সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে বিসমিল্লাহির রাহমানের রাহিম
শিশুদের স্বাস্থ্য(উদ্দেশ্য ব্লগার যাযাবরমন এবং অন্য বাবা-মা ব্লগার)
উৎসর্গ আদিল(ব্লগার যাযাবরমন ভাইয়ের সন্তান)
ঐ দিন ব্লগার যাযাবরমন ভাই আমার "ডাঃহাসানের আকুপ্রেশার ভীতি(প্রিতি) ও Dhaka(dacca) solution নিয়া আফসোস!!! " নামক পোষ্টে তার সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত বলে প্রশ্ন করেছিলেন। আমি অনেক ক্ষন অনলাইন থাকার পরও খেয়াল করি নাই। খুব সম্ভবত উনি কিছু discuss করতে চেয়েছিলেন। পরে মন্তব্যটা দেখে খুবই খারাপ লাগল।
ব্যাস্ততার মধ্যেও একটা অপরাধ বোধ কাজ করছে। যদিয় ভেবে ছিলাম আপাতত কিছুদিন ব্লগ লিখবোনা তবুয় লিখলাম। কারন কারো সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রক্ষা করতে সামান্য সাহায্য করা যাবেনা এই রকম ব্যাস্ত আমি নই।
বেশির ভাগ বাবা-মাই তাদের সন্তানের স্বাস্থ্য এবং খাওয়া দাওয়া নিয়ে চিন্তায় থাকেন। প্রকৃত পক্ষে এ ব্যাপার নিয়ে এত চিন্তার কিছুই নাই।
ওরা কেউ কম খাবে কেউ ঠিক মত খাবে, মাঝে মাঝে অসুস্থ হবে, আবার কেউ খুবি কম অসুস্থ হবে………কিন্তু ওরা সবাই বড় হবে…। কিন্তু ওদের জন্য অনেক বেশী চিন্তা করে ওদেরকেই চিন্তায় ফেলে দেয়া যাবেনা, এটাই আসল কথা। মূলত খাবার ও বৃদ্ধি নিয়া নুতন বাবা-মারা বেশী চিন্তিত থাকেন। তাই শিশুর খাবার নিয়ে কয়েকটা টিপস দিলাম।
টিপসঃ
১) অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে ২বছর।
(৬মাস শুধুই বুকের দুধ খাবে)
২) ৬ মাস থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার গুলা খাবে।
৩) কোন রকম প্যাকেট জাত খাবার খাবেনা ১ বছর পর্যন্ত। (নো চিপস,নো চকলেট, নো সফট ড্রিঙ্কস, কখন আদোর করেও দিয়েন না, টেষ্টিং সল্ট যুক্ত খাবার দিয়েন না)
৪) ১ বছরেই ও হয়ত আপনার সকল খাবারই খাবে অথবা ৩ বছরো লেগে যেতে পারে চিন্তার কিছু নাই।
৫) চেষ্টা করা উচিত যেন ও বুঝতে না পারে যে, ওর খাওয়া/না-খাওয়া পরিবারের খুবি জরুরি ব্যাপার। (আসলেই এটা কোন জরুরি ব্যাপার না)
৬) মাঝে মাঝে ওকে না খেয়ে থাকতে দিন।
কিন্তু ওর খাবার রেডি রাখুন। খিদা পেলে ও অবস্যই খাবে, সো ডোন্ট ওয়য়ারি, হোক তা ২,৪,৬,৮,কিংবা ১০ ঘন্টা । কিন্তু এর মাঝে পানি অফার করবেন।
৭) আপনি যাই খান ঝাল কি মিষ্টি ওকে সব সময় অফার করুন।
৮) ওর সামনে ওকে দিবেন না এমন কিছু না খাবার চেষ্টা করুন।
(যেমনঃ চকলেট,চিপস…। )
৯) কখনই জোর-জবরদস্তি করে ওকে কিছু খাওয়াবেন না।
১০) যদি মনে করেন ও ক্ষুদার্ত কিন্তু খাচ্ছেনা, তবে ও কে দেখিয়ে দেখিয়ে কিছু খান।
১১) বয়স ২ কি ৪ যাই হোক অবস্যই দুপুরের খাবারের আগে প্যাকেট জাত কোন খাবার দিবেন না।
১২) খাওয়াটা ওর একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার, তাই এই ব্যাপারে মা ছাড়া অন্য কোন সঙ্গি না তৈরি করাই ভালো।
(তবে বাবার কাছে আবদার করলে অবশ্যই খাইয়ে দিবেন)
১৩) জ্বর হলে অবশ্যই ওর প্রিয় খাবার গুলই দিন, বা ও যা খেতে চায় তাই দিন। (এবং ডাঃ এর কাছে যান)
১৪) মাঝে মাঝে মধু খাওয়ান, লেবুর শরবত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
১৫) খাবার জন্য ওকে বকা বকি করবেন না কখনই।
১৬) খাবার জন্য ভয় দেখাবেন না।
১৭) খাবার জন্য কার্টুন(বা খেলনা, বা টিভি) ঘুষ দিবেন না।
১৮) যতই ডিস্টার্ব করুক আপনার খাবার সময় সাথে নিয়ে বসুন।
১৯) হরলিক্স বা কমপ্লেনের পিছনে ব্যয় না করে, ওর খেলার সামগ্রি বা মাছ ও ফলের পিছনে ব্যয় করুন।
http://infantchart.com/
এই সাইটে যান। বাচ্চার জন্ম তারিখটা দিন, ওজনটাও দিন, ছেলে না মেয়ে উল্লেখ করুন। এর পর যদি দেখেন, গ্রাফে calculated নামক সবুজ+লাল বিন্দুটি 50th parcentile রেখাটিকে স্পর্শ করেছে, তাহলে খুশি থাকতে পারেন।
টেনশানের কোন কারনই নাই। কারন বাংলাদেশের জন্য ঐটাই প্রায় 100th parcentile. আর যদি গ্রাফে আপনার সন্তানের calculated নামক বিন্দুটি 5th percentile রেখাটির নিচে থাকে তাহলে শিশু ডাঃ এর পরামর্শ নিন। আর এর উপরে থাকলে আপনার বাচ্চাকে শান্তিতে থাকতে দিন, আপনি শান্তিতে থাকুন।
খাবার আগে বাচ্চাকে “বিসমিল্লাহ” এবং খাওয়া শেষে বাচ্চাকে “আলহামদুলিল্লাহ” বলতে অবশ্যই অবশ্যই শিখান। এমনকি কথা শিখার আগেই(বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় থেকেই) ওকে খাবার আগে ও পরে এই কথাগুল বলুন(শুনান)।
আমার এই মূহুর্তে আর কিছু মনে পড়ছেনা। পরে যদি মনে পরে অবশ্যই আপডেট করে দিব, ইনশাল্লাহ।
পৃথিবির সব বাচ্চা গুলা সুস্থ থাকুক। (আমিন) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।