আজ ‘ফিউশন ফাইভ’ এর একটি সটীকী পোস্ট হয়তো আপনারা সবাই পড়ে ফেলেছেন যা ছিল ব্লগের উপর সরকারের হস্তক্ষেপ এর উপর প্রতিবাদের একটি গা লোক দেখানো পোস্ট । ‘ফিউশন ফাইভ’ তুলে ধরেছেন সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ এর কারন আর নিজেদের নির্দোষ প্রমানের কিছু সাফাই যা কিন্তু ফিউশন ফাইভ একবারও নিজেদের বা সামুর মোডারেটরের ন্যাক্কার জনক বাকশালী আচরণের ভুল গুলো তুলে ধরেনি যা ধরলে ‘ফিউশন ফাইভ’ এর পোস্টের মানটা অনেক বাড়তো ও সবার কাছে একটি নিরপেক্ষ পোস্ট হিসেবে গ্রহন পেতো । যাই হোক , ফিউশন ফাইভ যা করেনি বা তুলে ধরেনি তার অপ্রিয় কিছু সত্য আমরা নিচে তুলে ধরছি ।
প্রথমেই আজকে ব্লগার ‘বাকস্বাধীনতা ’ ভাইয়ের পোষ্টটি সম্পূর্ণ তুলে ধরলাম ঃ- Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission বা BTRC এর পক্ষে আমি-
ব্লগে বিভিন্ন ঘরানার ব্লগার আছে আওয়ামী ঘরানা, বিএনপি ঘরানা, আস্তিক ঘরানা, নাস্তিক ঘরানা, হিন্দু ঘরানা, ভারতের দালাল ঘরানা, পাকিস্তানের কুকুর ঘরানা, বাম ঘরানা, ডান ঘরানা ইত্যাদি ইত্যাদি। সব ঘরানার লোক যদি ব্লগে থাকতে পারে তবে বিটিআরসি ঘরানার লোক থাকতে অসুবিধা কোথায়?
আমি বিটিআরসির পক্ষে।
কারণ, মডুদের অবিচারে নাব্যাচাব্ল -রা বড়ই অসহায় হয়ে গেছিলো। আর 'ইবি' (ইসলাম বিদ্বেষী)- দের তেল বেড়ে গেছিল। ধন্যবাদ বিটিআরাসি। ব্লগে অনেক বিদগ্ধ ব্লগার আছেন যারা ইবিদের ব্যান চেয়ে সাধের নিকটা অকালে হারিয়েছেন। আমি সেইসব অসহায় ব্লগারদের পক্ষে।
আবার আমি নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি পক্ষপাতিও নই। বিআরটিসি তা করছেও না। নিয়ন্ত্রণ করবে ব্লগ কর্তৃপক্ষ, মডারেটরগণ। এখানে কাউকে তোষণ করা হবে না- বাংলাদেশের সব ব্লগার সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই হবার কথা। কিন্তু ব্লগের ইতিহাসে তা হয়নি।
এ কারণে, শুধুমাত্র এ কারণেই বিআরটিসি এখানে হস্তক্ষেপ করেছে। এখানে যারা অশণী সংকেত দেখতে পাচ্ছেন তাদের বলব, এখনই নাকে কান্না করার কিছু নেই। দেখা যাক বিআরটিসি পরে কী করে।
আর এটাও বইলা নেই যে, বিটিআরসি যেটা করতেছে সেটা ব্লগের নীতিমালাতেই আছে। কিন্তু মডারেটররা সেটা এপ্লাই করে নাই বিধায় বিটিআরসি সেটা জোর করে করাচ্ছে।
মডুরা নীতিমালা না মানে একপক্ষ বেজায় খুশি হয়, আর বিটিআরসি সেটা করালেই যত দুষ।
ব্লগে এ যাবৎ কালে দুই ঘরানার লোককে জেনারেল বা ব্যান করার করার ভুরি ভুরি নমুনা আছে- এক নম্বর হচ্ছে জাশি আর দুই নম্বর হচ্ছে নাব্যাচাব্ল (নাস্তিকদের ব্যান চাওয়া ব্লগার)। কিন্তু বিটিআরসি ঘরানার ব্লগারকে এখন পর্যন্ত ব্যান করার একটা উদাহরণও নাই (ভয়ে আছি অচিরেই না শুরু হয়ে যায় )
