আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০১২ ,, পৃথিবী এখানেই কি সব শেষ....???

একা মানুষ , একা থাকতে পছন্দ করি। ২০১২.... এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানতাম নাহ , কিছু দিন ধরে এ বিষয়ে অনেক কথা শুনে আমি মাঠে নামি... আরে আজীব, পৃথিবী শেষ হইয়া যাইবো আর আমি যানুম নাহ এর পর শুনতে পারলাম সেই কঠিন নাম, যার ভয়ে সবাই বদ্ধ 'মায়ান' এই মায়ান রাই ১০ মিলিয়ন বছর আগে তাদের পঞ্জিকায় বলে দিয়েছিল যে কবে কিয়ামত হবে (নাউযুবিল্লাহ) সবচেয়ে বড় ভয়ংকর ব্যাপার হল, মায়ান পঞ্জিকাতে আজ পর্যন্ত যত ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে তার প্রত্যেকটিই কালের আবর্তনে সত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তাহলে কি আসলেই কিছু হতে যাচ্ছে সাল টা ঠিক মনে নাই , আমি খুব ছোট, সকাল বেলা দাদা পেপার পড়ছিল হঠাৎ আমার চোখ একটা সংবাদ এর দিকে গেলো যেখানে লেখা ছিল 'আজ পৃথিবীর শেষ দিন' খবরটা পড়ে মনে ভয় ঠুকে গেল, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাদাকে বল্লাম (আমি দাদার সাথে ঘুমাতাম) দাদা আমাকে শক্ত করে ধর কালকে পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে আমি তোমার থেকে চলে যাব, দাদা আমার কথা শুনে আমাকে জড়িয়ে ধরে বল্ল আমরা যেখানে যাব এক সাথে যাব এই কথা শুনে তার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি... এখন আবার সেই কাহিনী এবার আসল কথা, মায়ানদের পঞ্জিকা অনুসারে ২০১২ এর ২১ শে ডিসেম্বর পৃথিবী শেষ,,,মায়ানরা তিনটি ভিন্ন সিস্টেমের পঞ্জিকা ব্যবহার করত। এই তিনটি সিস্টেম তযোকিন ( পবিত্র পঞ্জিকা), হা’ব ( বিভিন্ন কাজকর্মের নিয়ম সংক্রান্ত পঞ্জিকা ), গণনার পন্থা। তযোকি’ন ২৬০ দিনের চক্র এবং হা’ব ৩৬০ দিনের চক্র।

তযোকি’ন এবং হা’ব একত্রে ১৮.৯৮০ দিনের একটি চক্র পূরণ করে। এই চক্রটি ‘রাউন্ড ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত। ৫২ সৌর বর্ষের তুলনায় ১৮,৯৮০ দিন খুবই কম। ‘রাউন্ড ক্যালেন্ডার’ দেখতে অনেকটা চাকার মত। এর ভিতরে দুটি বড় ছোট বৃত্ত থাকে।

ছোট বৃত্তটি ২৬০ দিন চক্রের তযোকি’ন বা পবিত্র রাউন্ড এবং বড়টি ৩৬৫ দিনের চক্রের হা’ব রাউন্ড। এভাবে গণনা করা চক্রে ৫২ বছরের মধ্যে একটি দিনও রিপিট হয় না। এ কারণে কয়েকশ বছরের মধ্যে মায়ারা তযোকি’ন বা হা’ব ডেট অনুযায়ী কোন একটি বিশেষ দিনকে ব্যবহার করতে পারত না। মায়ানরা এ সমস্যার সমাধান করেছিল ভিইেসমাল সিস্টেম অনুযায়ী। ভিজেসিমাল সিস্টেম হল এক ধরণের গণনা পদ্ধতি যাতে ২০ ভিত্তি করে গণনা করা হয়।

