা ছি ছি ছাড়া কিছুই করতে পারছি না।
সরকার তো জনগণের রায়ের প্রতিনিধি। তারা আমাদের মানসিকতার প্রতিফলন।
কলিম শরাফি মরলে যখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই -
তখন তাকে নাস্তিক বলে গালি দেয়ার অনেক লোক মিলে যায়।
তার অবদান নিয়ে কথা বলিনা একজনও।
কখনও জানি - কখনও জানি না, ভয়ে ভয়ে কোন প্রিয়জন চলে যাচ্ছে মৌলবাদের ছায়ার নিচে।
বাংলাদেশের রাজনীতি, প্রতিষ্ঠান, সমাজ ক্রমশ ঢেকে দিচ্ছে একটি কুৎসিত ভয়ের চাদর।
এসব দেখে ঘুমাতে যাই - সকালে উঠি, প্রার্থনা করি, গান গাই, কবিতা পড়ি, ব্যবসা করি, মানবতার কথা বলি, প্রগতির কথা বলি, আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
এভাবেই আমরা দলনিরপেক্ষ থকবো, ধর্মনিরপেক্ষ থাকবো, বাক স্বাধীতনা করয়েম করবো।
সমাজ এগিয়ে যাবে। এনশাল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।