জীবন চলা মানে প্রতিক্ষন জীবনান্তের দিকে এগিয়ে চলা এক ঢিলে দুই পাখী বধ । গত রাস পূর্নিমা থেকে শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত কান্তজিউর মন্দিরকে কেন্দ্র করে মাস ব্যাপী রাস মেলা । বহুদিন থেকে ইচ্ছে ছিল প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন স্বরূপ মন্দিরটি দর্শন করা। এবার সুযোগ পেয়ে মন্দির ও মেলা একসাথে দেখে এলাম। মন্দিরটি দেখে ভীষন ভীষন চমৎকৃত হয়েছি ।
মন্দিরটির সারা শরীর ব্যাপী শৈল্পিক নিদর্শনে ভরপুর । মূলত রামায়ন, মহাভারতের বর্নিত কাহিনীর চিত্ররূপ । কিন্তু বানানো হয়েছে প্রথমে মাটি দিয়ে তারপর সেগুলো পুড়িয়ে ইট বানানো হয়েছে। মন্দিরটির প্রতিটি ইঞ্চিই কারুকার্যতে ভরা এবং কি নিখুত ভাবে তৈরী করা হয়েছে ভাবতে অবাক লাগে। আজ যদি সেই শিল্পীকে পেতাম তাহলে পদধুলি নিয়ে তাকে সম্মান জানাতাম এবং নিজেকে ধন্য করতাম।
মন্দিরটি ১৭০৪-১৭৫২ সালে নির্মিত। শুনলাম শিল্পীটি ছিলেন মুসলমান, কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই ওনার কবর অবস্থিত এবং সেখানে তিনি একটি কারুকার্যময় মসজিদ নির্মান করেছেন । সময়াভাবে যাওয়া হয়নি তবে পরে গেলে অবশ্যই যাব। একটি বিষয়ের মিল দেখে অবাক হয়েছি সেটা হল বাগের হাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের দেয়ালে পোড়ামাটির ফুলের ডিজাইন এবং কান্তজিউ মন্দিরের পোড়াইটের ফুলের ডিজাইন একই রকম বিষয়টি কি কাকতালীয় কে জানে । দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত ব্লগার ভাই বোনেরা সুযোগ করে প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনটি দেখে আসবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।