বিজ্ঞান হলো প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চলমান প্রক্রিয়া, নিরেট সত্য নয়। আল্লাহপাক হলেন উপমাহীন নিরাকার। তিনি আদম (আঃ) এর আত্মাকে – যা আদমের নির্যাস- উপমাহীন নিরাকার হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। যেমনিভাবে আল্লাহপাক আয়তনের বাঁধনমুক্ত, অনূরুপ আত্মাও আয়তন শূণ্য। আত্মার দেহ- এর সঙ্গে সেই সম্পর্ক যেই সম্পর্ক আল্লাহ তায়ালার বিশ্বজগতের সঙ্গে।
তিনি জগতের ভেতরে নন, বাইরেও নন, সংযুক্ত নন, বিচ্ছিন্নও নন। অবিনশ্বরত্ব, অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যতীত অন্য কোন সম্পর্ক বোধগম্য নয়। দেহ-এর প্রতিটি অণুর ব্যবস্থাপক হলো আত্মা। যেমনিভাবে আল্লাহতায়ালা সমগ্র বিশ্বের ব্যবস্থাপক ও নিয়ন্ত্রক। দেহ-এর জন্য আল্লাহতায়ালার অবিনশ্বরত্ব ও ব্যবস্থাপনা আত্মার অবিনশ্বরত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত।
যখন আত্মাকে আয়তনবিহীন নিরাকার অবস্থায় সৃষ্টি করা হয়েছে তাহলে প্রকৃত আয়তনবিহীন নিরাকার আল্লাহতায়ালার নিঃসন্দেহে তার মধ্যে অবকাশ রয়েছে। “আমার নভোমন্ডল, আমার ভূ-মন্ডল কোনটাই আমাকে সংকুলানে অক্ষম। তবে হ্যাঁ আমার মুমিন বান্দার অন্তর উহার অবকাশ রাখে”। কারণ, আকাশ ও পৃথিবী এত প্রশস্ততা ও বিশালতা সত্ত্বেও যেহেতু আয়তন বা স্থানের বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ এবং আকার ও আয়তনের কলঙ্কে কলঙ্কিত; সেকারনে আয়তনবিহীন সত্ত্বা যিনি পরিসংখ্যান ও পরিমাপ হতে পূত-পবিত্র- তার অবকাশ/সংকুলান তাতে হয় না। আয়তনবিহীন বস্তু আয়তনের মধ্যে সংকুলান হবার অবকাশ নেই এবং নিরাকার আকারের মধ্যে আশ্রয় নিতে পারে না।
তাহলে নিশ্চিতরূপে মুমিন বান্দার অন্তরের মধ্যে (যা আয়তনবিহীন, পরিসংখ্যান ও পরিমাপ হতে নিষ্কলুষ) স্থান সংকুলান হতে পারে। মুমিন বান্দার অন্তরকে বিশেষায়িত ও নির্ধারিত করার কারণ হলো, পরিপূর্ণ অ-মুমিনের অন্তর আয়তনহীনতার মর্যাদা ও উচ্চতা হতে নিচে চলে এসেছে এবং পরিমাপ ও আকারের বন্দি হয়ে গেছে এবং তার বিধান পরিগ্রহ করেছে। সুতরাং ঐ আকার ও বাঁধনের ভিত্তিতে যেহেতু আয়তনের বৃত্তের মধ্যে প্রবেশ করেছে, ফলে আকার ও উদাহরণের অবস্থা সৃষ্টি করেছে। সেকারণেই ঐ যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। সকল বান্দা মুমিন নয়, হলে শুধুই বান্দা বলা হতো মুমিন বলে সম্বোধন করার দরকার হতো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।