আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি পুরুষের সঙ্গে নাকি নিষ্ঠুর রসিকতা করছে। মানুষের শুক্রাণুর ওপর তারবিহীন ইন্টারনেট ওয়াইফাইয়ের প্রভাব নিয়ে সর্ব সাম্প্রতিক একটি পর্যবেক্ষণে এমন ফলাফলই মিলেছে।
ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি নামে একটি প্রভাবশালী বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবিই করেছেন আর্জেন্টিনার একদল বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীরা ২৯ জন সুস্থ পুরুষের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে ওয়াইফাই সংযোগ আছে এমন একটি ল্যাপটপের কাছাকাছি রাখেন। আর বাকি অংশ একটু দূরে একই তাপমাত্রায় রাখেন।
এরপর ল্যাপটপটিতে তারা ফাইল ডাউনলোড করতে থাকেন।
চার ঘণ্টা পর দেখা গেল, চার ভাগের এক ভাগ শুক্রাণু আর সাঁতার কাটছে না, তারা নিশ্চল পড়ে রয়েছে। দূরে রাখা শুক্রাণুর নমুনার তুলনায় এই নিশ্চল শুক্রাণুর পরিমাণ ১৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৯ শতাংশ শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরিমাণ দূরে রাখা নমুনায় ক্ষতিগ্রস্ত শুক্রাণুর তিনগুণ।
এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন করদোবার ‘নাসেনতিস মেডিসিনা রিপ্রোদাকতিভা’র বিজ্ঞানী কনরাদো আভেন্দানো এবং তার সহকর্মীরা। তারা বলছেন, তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগের সময় যে তড়িেচৗম্বকীয় বিকিরণ বের হয় তার কারণেই শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তারা বলছেন, প্রাপ্ত উপাত্ত থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, ল্যাপটপে তারবিহীন ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার এবং তা পুরুষের যৌনাঙ্গের কাছাকাছি রেখে ব্যবহার শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
সর্ব সাম্প্রতিক এই গবেষণার ফল বিকিরণ নিয়ে বিজ্ঞানীদের পূর্ববর্তী উদ্বেগে আরেক মাত্রা যোগ করল। এর আগে অনেকে দেখেছিলেন, মোবাইল ফোনের বিকিরণ শুক্রাণুকে দুর্বল করে দেয়।
গত বছর ইউরোলজিস্টের একটি গ্রুপ দেখিয়েছে, ঊরুর ওপর ল্যাপটপ রেখে ব্যবহার করলে তা থেকে বিকিরিত তাপ শুক্রাশয়ের (অণ্ডকোষ) তাপমাত্রা এমন মাত্রায় বাড়িয়ে দেয়, যা শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর।
সুতরাং আধুনিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে যে তাপ এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বের হয়, তা মানুষের অণ্ডকোষের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা একরকম প্রমাণিত।
আমি সারাদিন Laptop এ ল্যাপটপে ওয়াইফাই Use করি।
কি করি বলেন?????????View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।