কি বুঝলেন? ‘বাক স্বাধীনতা'’ ভাই কিন্তু সংক্ষেপে সামুর একপেশে নীতির প্রতিবাদে বিটিআরসি ‘র পক্ষ নিয়ে ফেলেছেন যেখানে উনি সম্পূর্ণ সঠিক ।
আমার মুল বক্তব্য যাওয়ার আগে আমাদের মশিউর মামা ( দমকল) এর একটি সাহসী পোস্ট দেখুন - Click This Link যা সামুর বাক স্বাধীনতার মোডারেটর মুছে ফেলেছে । কারন ঐ পোস্টে মশিউর মামা সামুর প্রথম সারির জনপ্রিয় বীর বাহাদুর ছাগু হান্টার খ্যাত গালিবাজ সিণ্ডিকেটদের মুখোশ উম্মোচন করেছিলেন ।
অথচ মশিউর মামা যাদের মুখোশ উম্মোচন করে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন তারা সকলেই সামুর আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে এখনও ইচ্ছেমতো যারে তারে ট্যাগিং ও গালিগালাজ করে যাচ্ছে আর আমাদের মশিউর মামার পোস্ট মুছে দিয়ে সামু একপ্রকার নীরব নির্যাতন করে গেলো মশিউর মামাকে । বেচারা মশিউর মামা !!!!!
এবার আমি আপনাদের সামু’র একপেশে নীতির নির্মম আচরণটা একটু তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমার মতো করে ।
বাংলা ব্লগের প্রথম প্রকাশিত ব্লগ ও সবচেয়ে বেশী ব্লগারদের ব্লগ নিয়ে একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় ব্লগ । এই ব্লগে প্রথম ২০১১ তে লিখা শুরু করি তখনও অনেক কিছু বুঝতাম না। চেয়ে চেয়ে দেখতাম বিভিন্ন ব্লগে যার যার দলের সমর্থনের পক্ষের পোস্টগুলো তে ভিন্ন মত ও দলের সমর্থনকারীদের গঠনমুলক সমালোচনা ছাড়াই গালিগালাজ করে একাকার যেন এক একজন রাস্তার টোকাই থেকে উঠে এসেছেন ।
আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম যে এটা ব্লগের একেকটা সিণ্ডিকেট এর নিজেদের শক্তিশালি করার ও বিরোধী মতকে চেপে ধরার একটা কৌশল । মজার ব্যাপার হচ্ছে যে ব্লগের সবচেয়ে কুৎসিত , নোংরামি গালিবাজ সরকার দলীয় সমর্থন সিণ্ডিকেট শুরুর দিক থেকে আমাকে সমর্থন দিতে শুরু করলো । আমি অবাক হয়ে যেতাম যে আমার ব্লগ পোস্টে এসে সুন্দর প্রশংসা বানী যারা দিতো তারাই আবার অন্যদের (দাসত্ব, চাপা ডাঙ্গার চান্দু, ঘুমকাতুরে, কামরুল হাসান শাহি, সকাল বেলার কাক ইত্যাদি) অনেক চমৎকার ও দুর্দান্ত সব পোস্টে গিয়ে গালিগালাজের দোকান খুলে বসতেন আর উল্লেখিত ব্লগারগনও গালিবাজদের গালি দিয়ে বিদায় করে বা ব্লক করে, অথবা মন্তব্য মুছে দিয়ে তাদের সেই পোস্টগুলোকে গালিবাজ সিণ্ডিকেট দের হাত থেকে রক্ষা করতেন । আরও অবাক হতাম যখন দেখতাম গালিবাজ সিণ্ডিকেটদের নয় ব্লগের মোডারেটর গালি খাওয়া ব্লগারদের পোস্ট ডিলেট করে দিয়ে অথবা সেই ব্লগারকে সাময়িক ব্যান করে শাশ্তিমুলক ব্যবস্থা নিতো যেন একটা হীরক রাজার দেশের হীরক রাজাদের ব্লগ এর মতো । আবার নাস্তিকদের কুরুচিপুরন পোস্ট মুছে না দিয়ে যারা নাস্তিকদের পোস্টে প্রতিবাদ করেছে ,আক্রমন করেছে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হতো ।
