আমি কেবলই আমার মতো মার্কসীয় অর্থনৈতিক তত্ত্বমতে উৎপাদনের মূল ভিত্তিই হলো শ্রমিকের শ্রম। তো শিপ্লায়নের একটা পর্যায়ের পরে শ্রমের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনের বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। মুনাফা বৃদ্ধি হয়, পুনরুৎপাদন হয় ইত্যাদি।
আমাদের দেশে ১৯৭৮ সাল থেকে বাজার উদারীকরন নীতির মাধ্যমে বেসরকারীখাতে বিনিয়োগের বৃদ্ধির ফলে কিঞ্চিৎ শিল্পায়ন চলছে, কিন্তু সেগুলো অনিয়মের আখড়া। যদিও কিম্ভূতকিমাকার শিল্প ও বানিজ্যেও রাজস্ব রাজকোষে জমা হয়।
পক্ষান্তরে নিয়ম মেনে চললে এগুলো থেকেও আরও অনেক বেশি রাজস্ব আসতো।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের শিল্পায়ন পেটেন্টবিহীন শিল্পায়ন। মুক্ত বাজার অর্থনীতি যেমন মার্কসীয় তত্ত্বকে সমর্থন করেনা তেমনি মুক্তও বাজার অর্থনীতির মূল হলো উদ্ভাবনের পেটেন্ট। কিন্তু আমাদের সেই পেটেন্টই নেই বললেই চলে। অর্থাৎ গবেষণায় আমরা অনেক পিছনে ফলে আবিষ্কার বলে তেমন কিছুই নেই।
যেটুকু শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে সেটুকু শুধুই শ্রম নির্ভর। ফরমায়েশি কাজ।
যেমন গার্মেন্টস শিল্পে ধরা যায় যে, মেশিন, সুতা, সুই, বোতাম, জিপার, ষ্টিকার, আকার-আকৃতি নির্ধারণ ইত্যাদি সবই বিদেশ থেকে আসে এবং এগুলোর থেকে কোন মুনাফা গার্মেন্টস মালিক পায়না। তৈরি পন্যের মুল্য নির্ধারণের কোন সুযোগও এখানকার কোন মালিকের নেই। অর্ডার পেতেই গলদঘর্ম অবস্থা! এদের কাজটা হলো শুধু সেলাই করে দেওয়া।
এক্ষেত্রে মালিক শুধু পায় শ্রমিকের জন্য নির্ধারিত মুল্যটি। আর মালিক দরকষাকষি করে শ্রমিকের সঙ্গে যে, বিদেশ থেকে প্রাপ্ত সেলাই মুল্যের চেয়ে কত কমে এখানে শ্রমিকদেরকে দিয়ে কাজটুকু করিয়ে নিতে পারে।
সোজা হিসেবে দেখা যায়, মালিক যদি একটি টি-শার্টের সেলাই বাবদ ৫ ডলার পায় এবং সে শ্রমিকদের দিয়ে ১ ডলারে সেলাই করিয়ে নিতে পারে তাহলে ৪ ডলারই মালিকের পকেটে। অবশ্য কর, ভ্যাটসহ আরও কিছু খয়খরচা রয়েছে যৎসামান্য, ধরে নিলাম ১ ডলার। উপরন্তু রপ্তানীতে সরকার একটা বাড়তি সুবিধাও দেয় সবাইকে, সেটাও ধরে নিলাম ১ ডলার।
তাহলে ফলাফল দাঁড়াচ্ছে মালিকের মুনাফা ৪ ডলার। বিষয়টি এরকমই। এখানে শুধু শ্রমিকের শ্রমের মজুরি থেকেই মালিকের মুনাফা অর্জিত হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।