আবার এসে গেলাম আপনাদের কাছে আমার কাহিনী নিয়ে। প্রথম পর্বে আমার জন্ম আর জঞ্জাল পূর্ন ঢাকায় আসার কাহিনী বলেছিলাম আজকে আরো কিছু ঘটনা বলবো। তার আগে আমার প্রথম পর্বের কাহিনীর লিংকটা দিয়ে নেই আপনাদের। মালিকের আমি ভীষন অনুগত ( আত্মকাহিনী -১) এবার শুরু করা যাক। আমি সারা ঢাকা ঘুরি।

শা শা করে চলে যাই ঢাকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। ঢাকার ঐ পূর্বপ্রান্ত মানে জুরাইর পোস্তগোলা, দক্ষিনে পুরান ঢাকা , দয়াগঞ্জ উত্তরে ঢাকা পেরিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা, পশ্চিমে গাবতলী পেরিয়ে সাভার কোথায় যাইনি আমি। ঘুরতে ঘুরতে ঢাকার রাস্তাঘাট সব আমার মুখস্ত। আমার মালিক এগলি ওগলি কোণা কানচিতে নিয়ে গিয়ে আমাকে সব চিনিয়ে দিয়েছে। আমি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে জন্মগ্রহন করলেও ঢাকায় ঘুরতে ঘুরতে সব চিনে ফেলেছি।

এবার আমার শারীরিক অবস্থা একটু বলি। আমার পেট একটু বড় । আর হজম শক্তি খারাপ না। সুষম খাদ্যটা বেশ মজার । খেতে খুব স্বাদ।

আমি সবসময় পুষ্টিকর খাবার খাই। পুষ্টিকর খাবার খেলে আমার শরীর ভালো থাকে। যখন পুষ্টিকর খাবারের সাথে ভেজাল মিশিয়ে দেয় । তখন আমার পেটে একটু আধটু সমস্যা দেখা দেয়। কয়েকটা ঘটনা বলি........... একদিন মালিক আমাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন আশুলিয়া।

বাংলামটরে বিয়ে খেয়ে বের হলাম। আমি কিছুটা অসুস্থ ছিলাম। এ অবস্থায় কি ৩ জনের সাথে সঙ্গ দেয়া সম্ভব , বলেন??? ফলাফল কি হলো ....?? কিছুক্ষন সঙ্গ দেয়ার পরে তো আর পারছি না। ধীরে ধীরে আমার শক্তি শেষ হয়ে গেল। থেমে যেতে হলো আমাকে।

মালিক আমার অঙ্গ প্রতঙ্গ নাড়াচাড়া করে দেখলো কি সমস্যা কিন্তু সমস্যা না পেয়ে আবার সঙ্গ নেয়া শুরু করলো ওদিকে আমার অবস্থা তো কাহিল.............. .............. কি আর করা আবার থেমে গেলাম আমি। মালিক আমার কষ্ট বুঝতে পারলো ......... তখন মালিক একজনকে বিদায় করে দিলো আমার কাছ থেকে .............. উফ!!! একটু রক্ষে........ কিছুটা রিলাক্স পেলাম। মালিক যেহেতু আমাকে একটু রিলাক্স দিলো তাই তো আর তার অবাধ্য হওয়া যায় না । আর কোন ঝামেলা না করে তার সাথে চলে গেলাম আশুলিয়া। কিছুক্ষন অভিসারের পরে আবার ফিরে আসলাম।

এর কয়েকদিনে মধ্যেই মালিক আমাকে ডাক্তার দেখালেন ....ডাক্তার আমাকে চিকিৎসা করে সারিয়ে তুললেন। ভালো হয়ে গেলাম। এখন আর সেই সমস্যা হয় না। আরেকদিনের ঘটনা বলি ........... আমি মাত্র রেজিষ্ট্রেশন পেলাম। তাই বলে শরীরে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার লাগানো হয় নাই।

মালিক ব্যস্ততার কারণে লাগাতে পারে নাই। কি হলো..............মালিক আর তার এক বন্ধুসহ আমরা তিনজন বহুদূর ঘুরে বাসায় ফিরছিলাম। কিন্তু আমাদের নতুন সম্পর্ক দেখে পথে এক বজ্জাত ঠোলা রাস্তা আগলে দাড়ালো। নতুন সম্পর্ক করে নাকি এভাবে ঘোরাঘুরি করা ঠিক না। কি জানি????? আমার কাবিন নাম দেখানোর পরে তেমন কিছু করলো না কিন্তু টাকা খাওয়ার ধান্ধায় বললো ........... কি ভাই, নতুন সাথী!!! আমাদের মিষ্টি খাওয়াবেন না?? শুনলেন ..... কি বললো?? কি আর করা .... তার বায়নায় মালিককে চা নাস্তা খাওয়ার জন্য কিছু দিতে হলো, আমি পাশে চুপচাপ দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম।

এর পরদিনই মালিক আমার গায়ে ছাপ্পা লাগিয়ে দিলো । খুব সুন্দর একটা সংখ্যার ছাপ্পা । ধন্যবাদ মালিক। আমি যেখানে থাকি আমার আশে পাশে আরো অনেকে থাকে। আমার মতো তারাও সুখে শান্তিতে ভালো ভাবে থাকে।

সবাই আমার মতো সুন্দরী না । আবার সুন্দর ললনাও আছে আমার পাশে। আমার মালিক আগে আমার যে বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক ছিল সে জন্ম নিয়েছিলো বাজাজদের বাড়িতে, ঐ আমার জন্মস্থানেই । সে অবশ্য আমার চেয়ে বয়সে বড়। তবে আমার মতো উচা লম্বা আর সুন্দরী না।

যাক অনেক কথা বলে ফেললাম । আগামীতে আরো কিছু বলবো যদি সাথে পাই শ্রোতা বন্ধুদের । আজকে যারা আমার আত্মকাহিনী পড়লেন তাদের আমার সঙ্গী হওয়ার আহবান জানিয়ে আজকে বিদায় নিলাম। । পিপ !!!!!! পিপ!!!!!!!! ভো ভো...... ।