মত প্রকাশের স্বাধীনতা কোন সুযোগ নয়, অধিকার।
চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের পঞ্চম মাসে অর্থাৎ নভেম্বরে প্রবাসী-আয়ের (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বেশ খানিকটা কমে গেছে। তা শুধু আগের মাসের তুলনায়ই নয়, গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়েও কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৯১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। আগের বছরের(২০১০) নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
অর্থবছরের প্রথম চার মাসে, অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবাসী-আয় বেড়েছে।
কিন্তু নভেম্বর মাসে এসে আর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায়নি। যদিও সামগ্রিকভাবে পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) প্রবাসী-আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ।
এই পাঁচ মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪৯২ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আগের বছরের একই সময়ে তাঁরা পাঠিয়েছিলেন ৪৫৮ কোটি ১৪ লাখ ডলার।
এই বছরের অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১০৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সেপ্টেম্বর মাসে পাঠান ৮৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে তাঁরা পাঠিয়েছিলেন ১১০ কোটি ১৮ লাখ ডলার এবং জুলাই মাসে পাঠিয়েছিলেন ১০১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৯২ কোটি ৩৮ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সেপ্টেম্বর মাসে তাঁদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।
এ ছাড়া গত বছরের আগস্ট ও জুলাই মাসে পাঠিয়েছিলেন যথাক্রমে ৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ও ৮৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।
ধারণা করা হচ্ছে, বিগত দুই ঈদ সামনে রেখে গত জুলাই, আগস্ট ও অক্টোবর মাসে বেশি পরিমাণ প্রবাসী-আয় দেশে এসেছে। এর কারন, প্রতিবছর ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা তাঁদের নিকটজনের কাছে নানা উপকরণ কিনতে বেশি অর্থ পাঠান।
সূত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।