একবার আপনারে চিনতে পারলে রে , যাবে অচেনা রে চেনা
অদ্ভূত আর বেদনাবিদ্ধ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম আজকে। ব্লগার গুরুদেবজী আমাকে বিনা উস্কানিতে এবং বিনা অপরাধে (অন্তত আমার জানামতে) ব্লক করলেন। “বৌদ্ধ ধর্মে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)”- লিংক শিরোনামে তার একটি লেখাতে আমি একটি সবিনয় প্রশ্ন/ মন্তব্য করেছিলাম।
মনতব্যটি ছিল ঃ
০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১:০৭
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: যে বুদ্ধ ঈশ্বর প্রসঙ্গে বরাবরই নিরব ছিলেন, যে ধর্মে ঈশ্বরের স্বীকুতি নেই সেই ধর্মের প্রবর্তক ইসলাম ধর্মের মত ঈশ্বরবাদী ধর্মকে তার উত্তরসূরী ও আশীর্বাদ হিসেবে স্বীকৃতি দান করবে..... ব্যপারটা পরস্পর বিরোধী হয়ে যাচ্ছে না?
১০. ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১:৩৭
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: মানুষটি নিজেকে কখনো স্রষ্টা বলে দাবি করেননি বা স্রষ্টার প্রেরিত বলেও দাবি করেননি তার ভবিষ্যৎ বাণীতে কি যায় আসে। এই ভবিষ্যৎ বাণীতে আপনিই বা এত গর্বিত কেন? এর মধ্যে অলৌকিকতা খুঁজতে গিয়ে কি আপনিই তাকে দেবত্ব দান করলেন না?
তিনি এর উত্তর তো দেনই নি বরং ব্লক করেছেন।
আরো একটি পোস্টে তিনি আমার মন্তব্যটাই উড়িয়ে দিয়েছেন । সেখানে তিনি বলেছিলেন “বিবি হাওয়ার সৃষ্টি ক্লোনিং য়ের একটি উদাহরণ যা বিজ্ঞাণ এতকাল পরে আবিষ্কার করেছে”। আমি তাকে শুধু বলেছিলাম ঠিক একই রকম একটি ঘটনা মহাভারতে ও আছে । কর্ণের জন্ম হয়েছিল একই পদ্ধতিতে....তাহলে কি মহাভারতই একই কৃতিত্ব দাবী করতে পারে? এর জবাব ও তিনি একটা দিয়েছিলেন। পরে সম্ভবত নিজেই তার নিজের জবাবের উপর ভরসা করতে পারেন নি।
তাই তিনি আমাকে ব্লক করে দিলেন মন্তব্য ও তার জবাব সহ উড়িয়ে দিয়ে।
এখন বিবেকবান ব্লগার সমাজের প্রতি আমার বিনীত জিজ্ঞাসা গুরুদেবজী যদি আমার এরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারেন তাহলে এরকম পোস্ট দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করা কি একধরনের হিপোক্রেসী নয়? তিনি কি মনে করেন যে তার ব্লগ আল্লা পাকের ওহী (নাউযুবিল্লাহ) যে এ নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবে না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।