বিবিসি জানায়, সিঙ্গাপুরে স্থানীয় সময় রাত ১২ টায় (০৪:০০ জিএমটি) পরিবেশদূষণ সূচকে (‘দ্য পলিউশন স্ট্যান্ডার্ড ইনডেক্স’-পিএসআই) দূষণের মাত্রা ৪০১ পয়েন্টে পৌঁছেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার পরিবেশ দূষণ সূচকে বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৩৭১ পয়েন্ট।
সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ মাত্রার দূষণ। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী এ ধোঁয়াশা পরিবেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিরাজ করতে পারে বলে এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ সমস্যার সমাধান আমাদের জানা নেই।
এটি আগুন, আবহাওয়া ও বাতাসের ওপর নির্ভরশীল”। এ পরিস্থিতি কয়েক সপ্তাহ বিরাজ করতে পারে। এমনকি সুমাত্রায় শুষ্ক মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে পারে। ”
সিঙ্গাপুরের ধোঁয়াশা ছড়িয়ে পড়ছে মালয়েশিয়ায়ও। স্বাস্থ্যহানিকর পরিবেশদূষণের কারণে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে শতাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পিএসআই রিডিং ২০০ পয়েন্ট অতিক্রম করলেই সে পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ হিসাবে ধরা হয়।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত নয়টায় সিঙ্গাপুরে দূষণের সূচক ২৯০ পয়েন্টে পৌঁছায়। এর আগে ১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে এই দূষণের মাত্রা বেড়ে সর্বোচ্চ ২২৬ পয়েন্টে পৌঁছেছিল।
২০০ পয়েন্টের বেশি বায়ুদূষণেই মানুষ হৃদরোগ কিংবা ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারে। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে এ আশঙ্কা আরো বেশি।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে এ রেকর্ড বায়ুদূষণের জন্য কে দায়ী তা নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাকার্তায় বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দুই দেশের পরিবেশ বিষয়ক কর্মকর্তারা।
ইন্দোনেশিয়ায় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে আগুন দিয়ে বন উজাড় করার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ধোঁয়া। বিশেষ করে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমটিতেই এ কর্মকাণ্ড চলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।