সমস্ত প্রাগ কথন,,অনির্ধারিত কিছু শব্দ.. .......মইনউদ্দিনের ফিউশন.........
পলাতকা তক্ষক ডাকে সাড়া দেয় মইনউদ্দিন,
ছানা ভরা টেলিস্কোপে পেখম মেলে তুষার শুভ্র,
ল্যান্স গুলো সুদূরতম তারে প্রিয়তমা লজ্জাবতী,
রাত তিনটের ধার করা দেনা সাপ্তাহিক দিনপঞ্জি।
এখানে আর একটু আগাই, লম্বাকরে ভাবুন,
ঝাউ গাছটার ঠিক পাশটায় কাশফুল মৈথুন;
একটু আগেও বাসর পাতা ছিল জবা গাছটার ধারে,
হে শিশির বিন্দু অল্প কি ছিল আধার লগ্ন তাঁর সিঁথিতে।
চৌচির পলকে ধবল ভেড়াদের তুমুল মেঘ,
লোমকুপ গুলো কেটে দিয়েছে মইনুদ্দিন,
যন্ত্রনার মেশিনে নিরব দোলা চল,
বাইং হাউস জবা ফুল আধার লগ্ন।
হাতের কাছে হাত পেতে নেই,
হাতের মধ্যে ফেনা
হাতে হাতে হাতের মাঝে,
লক্ষ কোটির দেনা - চতুরঙ্গ।
কি হচ্ছে এ সব? আচ্ছা এবার ডানে মোর নিন;
রুদ্ধ দ্বারে ধার করে আনে মইনউদ্দিন,
ফানুস ওড়ায় ফানুস ভাসায় পেখম মেলায়,
ভারপ্রাপ্ত মঞ্চ শয্যা আচানক ব্যার্থতা।
আবার জেগে ওঠে চর, বালু ঝড়,
জুবু থুবু শরীরে, গিজার্ডে, সাত পুরুষের জল;
গরম হচ্চে দগদগে ফুটন্ত ছেলেবেলা,
ভিজে যায় পাশ বালিশ, তুলিমাখা বড় বেলা।
অতপর মইনউদ্দিনের আধার লগ্ন ফিরে আসেনা খুব সহসা........এরপর কি হল তাও জানিনা.......কিছু কিছু জিনিস হয়তো না জানাই ভালো...........
-----------ধর্মীয় আস্তিক--------------
ছন্ন ছাড়া শহরে ছিনতাই পতাকা,
হায়না শকুনের দল রক্ত লোলুপ আহত,
কি জঘন্য লুটে পুটে খায় আমার হাড়-মাংস,
এরা মানুষ না ছটাকা শুওরের গোসত।
সৃষ্টিকর্তা- হৃদস্পন্দন যদি থাকে;
'এস আমার ঘরের কোনে
আধপোড়া মাদুর দিব ,
মুড়ি খেয় আপন মনে'
আতপ চালের পাখনায় মৌ মৌ করে গন্ধ,
পাঁচমিশালি তরকারিতে তেমন ছিলনা ঝাল;
তারপরও এবং তারপরও আমি কাঁদছি,
প্রলেপ দেয়া উপাশনালয় ভেংগে তছনছ;
আমি কাকে ডাকব ওহে ধর্মীয় আস্তিক?
মন্দিরে যে ঘন্টা ঝুলছে
ঈশ্বর এস সঙ্গোপনে,
পাখনা ডোবা অন্ধ রাতে,
চিতায় দগ্ধ ইস্কাতনে।
ময়না পড়ুয়া মেয়েটি বোধহীন শব্দহীন,
পাঁচফোরনের তেজে জ্বালিয়ে দিলে শৈশব,
আমি লাশ কাটা ঘরে প্রতিক্ষায় স্বাধীনতা,
আমি নাস্তিক নই, আমি আস্তিক নই,
আমি খোলা আকাশ, আজন্ম উচ্ছাস।
ইশ্বর তুমি একটু শোন,
কোন কিছু চাইনা জেনো,
শুধু দেখ তোমার ঘরে,
তুমি পুড়ছ তোমার বনে..
এখন আমার আগুন দেখতে ভয় করে;
চিতায় আগুন,মসজিদে আগুন, বায়ান্নতে আগুন,
ছিটকে এল থক থকে বার্বিকিউ কলিজা বাবুমিয়ার,
নির্বাক জলন্ত পদ্য, অর্থহীন বিবাগী, ভিষন ক্ষুধার্থ।
----------পিঞ্জর দগ্ধ----------
ওহে আমার বাথুন ঘরের শ্রোতস্বিনী
তুমি পালিয়ে থাকলেও তোমার অযাচিত
প্রাকৃত সন্ধ্যায় নীল অংকনে জ্বালানো প্রদীপ
ঠন ঠনে দপদপে শলতে ধরা আগুন
দোমরানো মোচরানো দেহ খানাতে
চাদর বালিশের নাচানাচি
শিল্পকলার শীলালিপির পিঞ্জর দগ্ধ
তোমার সেই ছোট্ট আঁশটে তিল...
ছবিটি fusion arts foundation থেকে নেয়া, গুগোল মামার কৃপায়.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।