এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০ 'মুসলমানি' এর ইংরেজি প্রতিশব্দ 'circumcision'. এই মুসলমানির কাজটি যে করত তাকে আমরা 'হাজাম' নামে চিনি। হাজাম শুধু পুরুষদের খৎনা করত তা নয় তারা ছাগলদের খাসী করার কাজটিও করত। যাদের হাজাম দিয়ে মুসলমানি করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের কাছে প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তাদের ব্যথাতুর সেই কথা মনে করে দেবার জন্য।
হাজাম (Hajam): খৎনা করানো ইহুদীদের ধর্মীয় ও জাতীয় প্রথা। হযরত মুহাম্মদ(সঃ) কতৃক ইসলাম ধর্ম প্রচারের সময় তিনি মুসলমানদের খৎনা করার প্রতি উৎসাহিত করেন।
খৎনা করানোকে ইসলাম ধর্মে 'সুন্নাহ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমরা হয়ত অনেকেই জানি হযরত মুহামদ (সঃ) এর খৎনা ফেরেশতা কতৃক হয়। যারা এই খৎনার কাজটি করে থাকেন তাদের এই বঙ্গদেশে ''হাজাম' বলা হয়।
আমাদের এই বঙ্গদেশে হাজামদের আগমন ঘটে সোনারগাঁয়ের শাসনকর্তা ফখরুদ্দীন মুবারাক শাহ এর আমলে। তিনি চট্টগ্রাম বিজয়ের পর সেখানের গৌড়ের মুসলমান বসতি থেকে তিনি হাজামদের এই দেশে নিয়ে আসেন।
চট্টগ্রামে হাজামদের ওস্তাদ হিসেবে সম্মান করা হয়।
মুসলমান সমাজে হাজামরা আতরাফ গোত্রভুক্ত। হাজামদের এলাকা ভাগ করা থাকে এবং কালেক্টরী থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হত।
বাংলাদেশে খৎনা করার সময় বিভিন্ন জাঁকজমক অনুষ্ঠান ও উৎসব করা হত। খৎনা করার সময় হাজামগন বাঁশের চাচ, ক্ষুর, ব্লেড, মাটির হাড়ি, পুরাতন কাপড়, পোড়ান সলতে ব্যবহার করত।
খৎনা করা শেষ হলে তাদেরকে নতুন পোশাক ও সম্মানী দেয়া হত।
হাজামদের পেশা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে। বর্তমানে আধুনিক ডাক্তার এর মাধ্যমে খৎনা করার কাজটি করা হয়। ফলে হাজামরা অন্য পেশায় ঝুকে যাচ্ছে।
এছাড়াও আমাদের ফেইসবুক পেইজে গিয়েও বাংলাদেশের পেশাজীবিদের সম্পর্কে জানতে পারেন-
লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।