জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
পাঁচমিশালী স্বাস্থ্য কথাঃ
আদার রসের উপকারিতাঃ
১. আদার রস খেলে আহারে রুচি আসে এবং ক্ষুধা বাড়ে।
২. আদার রসে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি সারে।
৩. আদা মল পরিষ্কার করে।
৪. আদার রসে পেটব্যথা কমে।
৫. আদা পাকস'লী ও লিভারের শক্তি বাড়ায়।
৬. আদা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৭. আদার রস শরীর শীতল করে।
৮. আদা রক্তশূন্যতা দূর করে।
শীতকালে বেশি বেশি পানি পান করুনঃ
১. শীতকালে অনেকেই পানি পান কমিয়ে দেয়।
তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তাই বেশি পানি পান করুন।
২. মেটাবলিজম বাড়াতে বেশি পানি পান করুন।
৩. পানির অভাবে ডিপ্রেশন বা ক্রনিক ফেটিগ সিনড্রম দেখা দিতে পারে। তাই বেশি পানি পান করুন।
৪. মাইগ্রেনের আক্রমণ কমাতে বেশি পানি পান করুন।
৫. হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে পানি পান করুন।
৬. শীতকালে অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে। তাই অ্যাজমার আক্রমণের সময় পানি পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
মহিলাদের রজঃনিবৃত্তির পূর্ব লক্ষণঃ
১. মাসিক রক্তক্ষরণ অনিয়মিত হয়ে যায়।
রক্তক্ষরণ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা মাঝে মাঝে একটু একটু হতে পারে। আবার রক্তক্ষরণ প্রথমে বন্ধ হয়ে কয়েক মাস পর আবার চালু হতে পারে। বেশির ভাগ মহিলার ক্ষেত্রে রজঃনিবৃত্তি ঘটে ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে।
২. হটফ্লাশ (Hotflash) বা গরমের ঝলক লাগা।
৩. ঘুমের অসুবিধা।
অনেক সময় সারা রাত ঘুম আসে না।
৪. মুড পরিবর্তন, সব সময় মেজাজ খারাপ থাকা, কোনো কিছু ভালো না লাগা এবং সমান্য কোনো কারণেই ডিপ্রেসড হয়ে পড়া।
৫. যৌন অভ্যাস পরিবর্তন- বেশির ভাগ মাহিলার ক্ষেত্রে যৌন চাহিদার পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
৬. যোনিপথ কম ভেজা ও ছোট হয়ে যেতে পারে।
৭. হাড় ক্ষয়ে যাওয়া- ইস্ট্রোজেন হরমোন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে হাড় সহজেই ক্ষয়ে যায়।
৮. কোলেস্টেরল লেভেলের পরিবর্তন- শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে যাওয়ার ফলে রক্তে LDL বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং HDL বা ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়। ফলে মহিলাদের হার্টের অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৯. বুক ধড়ফড় করা।
- এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করুন।
ডায়াবেটিস চিনবেন কিভাবেঃ
১. গলা শুকিয়ে যাওয়া, বারবার পানি পিপাসা, পানি খেলেও পিপাসা না মেটা।
২. বারবার ক্ষুধা লাগা। কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া।
৩. চোখে দেখতে অসুবিধা।
৪. শরীরের কোথাও কেটে গেলে কিংবা আঘাত পেলে তা তাড়াতাড়ি সারে না।
৫. মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দেখা যায়।
৬. বারবার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা।
৭. ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলেও ডায়াবেটিস হতে পারে।
৮. ৩৫ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত ডায়াবেটিসের চেকআপ করা জরুরি।
৯. ডায়াবেটিস আছে কি না তা জানার জন্য ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট জরুরি।
এ ছাড়া ব্লাড সুগার পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা দ্বারাও জানা যাবে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কি না।
শীতের সবজি মুলাঃ
১. শীতকালে কাঁচা মুলা খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে, খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের পুষ্টি হয়।
২. মুলাশাক বেশি খেলে প্রস্র্রাব ও মল ঠিকমতো পরিষ্কার হয়।
