আমারে দিবো না ভুলিতে
ভ্রমনের স্থান : সুন্দরবনের হারবারিয়া করমজল, কচিখালি, কটকা, টাইগার পয়েন্ট, জামতলা সমুদ্র সৈকত, দুবলার চর ও হিরন পয়েন্ট ।
ভ্রমনের সময় : ৩ দিন ২ রাত।
ভ্রমনের বাহন : ত্রিপলডেকার লঞ্চ। যাতে রয়েছে ৩২টি ক্যাবিন (৭০ সিট ), ৬টি টয়লেট/বাথরুম, আধুনিক সাঁজে সজ্জিত ও মনোরম পরিবেশপূর্ণ ৩য় তলা ডেক , ৩৬ টি চিয়ারকোচ সম্বলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিনি কনফারেন্স রুম
ভ্রমন বিস্তারিত :
১ম দিন : সকালে খুলনা হতে লঞ্চ ছাড়া হবে হারবারিয়া / করমজল এর উদ্দেশ্যে। হারবারিয়া/করমজল ভ্রমন শেষে কটকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া হবে।
প্রথম দিনে রাত্রীযাপন কটকাতে।
২য় দিন : সকাল ০৬:০০ টায় পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু হবে সুন্দরবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জামতলা সমুদ্র সৈকত ও টাইগার পয়েন্টের উদ্দেশ্যে। সেখানে সমুদ্রøান ও খেলাধুলা সেরে জাহাজে ফিরে নাস্তা সেরে নেওয়া হবে। নাস্তা সেরে আবারও পায়ে হেঁটে হরিণের অভয়ারণ্য থেকে ঘুরে আসা হবে। সেখান থেকে ফিরে লঞ্চযোগে দুবলার চরে শুটকিপল্লীতে ঘুরতে যাওয়া হবে ।
শুটকিপল্লী ঘুরে আবারও লঞ্চে করে সমুদ্র দিয়ে যাওয়া হবে গেটওয়ে বাংলাদেশ হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় দিনে রাত্রীযাপন হিরণ পয়েন্টে।
৩য় দিন : খুব ভোরে হিরণ পয়েন্টে ঘুরে দেখা হবে। এরপর যাত্রা শুরু হবে খুলনার উদ্দেশ্যে । পথে সময় পেলে সুন্দরবনের আরও একটি দর্শনীয় ন্থান ঘুরে দেখা হবে।
রাত ০৭:৩০ টার মধ্যে খুলনায় পৌঁছানো হবে।
নিরাপত্তা : সরকারী রাজস্ব প্রদান করে বন বিভাগ ও বি আই ডব্লিউ টিএ'র অনুমোদন নিয়ে ভ্রমণ পরিচালনা করা হবে। প্রতি লঞ্চে থাকবে ২ জন বন্ধুকধারী নিরাপত্তারী, অভিজ্ঞ গাইড ও ক্যাপ্টেন দ্বারা ট্যুর পরিচালনা করা হবে।
সুবিধাদি : ২৪ ঘন্টা বিদুৎ ব্যবস্থা, টিভি, ডিভিডি ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা। ছোট খালে ভ্রমনের জন্য অতিরিক্তি নৌকা সাথে নেয়া হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। সম্পূর্ণ ভ্রমনটি ভিডিও করা হবে।
বিনোদন: প্রতিদিন রাতে র্যাফেল ড্র, মিঃ ও মিসেস প্রতিযোগিতা, ইনডোর গেম, হাউজি খেলা, সী বীচে দৌড়, ফুটবল ও অন্যান্য খেলা। বড়শী ও জাল দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা থাকবে।
খাবার তালিকা
১ম দিন:
সকালের নাস্তা ০৭:৩০ টায় ঃ পরাটা, ডাল ভাজি, ডিম মামলেট , সুন্দবনের মধু, চা/কফি।
হালকা নাস্তা ১১:০০ টায় ঃ কেক ও কলা, চা/কফি।
দুপুরের খাবার ০১:৩০ টায় ঃ বেগুনভর্তা, মিক্সড সবজি, পার্সে/কোরাল মাছ, চিকেন কারী, ডাল।
বিকালের নাস্তা ০৫:৩০ টায় ঃ ডাল পুরি, সস, বিস্কুট ও চা/কফি।
রাতের খাবার ০৯:৩০ টায় ঃ মিক্সড সবজি, খাসির মাংস রেজালা, ডাল, মিষ্টি/দধি।
২য় দিন:
হালকা নাস্তা ০৬:৩০ টায় ঃ বিস্কুট, চিপস, ও চা।
সকালের নাস্তা ০৯:৩০ টায় ঃ খিচুড়ি, বেগুন ভাজি, ডিম ভাজি , আচার, চা/কফি ।
হালকা নাস্তা ১১:৩০ টায় ঃ কুল / আপেল, বিস্কুট, চা/কফি।
দুপুরের খাবার ০১:৩০ টায় ঃ কলা ভর্তা , সবজি, রুই মাছ ও ডাল।
বিকালের নাস্তা ০৫:৩০ টায় ঃ শীতরে পিঠা।
রাতের খাবার ০৯:৩০ টায় ঃ বিরিয়ানী, ফিস ফ্রাই, চিকেন ভেজিটেবল, কোমল পানীয়।
৩য় দিন:
হালকা নাস্তা ০৬:৩০ টায় ঃ বিস্কুট , চিপস ে চা।
সকালের নাস্তা ০৯:৩০ টায় ঃ পরাটা , লটপটি, ডিমভাজি, সুন্দরবনের মধু, চা/কফি।
হালকা নাস্তা ১১:৩০ টায় ঃ মুড়ি , মুড়কি, চানাচুর ও চা/কফি।
দুপুরের খাবার ০১:৩০ টায় ঃ শুটকি ভর্তা, মিক্সড সব্জি, চিংড়ি/ইলিশ মাছ, চিকেন কারি ও ডাল।
বিকালের নাস্তা ০৫:৩০ টায় ঃ ছোলা ও বেগুনী চপ।
রাতের খাবার ০৯:৩০ টায় ঃ সবজি, মুরগির মাংস ও ডাল ।
এছাড়াও ২৪ ঘন্টা চা/কফির ব্যবস্থা থাকবে।
সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সময় প্রত্যেককে হালকা নাস্তা ও মিনারেল ওয়াটার দেয়া হবে।
সার্বনিক ফিল্টার পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে।
ভ্রমনকারীর চাহিদা অনুযায়ী খাবারের সংযোজন / বিয়োজন করা যাবে।
মোবাইলঃ +৮৮ ০১৭২২ ৯৩৬০৬৬ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।