মঙ্গলবার বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষী নিজাম আহমেদকে জেরা করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
ফজলুল কাদের চৌধুরীকে মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে চিনতেন বলে জেরার জবাবে জানান সালাউদ্দিন কাদেরের বন্ধু নিজাম। তবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে গণহত্যার পর এপ্রিলে পাকিস্তানপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে ফজলুল কাদের টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করে সমর্থনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, তার জবানবন্দিতে উল্লিখিত ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন হলো ছয় দফা ও ১১ দফার ভিত্তিতে গণআন্দোলন, যা ছিল আইয়ুব খানের একনায়কতন্ত্রের বিরূদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
তবে ওই আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ছিল কী না তা তিনি জানেন না।
জেরার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার বন্ধু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। ”
৬৩ বছর বয়সী নিজাম জানান, তিনি ১৯৬৬ সালে ঢাকার শাহীন স্কুলে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি ও ১৯৬৮ সালে নটরডেম কলেজে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। তবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় কোনো পরীক্ষা দেননি। পরে ১৯৭৪ সালে পাস কোর্সে বিএ পাশ করেন।
তবে জেরার সময় নিজের পেশা সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি তিনি। জবানবন্দিতেও এবিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
জেরা শেষ হলে মামলার কার্যক্রম মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।