তখন বুঝতে আর বাকী থাকলো না যে ব্লগটা বাকশালি শাসন কায়েম করছে যেখানে বিরোধী মতের কাউকে ছাড় দেয়া হয় না ।
অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে সামুর সুবিধাভোগী সেসব সিণ্ডিকেট আজ সামুর বিরুদ্ধেই গোপনে ষড়যন্ত্র করছে যা সামু জেগে জেগে ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করছে । আমি গত কিছুদিন ধরে সামুর ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত দুজন মানুষকে এই ব্যাপারে বারবার সতর্ক থাকার জন্য আহবান করছি এবং তাদের কথাতেও স্পষ্ট যে তারাও চান এইসব নোংরামি পরিবেশ বন্ধ করে ব্লগে একটি সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসুক ।
কিন্তু তাদের দুজনকে চাইলেই হবে না, এই ব্যাপারে সামুর মালিকপক্ষ কে কোঠর হতে হবে। অথচ সামুর মালিক পক্ষ এই ব্যাপারে কোঠর হওয়া তো দুরের কথা বরং গত কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি যে সরকার বিরোধী সকল মতের ব্লগারদের গলাচিপে ধরেছে সামুর মোডারেটর ।
ভুল উচ্ছাস, বেপারিবাজ, ব্লগার কিশোর , ধীবর ,ঘুমকাতুরে, কামরুল হাসান শাহি’, রবিজল , শয়তান এর র মতো ব্লগারদের উপর চাপ প্রয়োগ বা খড়গ হাতে নেমেছে । ‘নষ্ট শয়তান’ সামুর একপেশে নীতির ভয়ে কত অসহায় তার সর্বশেষ উদাহরন দেখুন - Click This Link যেখানে ‘নষ্ট শয়তান’ এর একটি পরিশ্রমী কষ্টসাধ্য তথ্যবহুল পোস্টে সেই সিণ্ডিকেট কিভাবে গালিগালাজ ও উলটা পালটা ট্যাগ করে গেছে যার কোন প্রতিবাদ করেন নাই শুধুমাত্র ব্যান হওয়ার ভয়ে ।
সুদুর অতীতে যেমন ‘জুল ভার্ন ‘ , রাইসুল জুহালার মতো মেধাবী ভালো ব্লগারদের উপর ‘ব্লগ নির্যাতন’ সামু করেছিল ঠিক একই ভাবে আজো বারবার সামু মুল অপরাধীদের সনাক্ত না করে কতিপয় বিরোধী দল ও মতের ব্লগারদের উপর নির্যাতন ও ফ্যাসিবাদি আচরন করছে । সবচেয়ে ভয়ংকর অন্যায়টি করেছে ‘কায়সার শামিল’ ও রাতের ‘গৃহহারা’ নামক দুই ব্লগারের উপর । কায়সার শামিল কমেন্ট ব্যান নয় অথচ আজ ৯ মাস ধরে তাঁর নতুন পোস্ট দেয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছে কি কারণে যা ব্লগার শামিল নিজেও জানেনা ।
কি এমন বড় অপরাধ ছিল শামিলের যা আজো সামু জানাতে পারেনি কিন্তু তাকে নতুন পোস্ট দেয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে । ‘গৃহহারা’ নামক আইডিটির ব্লগার তাঁর আইডি দিয়ে কোন কমেন্ট , পোস্ট কিছুই করতে পারছে গত এক বছর ধরে । এমনকি তাঁর আইডিটি সামু এখনও পুরোপুরি বন্ধও করছে না। অথচ রাতের রঙিন আকাশ এই ব্যাপারে সামুর মোডারেটর সাথে কোন ভাবেই কমেন্ট করেও কোথাও জানাতে পারছে না। তাকে যদি ফাঁসিতে ঝুলানোই হলো তবে কেন এক বছরেও ফাঁসির