আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আল্লাহপাক দিয়েছেন ইসলাম, শয়তান বানিয়েছে জামায়াতে ইসলাম

পৃথিবীতে এখনো ভাল মানুষের সংখ্যাই বেশি জামাতশিবিরের কয়েকদিনের তান্ডব আর ধর্মের কুৎসিত অপব্যবহার দেখে এই বিষয়টা ঘুরেফিরে মাথায় আসছে। জামায়াতের নেতারা যে জঘন্য অপকর্ম করেছে তা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ধর্মের ঢাল এটা তারা ভাল করেই জানে। দলের নামের সাথে ইসলাম শব্দটি লাগিয়ে সহানুভূতি আদায় করছে। সুদের আদলে মুদারাবা, মুনাফা ইত্যাদি নাম দিয়ে ইসলামি ব্যাংক খুলে প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদেশের মানুষ সহজ সরল, ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস থাকলেও ধর্মজ্ঞান অপ্রতুল।

ঠিক এই সুযোগটাই নিচ্ছে এখন জামাত। পাঞ্জাবি, মাথায় টুপি, মেহেদি দেয়া দাড়ি, কথায় কথায় আল্লাহ রাসূল সঃ এর নাম - এসব দেখে সাধারণ মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হয়। ধর্মের নাম নিয়ে মিথ্যা কথা বললে মানুষ চোখ বুঝে বিশ্বাস করে নেয়। কারণ একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্বাসই করতে পারে না ধর্মের নাম নিয়ে কেউ মিথ্যা অপপ্রচার করতে পারে। কিন্তু জামাতশিবির ঠিক তাই করে।

ওদের ফেসবুক পেজ থেকে ব্লগ, ওয়েব সাইটে প্রতিদিন অসংখ্য মিথ্যা গুজব রচনা করা হয়। সেসবের সত্য উৎঘাটন করে ওদের ন্যাংটা করা হয় রোজ, কিন্তু তাতে ওদের লজ্জ্বা লাগে না। আবার পরদিন একই কাজ করে। এখন তারা ধর্ম গেল ধর্ম গেল রব তুলে মসজিদ-পতাকার অবমাননা করছে, মানুষ মারছে, গাড়ি ভাংছে, মাদ্রাসার অবুঝ ছেলেদের ব্রেইন ওয়াশ করে লেলিয়ে দিচ্ছে রাস্তায়। জামাতশিবিরের মতে এসব করলে ধর্ম যায় না, ধর্ম যায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে গেলে! কারণ কী বুঝতেই পারছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি ন্যায়দাবী, একটি ন্যায়বিচার। কোন শত্রুনাস্তিক এই বিচারের পক্ষে, কোন হিন্দু-বৌদ্ধ এই বিচারের পক্ষে, কোন শত্রুদেশ এই বিচারের পক্ষে- সেসব দেখিয়ে এই ন্যায়দাবী থেকে সরানোর চেষ্টা করছে জামাতশিবির। মসজিদে মসজিদে লিফলেট বিলি করছে, ফেসবুক ব্লগে একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার কোন শত্রু যদি কোন ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকে তাহলে কি আমি সেই ন্যায়বিচারের বিপক্ষে চলে যাব? জামাতশিবির কি জানে না এই ন্যায়বিচার থেকে সরে আসলেই বরং ধর্মের অবমাননা হবে! হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে ন্যায়বিচার নিয়ে কোরান শরিফের নিচের আয়াতটি স্বযত্নে লাগিয়ে রাখা হয়েছে। সূরা আন-নিসা - ১৩৫ হে ঈমানদারগণ ! ইনসাফের পতাকাবাহী ও আল্লাহর সাক্ষী হয়ে যাও, তোমাদের ইনসাফ ও সাক্ষ তোমাদের নিজেদের ব্যক্তিসত্তার অথবা তোমাদের বাপ-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে গেলেও৷ উভয় পক্ষ ধনী বা অভাবী যাই হোক না কেন আল্লাহ তাদের চাইতে অনেক বেশী কল্যাণকামী ৷ কাজেই নিজেদের কামনার বশবর্তী হয়ে ইনসাফ থেকে বিরত থেকো না৷ আর যদি তোমরা পেঁচালো কথা বলো অথবা সত্যতাকে পাশ কাটিয়ে চলো, তাহলে জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তার খবর রাখেন৷ ন্যায়বিচার নিয়ে আরেকটি আয়াতঃ সূরা আল মায়েদাহ - ৮ হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না।

সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত। অতএব জামাতশিবির যা করছে, তা কোন ধর্ম নয়, বরং শয়তানের অনুকূলেই আজ করছে। সুতরাং ওদের পতন অনিবার্য।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.