এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০
যীশুর জন্মের ৬২০ খৃস্টপূর্বতে জন্ম নেয়া ঈশপের গল্পে আমরা রাখাল সম্পর্কে জানতে পারি। রাখাল পেশাটা কত প্রাচীন তা আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ থেকেও জানা যায়। ইসলাম ধর্মের অনেক নবী-রাসুল রাখাল পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। সেই রাখাল পেশা সম্পর্কে চলুন একটু জেনে নেই।
রাখাল (Cowboy): বাংলাদেশে রাখাল পেশা অনেক প্রাচীন।
মধ্যযুগের শেষ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর এর অন্নদামঙ্গলের কাব্যের বিখ্যাত উক্তি ''আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'' এই উক্তি থেকে বোঝা যায় দুধ এই দেশের মানুষের প্রিয় পানীয়। সে জন্য প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতে গরুর পাল থাকত। তাছাড়া কৃষি কাজের জন্য প্রয়োজন গরু। গবাদিপশু দেখা শোনা করার জন্য যাকে নিযুক্ত করা হয় তাকে রাখাল বলে।
রাখাল বালক সাধারণত কম বয়সী কিশোর হয়ে থাকে।
তার কাজ সকালে গরুর পাল নিয়ে মাঠে চড়ানো, এদের গোসল করানো এবং বিকালবেলা গরুরপাল নিয়ে বাসায় ফেরা। রাখালরা সাধারণত মাস চুক্তি/ বছর চুক্তিতে মাহিনাতে কাজ করে থাকে। কাজের বিনিময়ে এরা থাকা-খাওয়া, কাপড়-চোপড় পেয়ে থাকে। গরু চরানো ছাড়াও তারা গৃহস্থের ছোটখাট কাজ করে দিয়ে থাকে।
একসময় গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হাটলে মিষ্টি মধুর বাঁশির সুর শোনা যেত।
কোন এক গাছের ছায়ায় রাখাল বালককে দেখা যেত বাঁশী হাতে বাঁশী বাজাতে। আমাদের চলচিত্রে রাখাল নিয়ে অনেক চলচিত্র আছে। রাখাল বালক নিয়ে আছে অনেক গল্প। রাখাল ও রাক্ষসের গল্প, রাখাল ও রাজকুমারীর গল্প আজো আমাদের মনে দোলা দেয়। বাংলা সাহিত্যে রাখাল নিয়ে আছে অনেক কবিতা।
জসীম উদদীন এর রাখাল ছেলে নামে একটি কবিতা আছে...
“রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! বারেক ফিরে চাও,
বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?”
তবে এখন রাখাল পেশা বিলুপ্তপ্রায়। ভুমিহীন কৃষকের সন্তানেরা সাধারণত এই পেশায় নিযুক্ত হয়। অবৈতনিক শিক্ষা চালু হবার পর এই পেশা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের চলচিত্র বা নাটকে রাখাল চরিত্র আর দেখা যায় না। বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম রাখাল বালক ছিলেন।
তিনি গরু চড়াতেন আর গান করতেন।
আপনাদের এখন বাংলাদেশের এমন একজন রাখাল এর সাথে পরিচয় করে দিব যিনি রাখাল বালক থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন। তিনি ডঃ আতিউর রহমান।
এই পোস্টটি তাকে উৎসর্গ করলাম।
আমাদের ফেইসবুক পেইজে গিয়েও বাংলাদেশের পেশাজীবীদের সাথে পরিচিত হতে পারেন-
লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।