দড়ি থেকে তাঁর লাশটি সামু নামাচ্ছে না? কি এতো মহাপাপ করেছে ‘গৃহহারা/ এরিয়া ৫১’ যাকে এক বছর ধরে ফাঁসির দড়িতে সামু ঝুলিয়ে রেখে এতো নির্মম শাস্তি দিচ্ছে? ‘গৃহহারা/ এরিয়া ৫১’ কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু চিনেছি ও দেখেছি তাতে তাকে সবসময় অসম্ভব মেধাবি মনে হয়েছে যার ব্যক্তিগত কথা ও চিন্তার ধরনে বাংলাদেশের জন্য গভীর ভালোবাসা ছাড়া অন্য কিছুই নাই।
সেই ‘গৃহহারা/ এরিয়া ৫১’র একটি পোস্টের নমুনা দেখুন - http://www.somewhereinblog.net/blog/area_51’ । যে মানুষটিকে আমি কখনও কাউকে গালি দিতে বা কারো সম্পর্কে বাজে কথা বলতে শুনিনি সেই মানুষটা কি এমন জঘন্য অপরাধ করেছে যে ২২ শে জানুয়ারি ২০১২ থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর আইডিটি ব্যবহার করতে পারছে না, পোস্টগুলো সরাতেও পারছে না। এই ‘এরিয়া ৫১’ হচ্ছে গত বছর বিএসএফ এর বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণাকারি ভারতীয় সব ওয়েবসাইট হ্যাকিং করার সাহসী যুদ্ধের একজন শীর্ষসারির যোদ্ধা । যারা নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে বাঙ্গালাদেশিদের উপর বিএসএফ এর গুলী বন্ধের দাবিতে ভারতীয় ওয়েবসাইট গুলো হ্যাক করার পরিকল্পনা করে যা সেই সময় ফেইসবুক, টেলিভিশন , পত্রপত্রিকায় ব্যাপক সারা ফেলেছিল । আপামর তরুন সমাজকে সেই যুদ্ধে যোগদানের জন্য আহবান করে দেয়া ২২ শে জানুয়ারি ২০১২ তে সামুতে দেয়া এই পোস্টটি - Click This Link ‘এরিয়া ৫১’র সামুতে দেয়া সর্বশেষ পোস্ট যেখানে সামুর অনেক জনপ্রিয় ব্লগারদের একাত্মতা ঘোষণার মন্তব্য পাবেন ।
এই পোস্টটির পর থেকে ‘এরিয়া ৫১’ আর কোন পোস্ট বা মন্তব্য কিছুই করতে পারছে না এমনকি সামু কি তাকে চিরস্থায়ী ব্যান করেছে সেটাও জানে না। চিরস্থায়ী ব্যান করলে তাঁর আইডিটি সরিয়ে মুছে ফেলুক আর না হলে তাঁর আইডিটি খুলে দিয়ে তাকে ফেরত দেয়া হোক । অথচ সামু এসব কিছুই না করে ‘এরিয়া ৫১’ কে ১ বছরেরও বেশী সময় ধরে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে নির্মম শাস্তি দিচ্ছে যে ঝুলন্ত অবস্থায় ‘এরিয়া ৫১’ এর লাশ গলে পচে বিষাক্ত দুরগন্ধ হয়ে শরীর থেকে একটু একটু করে মাটিতে খসে পড়ছে । আপনারাই বলুন যে ‘এরিয়া ৫১’ এর শেষ পোস্টটি কি এমন ভয়ানক অন্যায় করলো যে ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধে আহবান জানিয়ে? নির্লজ্জ দালালি না করাটাই কি তাঁর অপরাধ? এটা কি বাকস্বাধীনতার উপর সামুর নির্মম বাকশালি আচরণ নয়? গত পরশুদিন আমি নিজেও এই গালিবাজ ভণ্ড গুপচর ব্লগারদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিয়ে ফেইসবুকে সবাইকে জানিয়েছিলাম । আমার সেই আহবানে তো সামুর শুভাকাঙ্ক্ষীরা কেউ তো এগিয়ে আসেনি বরং গালিবাজ সিণ্ডিকেটের শীর্ষসারির একজন আমাকে ফেইসবুকে সেদিন রাতেই প্রকাশ্য ব্যক্তিগত আক্রমনের খেলায় মেতেছিল।
