আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংবাদিকেরা মনে হয় কানে কম শোনে, টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা ছবি ঠিকমত তুললেও কথা ঠিক ভাবে রের্কডিং হয় না 

তিনটা দিন যাবৎ বগুরা জনসভার একটা বেসামরিক বক্তব্য লইয়া এত কথার সৃষ্টি হইয়া জাতীর কান ঝালা পালা, যেন আমরা সব বেকুব ভোটার আর যারা রাজনীতি করে তারা সব মানুষ ।                 আমার বয়স ৪৫/৫০ বৎসরের কোঠায় আমি জানি বগুরা কথা নিয়া এসব কি হচ্ছে এবং কেন হচ্ছে । এসব দেখতে দেখতে আমি বড় হয়েছি । যে যাই বলেন সবই ভোটের খেলা, মানে ভোট পাওয়ার জন্য । একজন আরেকজনকে কিভাবে ঘায়েল করবে আর কে কত সূক্ষ ভাবে মিথ্যা কথা বলবে অথবা নিজের বলা কথা হিতে বিপরীত হলে বদলাইয়া অন্য মানে দেওয়ার চেষ্টা করবে ।

কখনো কখনো বদলাইতে পারে ।  ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা কেউ ভাবে না ।  এমন প্রবনতা কখনো কারো থাকাও উচীৎ না ।  যারা এখন ১৩ বৎসর থেকে ১৭ বৎসর বয়সের ৭ম/৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত তাদের কথা ভাববেন না । তারতো ভোটার না ।

কেন তাদের এমন বিতর্কের মুখো মুখি হোতে হোচ্ছ? ওরা আজকে যা দেখবে শুনবে আগামী ২০/২৫ বৎসর পরে এই সব মিথ্যা কথা আমাদের দেশের জনগনের সাথেই এক্সপেরিমেন্ট করিতে উৎসাহী হইয়া পরিলে এই দেশের জনগনকেই সেই কষ্ট ভোগ করিতে হইবে । রাজনৈতীক মূল্যবোধ বজায় রাখিয়া এখন কি রাজনীতি করা যায় না ।  এই সকল টিন এজাররা প্রতিনিয়ত পত্রিকা পড়ে, টেলিভিশনের খবর দেখে । সেই আগের দিন আর নাই যেমনটা আমি বা আমার সমবয়সীরা ১৯৭১সালের যুদ্ধের অসম্পূর্ণ ইতিহাস শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । এই বয়সে পদর্াপন করে আমি ১৯৭১ সালের সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছি ।

কিন্ত বর্তমান টিনএজ গ্রুপের যারা তারা এখন সঠিক ইতিহাস পড়ে পড়ে বড় হচ্ছে । তারা আমাদের মত কারো কাছ থেকে ইতিহাস জানতে জানতে বা শুনতে শুনতে বড় হচ্ছে না । তারা ইন্টারনেট থেকে সঠিক ইতিহাস খুজে খুজে বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করে পড়ছে । বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে আমরা যতটা বিভ্রান্ত হয়েছি পৃথিবীর অন্য কোন দেশের মানুষকে নিজের দেশের ইতিহাস জানতে এতো অনিশ্চয়তা বা বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়নি । আমাদের দূঃভাগর্্য যে তখন ইন্টারনেট ছিলোনা ।

দেশের ইতিহাস না জানার কারনে আমরা দেশের সাথে দেশের মানুষের সাথে প্রতারনা করতে করতে আর প্রতারিত হতে হতে বড় হয়েছি সেহেতু আমাদের রাজনৈতীক দল এবং নেতাদের এমন ছোট ছোট মিথ্যাচার সহজেই মেনে নিতে কষ্ট হয় নাই, কারণ দেশের ইতিহাস ঘুড়িয়ে ফেলেছে আর বকতৃতার একটা কথা ঘুড়িয়ে ফেলে কি এমন অন্যায় করেছে । আমাদের কাছে খারাপ লাগতো না । কিন্তু পরবর্তি প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জেনে সঠিক ভাবে গড়ে উঠছে সুতরাং ওদের কেছে রাজনৈতীক দল বা নেতাদের মিথ্যাচার সহজ ভাবে লইবার কোন সুযোগ বা কারন কোনটাই রইলো না । তাদেরকে আমাদের মত(গত ৪১/৪২ বৎসর) গতানুগতিক ধারার রাজনৈতিক অনুশীলন করিবার সুযোগ বা পরিবেশ হইতে দূরে রাখিতে হইলে এই মূহুর্ত থেকে চেষ্টা করিয়া যাওয়া উচিৎ । অন্যথায় ২০/২৫ বৎসর পরে তারা যখন রাজনীতিতে পদার্পন করবে তখন তাদের পূর্ববতর্ি প্রজন্মের রাজনৈতীক শ্রুদ্ধাভাজনদের প্রতি শ্রুদ্ধা হড়িয়ে ফেলবে ।

                     বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যুগে রাজনৈতীক বক্তব্য লুকোচুরীর প্রয়োজন নাই বলিলেই চলে । কোন কথার এতো বেশী ব্যাখ্যা কিংবা ছাড়পত্র দিতে গেলে সেই কথা এবং ব্যাক্তি উভয়ের গুরুত্ব কমিয়া দেওয়া হয় ।                         এটা রাজনীতিবিদদের কি ধরনের অপচেষ্টা, আমি খবরে যা শুনলাম, টেলিভিশনে যা দেখলাম এবং ইন্টারনেটে বিভন্ন পত্রিকা থেকে যা যা পড়লাম সবই আমাকে পরোক্ষ ভাবে অবিশ্বাস করতে বলা হোচ্ছে  । আমার দেশে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা একটা বকতৃতা অন্য কারো কাছ থেকে শুনে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে ? এটাতো এক ধরনের অন্যায় আমার উপর তথা দেশবাসীর উপর চাপিয়ে দেওয়া হোচ্ছে । অপরাধী তবে কি সাংবাদিক, টেলিভিশনের ক্যামেরা নাকি আমার চশমা কিংবা কানের মেশীনের ? আমাদের পূর্ব পুরুষেরা সাড়াটা জীবন মোটা কাঁচের চশমা আর কানে শুনবার মেশীন পড়ে রাজনীতিবিদদের পিছে পিছে(অন্ধের ন্যয় অনুস্বরন) জীবনটা পাড় করে দিলো ।

আমাদের সময়ে আমরা অনেকেই চশমা আর কানে শুনবার মেশীন পড়ে পড়ে বেচেঁ ছিলাম । কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যেন চশমা আর কানের মেশীন পড়ে বাঁচতে না হয় সেই প্রচেষ্টা এবং সংস্থান আমাদেরকেই করে যেতে হবে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.