অজ্ঞাতস্থান থেকে বিএনপির মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমদের ভিডিও বার্তা প্রেরণের ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টিকে অনেক রাজনীতিবিদ দেখছেন অশনি সংকেত হিসেবে। বলা হচ্ছেÑ আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের অনুকরণে সালাউদ্দিন এ কাজ করছেন। গণতান্ত্রিক দেশের প্রধান বিরোধী দলের মুখপাত্রের এমন আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক।
রাজনীতিবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করলে হামলা-মামলা, কারাবরণ-গ্রেপ্তার, নির্যাতিত হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা।
কিন্তু সালাউদ্দিন আহমেদ প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মুখপাত্র ও যুগ্ম-মহাসচিব হয়েও কোন কারণে অজ্ঞাতস্থান থেকে ভিডিও বার্তা প্রেরণ করছেন? তার উদ্দেশ্য কী? তাছাড়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর, জেএমবির মতো বিএনপি কোনো নিষিদ্ধ দলও নয়। এমন আচরণের মাধ্যমে বিএনপির মুখপাত্র সালাউদ্দিন জঙ্গিদের সঙ্গে নিজের বা দলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিচ্ছেন? হামলা-মামলা, কারাবরণ-গ্রেপ্তার, নির্যাতিত হবার ভয় থাকলে তিনি কেন রাজনীতি করেন?
দেখা গিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে আফগানিস্তানের যুদ্ধাকালীন সময় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন অজ্ঞাত স্থান থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভিডিও বার্তা প্রেরণ করতেন। এছাড়া কোনো দেশের কোনো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল অজ্ঞাতস্থান থেকে ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেছেÑ এমন কথা শোনা যায়নি।
গত শনিবার ভোরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তারের পর সালাহউদ্দিন আহমদকে দপ্তর ও দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমদিকে কয়েকটি টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বললেও এরপর তিনি লাপাত্তা হয়ে যান।
মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে অজ্ঞাতস্থান থেকে ভিডিও বার্তা ও বিবৃতি প্রেরণের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দিচ্ছেন। গত রোববারই তিনি শুরু করেন অজ্ঞাতস্থান থেকে ভিডিও বার্তা প্রেরণের কাজ। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও নিজেকে বেঁধে ফেলেছেন অজ্ঞাতস্থান থেকে পাঠানো বার্তা-বিবৃতির মধ্যে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।