বিড়াল ছানা ম্যাও......।
মাছ খাচ্ছো ?
পিটপিটিয়ে তাকাচ্ছো কেনো?
ডাইনে বায়ে এদিক সেদিক
টমি টা করছে ঘেউ......?
বুঝতে পারছি।
করেছো চুরি,
ভাবখানা তাই ধরা পড়ি?
দাঁড়াও তবে ভয় পেওনা।
দরজা দিচ্ছি,
আসবে না আর কেউ।
বিড়াল ছানা ম্যাও।
খাবার খেতে ভাল লাগেনা
মা টা না বড্ড জ্বালায়।
মাছ খাও.... ডাল খাও....
দুধ টুকুও খাও......
সারাটা দিন ঘেনর ঘেনর
খাচ্ছে আমার মাথা।
বলো দেখি কেমনে সই
এই সব যা তা।
টমি টা কে না কালকে,
লুকিয়ে মাকে,
দিয়েছিলাম দুধটুক।
জিব টা বের করে সে
সবটুকু খেল
চুক চুক চুক......।
তুমি আমার সাথী হবে?
খেলবো তোমার সাথে
আদর দেবো, দুপুরবেলা
ঘুমপাড়ানি গাবো।
মা টা আমায় যেমন করে
ঘুম পাড়ায়।
ঘুমের পরে বিকাল বেলা
খেলতে যাবো দুজনে,
রবিনদের ঐ পাড়ায়।
মাছটা তুমি খাও
আয়েশ করেই খাও
ভয় পেওনা ম্যাও
আসবে না তো কেউ।
**** পিচ্চিদের জীবনটা আসলেই চমৎকার।
কতো কিচ্ছু চিন্তা করা যায় তখন!! মনে পড়ে ছোটো বেলার কথা। আমাদের আমলকি গাছে একজোড়া পাখি বাসা বেঁধেছিলো। খুব সম্ভবত শালিক। জানালা দিয়ে দেখা যেতো। চড়ুই পাখি দের আনাগোনা ছিলো সবসময়।
বারান্দার পাশেই একটা ফজলি আমের গাছ ছিলো। পাঁকা আম টিনের চালে যখন পড়তো। আমরা পিচ্চি ভাইবোন গুলা শব্দের সাথে সাথে দৌড় দিতাম বারান্দার পাশে উঠানে। আম গুলা চাল থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে উঠোনে পড়তো। সঞ্চিতা দি দের একটা অনেক বড় বড়ই গাছ ছিলো।
এতো মিষ্টি বড়ই আমি আমার জীবনে আর কোথাও খাই নি এখন পর্যন্ত। সকাল বিকাল বড়ই গাছের নীচে বসে থাকতাম। ছোট্ট ছিলাম বলে ঢিল ছুড়লেও বেশি দুর যেতো না। বড়ই ও গাছ থেকে পড়তো না। তখন মনে মনে চড়ুই গুলির সাথে কথা বলতাম।
ওরা যদি উড়ে গিয়ে বড়ই ডালে বসে তাহলে হয়তো একটা দুইটা বড়ই পড়তো।
খুব মনে হচ্ছে সেই সব দিনগুলি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।