৩. কচি মুলার সালাদ খেলে ক্ষুধা বেড়ে যায়।
৪. অর্শ রোগে মুলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. কচি নরম মুলা শরীরের সব রকম দোষ দূর করে।
ডিপ্রেশন বুঝবেন বিভাবেঃ
১. শরীর-মন জুড়ে শুধুই ক্লান্তি। কোনো কাজে উৎসাহ না থাকা, ক্ষুধামন্দা ভাব অথবা অতি ক্ষুধা।
২. মন খারাপ। কোনো কিছু ভালো না লাগা।
৩. সব সময় ডিপ্রেসড মুড। প্রায়ই কান্না পায়। সব কিছু থেকেই আনন্দ হারিয়ে যাওয়া।
৪. অল্পতেই রেগে যাওয়া বা বিরক্ত হওয়া। খিটখিটে মেজাজ।
আত্মবিশ্বাসের অভাব। অপরাধবোধে ভোগা।
৫. ঘন ঘন মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা।
৬. মনোযোগের অভাব। মাথা ধরা।
হাতপায়ে জ্বালা-যন্ত্রণা হতে পারে। সব সময় ঘুম ঘুম ভাব, কিন' কিছুতেই ঘুম আসে না।
টক দই কেন খাবেনঃ
১. দই পাকস'লীতে খাবারের পচন প্রতিরোধ করে।
২. দই পেটে গিয়ে ভিটামিন বি তৈরি করে।
৩. দই পেটের ঘা সারাতে সাহায্য করে।
৪. দই কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে।
৫। দই অকাল বার্ধক্য ও চুলপাকা বন্ধ করে।
মনে রাখবেন, টক দই পেটকে শক্তিশালী করে। মিষ্টি দই গ্যাস তৈরি করে।
ক্যান্সারমুক্ত জীবনের জন্য ১০টি অভ্যাসঃ
১. অধিক হারে টাটকা শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
২. অধিক আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
৩. ভিটামিন এ জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করুন।
৪. ভিটামিন সি জাতীয় খাবার অধিক গ্রহণ করুন।
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
৬. উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
৭. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
৮. পান, জর্দা, তামাক সেবন বন্ধ করুন।
৯. মদপানে বিরত থাকুন।
১০. আচার, কাসন্দ, শুঁটকি এবং লবণ দেয়া মাছ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
গলব্লাডারে পাথরঃ
লিভারের ঠিক নিচে পেটের ওপরের দিকে গলব্লাডার থাকে। গলব্লাডার আকারে ছোট থলির মতো। লিভার থেকে নিঃসৃত পিত্তরস গলব্লাডারে এসে জমা হয়। পিত্তরস, চর্বি এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার হজমে সাহায্য করে। পিত্তরসের উপাদানগত ভারসাম্যের তারতম্য হলেই গলব্লাডারে পাথর তৈরি হয়।
পুরুষদের থেকে মেয়েদের মধ্যে গলব্লাডারের পাথরের প্রবণতা অনেক বেশি। বিভিন্ন ধরনের গলব্লাডারের মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরল গলস্টোন, ব্লাকপিগমেন্ট গলস্টোন এবং ব্রাউন পিগমেন্ট গলস্টোন। সাধারণভাবে গলব্লাডার পাথরের প্রধান লক্ষণ ডান দিকের ওপরের পেটে ব্যথা। ব্যথা অ্যাকিউট এবং ক্রনিক হতে পারে। অ্যাকিউট ব্যথা- আচমকা ভয়ানক যন্ত্রণা এবং ক্রনিক ব্যথা অর্থাৎ অল্প করে ব্যথা হতেই থাকে।
ব্যথা শুরুর আগে বেশ কিছু লক্ষণ থাকে। যেমন- খাবারে রুচি না থাকা, গলা-বুক জ্বালা, গ্যাস, বদহজম, পেট খারাপ, বমি বমি ভাব বা বমি। এ ধরনের পূর্ব লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার ব্যবস'া দেবেন। অন্যান্য চিকিৎসার মধ্যে হোমিওপ্যাথিতেও গলব্লাডার পাথরের জন্য ভালো চিকিৎসা রয়েছে।
চিকিৎসা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন : আইএইচএমআর, মোবা : ০১৭১২৮১৭১৪৪।
চুলপড়ার নানা কারণঃ
১. অতিরিক্ত ধূমপান,
২. অধিক সময় সূর্যের আলোতে থাকা,
৩. সুষম খাবারের অভাব,
৪. ভিটামিন ই-এর অভাব,
৫. জিংকের অভাব,
৬. হরমোনের অসামঞ্জস্যতা,
৭. বংশগত কারণ,
৮. খুশকি,
৯. মাথায় তেল না দেয়া,
১০. দুশ্চিন্তা,
১১. রাতজাগা এবং
১২. মেয়েদের সাদা স্রাব এবং মাসিকের গণ্ডগোল।
- চুলপড়া প্রতিরোধে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল এবং দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন।
-আইএইচএমআর ফিচার
সুত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত (১৮.১২.২০১১) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।