তবু্ও আশায় জাগি... কোন বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত হতে চাইলে তা নিয়ে বই লেখা শুরু করাই ভালো। '-বেঞ্জামিন ডিজরেইলি (১৮০৪-১৮৮১), বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ।
জেন্ডার সম্পর্কে জানতে এবং কাছের, আশেপাশের মানুষদেরকে জানাতেই বই লেখার ভাবনা এবং তা বাস্তবে প্রকাশ।
জেন্ডার মূলত ব্যবহার করা হয় নারী- পুরুষের বৈষম্যহীন অবস্থাকে বোঝাতে।
নারী ও প্রকৃতি উভয়ই পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় অযুত বছর ব্যপী শত প্রতিকূলতার ও নির্যাতনের মধ্যে টিকে রয়েছে।
নারীর সফলতাকে সমাজের অনেকেই কলুষ চোখে দেখে। ...২৪ নভেম্বর ২০১০ তারিখে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সংবাদপত্রে এভাবেই আরো কিছু বর্ধিত আকারে বইটির প্রথম সংস্করণ (প্রকাশ কাল: ৩ ডিসেম্বর, ২০০৯) নিয়ে আলোচনা করেছিল।
বইটির প্রথম প্রকাশে মূলত জেন্ডার: ধারণা, তাৎপর্য ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয় যার মধ্যে রয়েছেঃ
■বিশ্বে ও বাংলাদেশের নারীর সার্বিক পরিস্থিতি
■জেন্ডার-ধারণা, উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
■জেন্ডার ও সেক্সের তুলনা
■জেন্ডার ইক্যুয়িটি
■জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি
■জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং
■জেন্ডার বিশ্লেষণ
■ জেন্ডার সংবেদনশীলতা
■জেন্ডার রোল
■জেন্ডার ডিভিশন অব লেবার
■জেন্ডার বৈষম্য
■সহিংসতা/নির্যাতন
■জেন্ডার সচেতনতা
■জেন্ডার সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা এবং
■প্রমোট এবং পরবর্তীতে
বইটির দ্বিতীয় বর্ধিত সংস্করণে (প্রকাশ কাল: ১৭ এপ্রিল ২০১১)
জেন্ডার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও জাতীয় আইন এবং নীতি ও পরিকল্পনা সহজ ভাবে বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়।
দ্বিতীয় সংস্করণে প্রথম প্রকাশিত বইটিতে তথ্য যা দেয়া হয়েছিল, তার সাথে আরো তথ্য সংযুক্ত করা হয় এবং আরো কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। যেগুলো হলোঃ
■নারীর ক্ষমতাযন
■গণমাধ্যম ও নারী
■মানবাধিকার
■শিশু অধিকার
■যৌনতা
■এইচআইভি/এইডস
■বাংলাদেশ সংবিধান
■নারী ও উন্নয়ন
■উন্নয়নে নারী
■জেন্ডার ও উন্নয়ন
■দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্র
■নারীর উন্নয়নে জাতীয় নীতিমালা
■পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ
■নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন
■বেসরকারী সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারদের ভূমিকা
প্রতিটি অংশেরই পরিধি এতো ব্যাপক যে আমার মতো সীমাবদ্ধ জ্ঞানের মানুষের জন্যে আরো অনেক বেশিই জানতে হবে।
আর জেন্ডার নিয়ে অনেকের কাছেই শোনা যায়, জেন্ডার নারীদের নিয়ে কাজ করে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, জেন্ডার নারী-পুরুষের মধ্যে বিরাজিত বৈষম্যহীন একটা অবস্থা। যার জন্যে পিছিয়ে পরা নারীকে সামনে এগিয়ে নিতে নারী সম্পর্কিত কাজগুলোই চোখে পড়ে বেশি। নারীরা এতোই পিছিয়ে আছে যে, বৈষম্যহীন একটা অবস্থা তৈরীর জন্যে নারীদের জন্যে এখনও অনেক কাজ বাকী, বাকী তাদেরকে সামনে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে। তাদের জন্যে একটি অনুকুল পরিবেশ তৈরী করতে।
এখানে প্রতিটি বিষয় নিয়ে বলতে গেলে পোস্টের আকৃতি অনেক বিশাল হয়ে যাবে। তাই পরবর্তীতে অন্য পোস্টে আলোচনা করার আশা রাখি। নারী এগিয়ে যাক তার আপন যোগ্যতায়।
সবাই ভালো থাকুন।
একনজরেঃ
বইয়ের নামঃ জেন্ডার স্টাডিজ
গ্রন্থকারঃ আরজু নাসরিন পনি
প্রথম প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২০০৯
দ্বিতীয় বর্ধিত সংস্করণঃ এপ্রিল ২০১১
পরবর্তী সংস্করণঃ বাইচা থাকলে
প্রকাশকঃ জনাব মোরশেদ আলম, জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশণ, ঢাকা।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
আরো পড়তেঃ
■যদি পার্শ্বে রাখ মোরে সংকটে সম্পদে, সম্মতি দাও যদি কঠিন ব্রতে সহায় হতে, পাবে তবে তুমি চিনিতে মোরে।
■নিজস্ব ব্লগস্পটেও প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ
♥ প্রেরণাদায়ী সেই মানুষ, যাকে জীবনের অংশ মেনে নিয়েছি।
একটা কথা বলে রাখা ভাল, এই বইয়ের কোথায়ও কোন একটা লাইনেও ধর্মকে কোনভাবেই অসম্মান করা হয় নি। কারণ লেখত নিজেই একজন আস্তিক, আল্লাহ বিশ্বাসী মানুষ।
কাজেই কখনোও যদি কেউ এই বই নিয়ে কোন প্রকার ধর্মীয় অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে তবে তা নিতান্তই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ধরে নেয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।