আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসততা প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন পেয়েছে

সত্য কথা বলতে চাই আমার এক আপনজন সম্প্রতি রিটায়ারমেন্ট-এর কাছাকাছি এসে তার জীবনের প্রথম প্রমোশনটি (সহকারী অধ্যাপক) হতে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রমোশন প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করলেই কারণটি উদ্ধার করা যায় সহজে। তার মন্ত্রনালয় দরখাস্ত আহ্বান করলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথভাবে দরখাস্ত করেন। শুনা যায় এই দরখাস্ত অধিদপ্তর বাছাই করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর পর প্রমোশনের তালিকা তৈরী করে প্রকাশ করে। সেই তালিকায় তিনি নেই, অথচ তালিকায় স্থান পাওয়া ১০জন শুধু চাকুরীতে যোগদানের জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় জুনিয়র।

ভদ্রলোক পি,এইচ,ডি-সহ দুটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করেছেন, ২ বছর প্রভাষক এবং ১২ বছরের অধিক সহকারী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব, নিজ বেতনে সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্বপালন) ছিলেন- তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগও নেই। শেষোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে তালিকার একজনও তার থেকে উত্তম প্রার্থী নেই। তাহলে কী হলো? অসততার বিরুদ্ধে কোনপ্রকার প্রতিরোধ নেই বলেই হয়তো! যিনি প্রথম তালিকা তৈরী করলেন, তার কোন জবাবদিহীতা ছিল না বলে হয়তো প্রথমেই যারা তালিকা প্রস্তুতকারককে খুশী করেছেন- কেবল তারাই তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত কোন জবাবদিহীতা না থাকায় যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যাদের তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা নয়, তালিকাভুক্ত হতে তারা সর্বশক্তি নিযুক্ত করবেন- এটাই স্বাভাবিক।

শুধু প্রয়োজন ছিল অসততাকে প্রতিরোধ করার প্রাতিষ্ঠানিক মনিটরিং। এটা নেই বলে যা খুশী তাই হচ্ছে - আমরা এবং প্রতিষ্ঠানসমুহ সুযোগ্য ব্যক্তিদের হারাচ্ছি। হয়তো এই প্রক্রিয়ায় আমরা একটি দুর্বল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরী করছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।