মঅয়ারা কোন বস্তু গণনা করার ক্ষেত্রে ও এই পদ্ধতি ব্যবহার করত। তবে এ পদ্ধতির সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হত সময় গণনার ক্ষেত্রে। আমরা যেমন একেকটা বিশেষ সময়কে একেক নামে সূচীত করি মায়ানরাও তাই করত। যেমন তারা এক দিনকে বলত কিন, ২০ কিন তৈরি করত এক উইনাল, ১৮ উইনালে এক তুন, ২০ তুনে এক কাতুন, ২০ কাতুনে এক বাকতুন। অর্থাৎ- ১ কিন = ১ দিন ১ উইনাল = ২০ কিন = ২০ দিন ১ তুন = ১৮ উইনাল = ৩৬০ দিন ১ কাতুন = ২০ তুন = ৭,২০০ দিন ১ বাকতুন = ২০ কাতুন = ১৪৪,০০০ দিন তাদের তারিখ লেখার পদ্ধতিটা ছিল নিম্নরূপ- বাকতুন . কাতুন . তুন . উইনাল . কিন উদাহরণস্বরূপঃ ৯.১৫.৯.০.১ বলতে ৯ বাকতুন, ১৫ কাতুন, ৯ তুন, কোন উইনাল নেই, ১ কিন বোঝায়।

অর্থাৎ ৯ X ১৪৪,০০০ + ১৫ X ৭,২০০ + ৯ X ৩৬০ + ০ X ২০ + ১ X ১ = ১,৪০৭,২০১ দিন। আর মায়ানদের ০.০.০.০.০ বলতে খ্রিস্টের জন্মের পূর্বের ৩১১৩ সালকে বোঝায়। আর ১৩.০.০.০.০ বলতে ২০১২ সালকে বোঝায়। হুম ...বহুত ঝামেলা এইখানে এবার একটু অন্য বিষয়ে যাই, আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পালন করেন, কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন নাহ খ্রিস্টানরা যে দিনটি যিশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করছেন সেটি আসলে তার জন্মদিন না এমনকি তিনি ডিসেম্বর অথবা ৬ জানুয়ারী জন্মনেন নি, আসলে এটা রোমানদের ভুল পঞ্জিকার জন্য হয়েছে, নিচে এর উদাহরন দেয়া হলো... প্রমান ১ প্রমান ২ যদি যিশুর জন্ম তারিখ আমাদের অজানা থাকে তাহলে আমরা কিভাবে বলব আমরা এখন যে সালে বসবাস করছি তা ২০১১ সাল এবং আগামী বছর ২০১২, যেহেতু যিশুর জন্ম তারিখ আমাদের অজানা তাই আমি নিসন্দেহে বলতে পারি আসল ২০১২ সাল পার হয়ে চলে গেছে অথবা এখনও তা আসতে অনেক দেরি... আর মায়ান পঞ্জিকা অনুসারে ১৩.০.০.০.০ সাল অথ্যাৎ ২০১২ সালকে বোঝায় যেখানে এসে সব থেমে যায় আর আজব ব্যপার এখানেই যে সত্যিকারের ২০১২ সাল কবে আসবে নাকি তা এসে চলে গেছে আমরা কেউ যানি নাহ যানবো ও নাহ,,, এখন আরেকটা বিষয় ,অনেকে বলতে পারে (ডান বাম বুঝি নাহ তালগাছ লইয়া আমি মরুম ) মায়ান পঞ্জিকাতে তো বলে নাই যিশুর মৃত্যুর ২০১২ বছর পরে সব শেষ হবে, ঔ খানে কইছে ২০১২ সালে শেষ, যারা এভাবে চিন্তা করতাছেন তাগও এতো তারাতারি মরন নাই (জীবণ মরণ আল্লাহর হাতে) আমরা খেয়াল করলে দেখমু এখন ইংরেজী সাল ২০১১ কিন্তু ঠিক একই সময়ে আরবী সাল ১৪৩৩ চলছে,,বাংলা সাল ও ভিন্ন অপর দিকে চীন তাদের ২০১২ সালকে ড্রাগণ এবং তার পরের সালগুলো বিভিন্ন প্রাণী দিয়ে সাজিয়েছে.... এখানে আমরা দেখতে পারি ইংরেজী ২০১২ তো আইসা গেছে কিন্তু অন্য সালগুলা তো এখনো বহুত দুরে--আর সব সাল গুলা একসাথে কখনই ২০১২ হবে নাহ...তাইলে কি আমরা বাইচাঁ গেলাম যারা আমার লেখা পড়ছেন তারা নিশ্চই নিচের ছবিডা ভালা পাইবেন.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.