যিনি আক্রমণ করেছেন তাঁর কিছু কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তার প্রমাণ সেদিন রাতেই আমি সামুর খুবই ঘনিষ্ঠ একজনের হাতে আমি তুলে দিয়েছি যেখানে স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে সামুতে ছাগু হান্টার নামক গালিবাজ ঐ ব্লগার আসলে কার দালাল ও গুপ্তচর হয়ে কাজ করছে ।
আজ ব্লগের উপর সরকারের হস্তখেপ নিয়ে ‘ফিউসন ফাইভ’ গুটি কয়েক নাস্তিক বিরোধীদের বিপক্ষে কথা বলছে যা একটি লোক দেখানো অভিনয় ছাড়া আর কিছুই নয় । ‘ফিউশন ফাইভ’ কাছ থেকে কদিন আগেও এমন হাসসকর পোস্ট আমরা পেয়েছিলাম যেটিও সাময়িক সটীকি পোস্ট ছিল । আজকের পোস্টের আগে কি ‘ফিউশন ফাইভ’ উপরের বর্ণিত সামুর নির্লজ্জ বাকশালি আচরণের কথা কি জানতো না? অথচ যাদের নাম ধরে বিরোধিতা করেছে তাদেরকেই এই সামু দিনের পর দিন বাকস্বাধীনতার নামে প্রশ্রয় দিয়ে গেছে । প্রশ্রয় দিয়ে গেছে চটি লেখক অমিউর রহমান পিয়ালের গুপ্তচর যারা ছাগু হান্টার নাম করে দিনের পর দিন বিরোধী মতের ব্লগারদের ব্যক্তিগত আক্রমন করে গেছে কুৎসিত গালিগালাজ করে ।
সেই গালিগালাজ এর প্রমাণগুলোই তারা আজ সামুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে ব্যবহার করছে এবং সামুকে ছাগুদের ব্লগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধ পরিকর হয়ে মাঠে নামছে । এতো কিছুর পরেও সামু নিজেদের ছাগু বিরোধী প্রমাণ করতে একের পর এক জাতীয়তাবাদী মেধাবী ব্লগারদের কণ্ঠ রোধ করে আর দুই দিন পর পর নিজেদের পক্ষ থেকে সরকারের ব্লগের বিরুদ্ধে নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদেরই আশীর্বাদপুষ্ট কিছু ব্লগারের বিরুদ্ধে লোক দেখানো কথা বলার মানে কি? আগে নিজেরা ঠিক হোন তারপর সরকারের অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করুন । কারন আপনারাই এই সরকারের পা চাটা দালালদের দিনের পর দিন প্রশ্রয় দিয়েছেন যারা আজ আপনাদেরই বন্ধ করতে চাচ্ছে । এটাই এতদিনের অন্যায়ের নির্মম পরিণতি যেখানে সাধারণ ব্লগারদের একটুও খারাপ লাগার কথা নয় । কারন সামুর দ্বৈত আচরণ একবার নয় বারবার প্রমানিত হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ‘ব্লগে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ’ আগে বন্ধ হওয়া উচিত নাকি উপরে বর্ণিত ‘সামু’র বাকশালী আচরন’ আগে বন্ধ হওয়া উচিত কোনটা বেশী প্রয়োজন? ‘ফিউশন ফাইভ’ আপনি কি সরকারের নগ্ন হাত বন্ধের আগে সামু’র নগ্ন আচরণ বন্ধ করতে বলবেন? .........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।